নিজস্ব প্রতিবেদক: বিশ্ব এখন যুদ্ধ করছে এক অদৃশ্য শত্রুর বিরুদ্ধে। যাকে দেখা যায় না, এমন কি চেনাও যাচ্ছে না সে কেমন। এখানে পারমানবিক অস্ত্র, অত্যাধুনিক যুদ্ধাস্ত্র কোন কাজে আসছে না। বরং যাদেরকে বিশ্ব নেতারা যোদ্ধা হিসেবে গড়ে তুলেছেন তাদেরকেও রক্ষা করতে এমন একদল মানুষ কাজ করছেন যাদের কোন যুদ্ধের প্রশিক্ষণ নেই।
নেই কোন আধুনিক ট্যাংক, পারমানবিক বোমা, এমন কি তাদের নেই একটি পিস্তলও। তারা আমাদের গর্বের চিকিৎসাকর্মী, করোনা যোদ্ধা। তারা কেউ ডাক্তার, কেউ নার্স, কেউ টেকনিশিয়ান আবার কেউ তাদের সহযোগী সেবা প্রদায়ক।
করোনা মহামারিতে সেই করোনা যোদ্ধাদের পাশে দাঁড়িয়েছে কাস্টমস, এক্সাইজ ও ভ্যাট কমিশনারেট, যশোর। যশোর কাস্টমস ও ভ্যাট ক্লাবের পক্ষ থেকে ১৫০টি আমেরিকায় তৈরি এন৯৫ মাস্ক উপহার দেয়া হয় হয়েছে।
শনিবার (২৩ মে) যশোরের সিভিল সার্জন অফিসকে এ উপহার দেওয়া হয়। যশোর সিভিল সার্জন ডা. আবু শাহীন, কমিশনারেট সদর দপ্তর হতে তা গ্রহণ করেন। কমিশনার ও ক্লাব সভাপতি মো. জাকির হোসেন এবং যুগ্ম-কমিশনার ও ক্লাবের সহসভাপতি নাহিদ নওশাদ মুকুল সিভিল সার্জনের হাতে এন৯৫ মাস্ক তুলে দেন।

সিভিল সার্জন কাস্টমস পরিবারের সবার প্রতি কৃতজ্ঞতা জানান। মাস্কগুলো তাদের সম্মুখ যোদ্ধাদের সুরক্ষায় ব্যবহার করা হবে বলে তিনি জানান। তাদের আরো এমন উন্নততর সরঞ্জাম প্রয়োজন বলে জানান।
যশোর ভ্যাট কমিশনার মো. জাকির হোসেন বলেন, আমেরিকাতে ময়লা ফেলার পলিথিন গায়ে জড়িয়ে চিকিৎসকরা করোনার চিকিৎসা দিচ্ছেন। বাংলাদেশে যারা করোনার ভাইরাসের বিরুদ্ধে যুদ্ধ করছেন, তাদের অবস্থা কি? আমেরিকা, ইংল্যান্ডের যোদ্ধাদের চেয়ে ভালো? মোটেই নয়।
তিনি বলেন, আমরা খেয়াল করলাম, যশোরের চিকিৎসকরা যে মাস্ক পরে চিকিৎসা দিচ্ছেন, তা তাদের জন্য যথেষ্ট নিরাপদ নয়। তাই তাদের পাশে দাঁড়ানোর ক্ষুদ্র প্রয়াস। যশোর কাস্টমস ও ভ্যাট ক্লাব করোনা যুদ্ধাদের পাশে থাকতে পেরে আনন্দিত, যদিও তা প্রয়োজনের তুলনায় অতি সামান্য।
###