শেয়ার বিজ ডেস্ক: কর্মী ছাঁটাইয়ের আনুষ্ঠানিক প্রক্রিয়া শুরু করেছে টুইটার। ছাঁটাই ও প্রতিটি অফিস সাময়িকভাবে বন্ধ করে দেয়ার বিষয়টি ই-মেইলে কর্মীদের জানিয়ে দেয়া হয়েছে। টুইটারের মালিকানা নেয়ার এক সপ্তাহের মধ্যে কর্মী ছাঁটাইয়ের চূড়ান্ত সিদ্ধান্ত নেন ইলন মাস্ক।
যোগাযোগ মাধ্যমটির প্রায় অর্ধেক কর্মী ছাঁটাই করার পরিকল্পনার জন্য টুইটারের বিরুদ্ধে মামলা করা হয়েছে। ক্যালিফোর্নিয়ার সান ফ্রান্সিসকো ফেডারেল আদালতে দায়ের করা হয়েছে ক্লাস-অ্যাকশন মামলা। খবর: ব্ল–মবার্গ।
গত বৃহস্পতিবার গণমাধ্যমে পাঠানো এক মেইলে সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমটির পক্ষ থেকে বলা হয়, টুইটারকে স্বাভাবিক পথে নিতে বিশ্বব্যাপী কর্মী ছাঁটাইয়ের মতো কঠিন প্রক্রিয়ার মধ্য দিয়ে যাচ্ছি। আপাতত কর্মীদের নিরাপত্তা, ব্যবস্থাপনা ও গ্রাহকদের তথ্য সংগ্রহের স্বার্থে আমাদের সব অফিস বন্ধ থাকবে। কেউ যদি অফিসের পথে রওনা দিয়ে থাকেন, তাহলে বাড়িতে ফিরে যান।
প্রতিষ্ঠানটি আরও জানায়, যাদের ছাঁটাই করা হয়নি, তারা তাদের কর্মক্ষেত্রে ব্যবহƒত মেইলে বার্তা পাবেন। আর যাদের ছাঁটাই করা হয়েছে, তারা তাদের ব্যক্তিগত মেইলে পরবর্তী করণীয়-সংবলিত বার্তা পাবেন।
টুইটারের কর্মীরা বলছেন, কোম্পানিটি ফেডারেল ও ক্যালিফোর্নিয়ার আইন লঙ্ঘন করে পর্যাপ্ত নোটিশ ছাড়াই কর্মীদের বাদ দিচ্ছে।
মালিক হওয়ার আগে মাস্ক ইঙ্গিত দিয়েছিলেন, তিনি প্রতিষ্ঠানটির অতিরিক্ত খরচ কমাতে চান ও কর্মীদের জন্য নতুন কর্মনীতি জারি করতে চান। তখন বোঝা গিয়েছিল, অতিরিক্ত ব্যয় কমানোর অন্যতম উপায় হতে পারে কর্মী ছাঁটাই। মাস্ক মূলত টুইটারের বার্ষিক অবকাঠামো খরচ থেকে ১০০ কোটি ডলার সাশ্রয় করতে চান। এরই মধ্যে তিনি প্রতিষ্ঠানটির ঊর্ধ্বতন কর্মকর্তাদের এ বিষয়ে কঠোর নির্দেশ দিয়েছেন।
গত সপ্তাহে ৪ হাজার ৪০০ কোটি ডলারে টুইটার কিনে নেন ইলন মাস্ক। এরপর থেকে প্রতিষ্ঠানটি ঢেলে সাজাতে তার তৎপরতা শুরু হয়। এরই মধ্যে প্রধান নির্বাহী কর্মকর্তা (সিইও) পরাগ আগারওয়াল, প্রধান আর্থিক কর্মকর্তা নেড সিগাল, আইন ও নীতিমালাবিষয়ক প্রধান বিজয়া গাড্ডেকে সরিয়ে দিয়েছেন তিনি।