শেয়ার বিজ ডেস্ক: বেতন-ভাতা বৃদ্ধির দাবিতে এয়ার ফ্রান্সের কর্মীরা আজ বুধবার পর্যন্ত সাত দিন কর্মবিরতি পালন করছেন। প্রতিষ্ঠানটির পক্ষ থেকে বলা হচ্ছে এ কর্মবিরতিতে তাদের ২০ কোটি ৯০ লাখ ডলার ক্ষতি হচ্ছে। খবর এএফপি।
গত শনিবার পাইলট, কেবিন ক্রু ও গ্রাউন্ড স্টাফরা কর্মবিরতি পালন করেন। এতে উড়োজাহাজ সংস্থাটির এক-তৃতীয়াংশ মাঝারি দূরত্বের ফ্লাইট বাতিল হয়। প্যারিসের শার্ল দ্য গল বিমানবন্দর থেকে একটি ফ্লাইটও ওইদিন উড্ডয়ন করা হয়নি। প্যারিসের অর্লি বিমানবন্দর থেকে ফ্রান্সের অভ্যন্তরীণ রুটে ৩০ শতাংশেরও বেশি স্বল্প দূরত্বের ফ্লাইট বাতিল করা হয়।
শ্রমিক ইউনিয়নগুলো থেকে বলা হচ্ছে, দীর্ঘ প্রচেষ্টার পর এয়ারলাইনটি মুনাফায় ফিরলেও তারা তাদের প্রত্যাশিত সুবিধাদি থেকে বঞ্চিত হচ্ছে। ২০১১ সাল থেকেই তারা তাদের মজুরি আর বাড়তে দেখেনি।
ফেব্রুয়ারিতে ছয় শতাংশ বেতন বৃদ্ধির দাবিতে আন্দোলনের পর দিনব্যাপী কর্মবিরতির ফলে শনিবার প্রথম সর্বোচ্চ সংখ্যক ফ্লাইট বাতিল হয়েছে। আন্দোলনের মুখে থাকা এয়ার ফ্রান্স কর্তৃপক্ষ এক শতাংশ বেতন-ভাতা বৃদ্ধির ঘোষণা দিয়েছে, যা প্রত্যাখ্যান করেছে শ্রমিক ইউনিয়নগুলো।
এয়ার ফ্রান্সের ব্যবস্থাপনা কর্তৃপক্ষ জানায়, ৩৪ শতাংশ পাইলট কর্মবিরতি নিয়েছেন। এছাড়া ২৬ শতাংশ ক্রু ও ১৯ শতাংশ গ্রাউন্ড স্টাফ দায়িত্ব পালন থেকে বিরত ছিলেন।
ইউনিয়নগুলো থেকে আরও ধর্মঘটের হুমকি এসেছে। নতুন করে ছয় দিনের কর্মবিরতি ঘোষণা করা হয়েছে, যার মধ্যে গতকাল মঙ্গলবার ও আজ বুধবারও রয়েছে।
এয়ারলাইনটি সতর্ক করে জানিয়েছে, ধর্মঘটের ফলে সাত দিনে তাদের ১৭ মিলিয়ন পাউন্ড ক্ষতি বা লোকসানে পড়ছে এয়ার ফ্রান্স, অর্থাৎ নতুন উড়োজাহাজে ২০ কোটি ৯০ লাখ ডলার লোকসান হবে। এ অর্থ ক্রয় ও কর্মক্ষেত্র তৈরিতে ব্যয় করতে পারত কর্তৃপক্ষ।
এয়ার ফ্রান্স কর্মীদের ধর্মঘটটি এমন সময় শুরু হলো, যখন দেশটির রেল শ্রমিকরাও আন্দোলনে নেমেছেন। এছাড়া বিক্ষোভ করছেন শিক্ষার্থী, সরকারি কর্মকর্তা, জ্বালানি শ্রমিক ও আবর্জনা সংগ্রহকারীরা। ফরাসি প্রেসিডেন্ট ইমানুয়েল ম্যাখোঁর শ্রম আইন সংস্কার প্রচেষ্টায় জল ঢেলে দিচ্ছে দেশব্যাপী শ্রম অসন্তোষ।