কর্মী ছাড়াই দোকান বাড়ছে চীনে

শেয়ার বিজ ডেস্ক: অনলাইন শপিং আজ আর নতুন বিষয় নয়। কিন্তু সম্পূর্ণ কর্মীহীন সুপার মার্কেটের উপস্থিতি এখনও কম। তবে চীনে এমন স্বয়ংক্রিয় আধুনিক দোকানের প্রসার বাড়ছে। অ্যাপের মাধ্যমেই ক্রেতা সব কাজ সারছেন। খবর ডয়েচে ভেলে।

বেইজিং শহরের উপকণ্ঠে গড়ে উঠেছে কেনাকাটার অভিনব এ ব্যবস্থা। সম্পূর্ণ স্বয়ংক্রিয়, কোনো কর্মী নেই। ভবিষ্যতের সুপার মার্কেট নাকি এমনই দেখতে হবে। অ্যাপের মাধ্যমে ক্রেতা দোকান খুঁজে নেবেন, পণ্য বেছে নেবেন এবং দামও মেটাবেন। সুপার মার্কেটের ক্রেতা ম্যানেজার লিউ জিইয়ে বলেন, ‘পাঁচটি ক্যামেরা সর্বক্ষণ দোকানের ওপর নজর রাখছে। তাই ক্রেতা কোনো পণ্য লুকিয়ে ফেললে অথবা দাম না মিটিয়ে বেরিয়ে গেলে সার্ভিস সেন্টার তাকে সে কথা মনে করিয়ে দেবে।’

যে কোনো ছোট দোকানের মতো এখানেও স্ন্যাকস, পানীয়, তেল, সাবান ইত্যাদি পাওয়া যায়। প্রত্যেকটি পণ্যে বারকোড লাগানো রয়েছে। অ্যাপের মাধ্যমে দাম পরিশোধ করতে হয়। এক ক্রেতা বললেন, ‘এমনভাবে কেনাকেটা করতে দারুণ লাগে। প্রয়োজনমতো কিনে দাম পরিশোধ করলেই হলো।

বেইজিং শহরে বিংগোবক্স কোম্পানির সদর দফতর। এমন আরও কোম্পানি চীনে প্রায় ২০০ কর্মীবিহীন সুপারমার্কেট খুলেছে। এখনও পর্যন্ত কোনো বড় সমস্যা হয়নি। কোম্পানির প্রতিষ্ঠাতা চেন জিলিন বলেন, ‘সাধারণ সুপার মার্কেটের তুলনায় আমাদের দোকানে আরও চুরি কম হয়।’

এছাড়া জেডির মতো চীনের বিশাল ইন্টারনেট কোম্পানিও এমন কর্মীবিহীন সুপার মার্কেট খুলছে। ফেস রেকোগনিশন প্রযুক্তির ভিত্তিতে সবকিছু চলে। একবার অ্যাপের মাধ্যমে নিবন্ধন করতে হয়। তারপর ইচ্ছামতো পণ্য তুলে নিলেই হলো। বের হওয়ার সময় শুধু মুখ দেখালেই চলবে। দাম অ্যাকাউন্ট থেকে কেটে নেওয়া হবে। প্রতিষ্ঠানটির ব্যবস্থাপক সং পেন বলেন, ‘এখনও আমরা পরীক্ষামূলক পর্যায়ে রয়েছি, তাই নির্দিষ্ট সংখ্যা বলতে পারব না। তবে সাধারণ সুপার মার্কেটের তুলনায় এমন দোকান অনেক সস্তায় চালানো সম্ভব বলে আমাদের ধারণা।’

চীনের মতো অন্য কোনো দেশে বোধহয় ডিজিটাল পদ্ধতিতে কেনাকাটার বিষয়ে এত উৎসাহ দেখা যায় না। মোবাইল ফোনের অ্যাপের মাধ্যমে বিল মেটানো, অনলাইন ডেলিভারি পরিষেবা ব্যবহার দৈনন্দিন জীবনযাত্রার অঙ্গ হয়ে উঠেছে।

 

আর্কাইভ

রবি সোম মঙ্গল বুধ বৃহ শুক্র শনি
১০১১১২১৩১৪
১৫১৬১৭১৮১৯২০২১
২২২৩২৪২৫২৬২৭২৮
২৯৩০