মুস্তাফিজুর রহমান নাহিদ: করোনা ভীতি কাটিয়ে পুঁজিবাজারে ফিরতে শুরু করছেন বিনিয়োগকারীরা। যে কারণে ব্রোকারেজ হাউসেও তাদের উপস্থিতি আগের চেয়ে বেড়েছে। পাশাপাশি ধারাবাহিকভাবে বাড়তে দেখা যাচ্ছে লেনদেনও। করোনাকালে যেখানে মূল মার্কেটে লেনদেন ৩০ কোটি টাকায় নেমে এসেছিল সম্প্রতি তা বেড়ে ৩০০ কোটি টাকা ছাড়িয়ে গেছে। সাম্প্রতিক বাজার বিশ্লেষণ করলে এমন চিত্রই লক্ষ করা যায়।
গতকাল ঢাকার পুঁজিবাজারে (ডিএসই) মোট ৪৩৭ কোটি টাকার শেয়ার এবং ইউনিট কেনাবেচা হয়। এর মধ্যে ব্লক মার্কেটের লেনদেন ছিল ৫৫ কোটি টাকা, যা তুলনামূলকভাবে আগের চেয়ে অনেক কম। গতকাল এ মার্কেটে মোট ৩৩ কোম্পানির শেয়ার লেনদেন হয়। এদিকে মূল মার্কেটে লেনদেন বৃদ্ধি পাওয়ার পাশাপাশি গতকাল সূচক বৃদ্ধি পায় ১৬ পয়েন্ট। দিন শেষে সূচকের অবস্থান হয় চার হাজার ১৪৫ পয়েন্টে।
অন্যদিকে গতকালের খাতভিত্তিক লেনদেনে চোখ রাখলে দেখা যায়, এদিন লেনদেনে এগিয়ে ছিল বিমা খাত। লেনদেনের শুরু থেকে শেষ পর্যন্ত বিনিয়োগকারীদের প্রধান আকর্ষণ ছিল এ খাতের কোম্পানি। সারাক্ষণ বিক্রেতার চেয়ে এ খাতে ক্রেতার সংখ্যাই বেশি ছিল। যার জের ধরে লেনদেন শেষে এ খাতের তালিকাভুক্ত ৪৭ কোম্পানির মধ্যে ৪৩ কোম্পানির শেয়ারদর বাড়তে দেখা যায়। মোট লেনদেনে এ খাতের অবদান দাঁড়ায় ২৯ শতাংশ।
এর পরের অবস্থানে ছিল ওষুধ ও রসায়ন খাত। মোট লেনদেনে এ খাতের অবদান ছিল ২৩ শতাংশের কিছু বেশি। তবে এ খাত থেকে গতকাল মুনাফা তুলতে দেখা যায় বিনিয়োগকারীদের, যার ফলশ্রুতিতে দিন শেষে এ খাতের বেশিরভাগ কোম্পানির শেয়ারদর কমতে দেখা গেছে।
এদিকে গতকাল লেনদেনে এগিয়ে ছিল বিদ্যুৎ ও জ্বালানি খাত। এ খাতের শেয়ারে বিনিয়োগকারীদের আগ্রহও ছিল বেশ সন্তোষজনক। আগের কার্যদিবসে মোট লেনদেনে এ খাতের অবদান ছিল ছয় শাতাংশের কম। সেখানে গতকাল লেনদেন এ খাতের অবদান দেখা যায় ১১ শতাংশ।
পরের অবস্থানে ছিল খাদ্য ও আনুষঙ্গিক খাত। মোট লেনদেনে এ খাতের অবদান দেখতে পাওয়া যায় প্রায় ১০ শতাংশ। অন্যান্য খাতের মধো বস্ত্র খাত ও টেলিযোগাযোগ খাতের কোম্পানির শেয়ারের কিছুটা চাহিদা ছিল। তবে পিছিয়ে গেছে ব্যাংক খাত। এ খাতের শেয়ারে বিনিয়োগকারীদের আগ্রহ ছিল না বললেই চলে। মোট লেনদেনে খাতটির অবদান ছিল চার শতাংশের কম।