শেয়ার বিজ ডেস্ক : বাংলাদেশে আদানি গোষ্ঠীর বিদ্যুৎ রপ্তানি প্রকল্পের বিরোধিতা করে কলকাতা হাই কোর্টে জনস্বার্থ মামলা করেছেন পশ্চিমবঙ্গের মুর্শিদাবাদ জেলার ৩০ জন কৃষক এবং মানবাধিকার সংগঠন অ্যাসোসিয়েশন ফর প্রটেকশন অব ডেমোক্রেটিক রাইটস (এপিডিআর)। এতে বাংলাদেশে আদানির বিদ্যুৎ রপ্তানিতে অনিশ্চয়তা দেখা দিয়েছে।
মঙ্গলবার (৩১ জানুয়ারি) এই মামলা গ্রহণ করে কলকাতা হাইকোর্ট। আগামী ৭ ফেব্রুয়ারি এই মামলার শুনানির দিন ধার্য করেছে প্রধান বিচারপতি প্রকাশ শ্রীবাস্তব ও বিচারক রাজর্ষি ভরদ্বাজের ডিভিশন বেঞ্চ।
আরো পড়ুন :
ভারতীয় টিভি চ্যানেল কলকাতা টিভি এবং ইটিভি জানায়, ভারতের ঝাড়খন্ডে নির্মাণাধীন আদানি কয়লাভিত্তিক বিদ্যুৎকেন্দ্র থেকে আগামী মার্চে বাংলাদেশে যে বিদ্যুৎ আসার কথা রয়েছে, সেটিও অনিশ্চয়তায়ে পড়ল।
২০১৭ সালে ভারতের ঝাড়খন্ড রাজ্যের গোড্ডা জেলায় আদানি গ্রুপের পাওয়ার প্ল্যান্ট থেকে হাইটেনশন লাইন দিয়ে বাংলাদেশে বিদ্যুৎ নেওয়ার চুক্তি সম্পাদিত হয়। চুক্তি অনুযায়ী, ৮০০ মেগাওয়াট বিদ্যুৎ বাংলাদেশে যাওয়ার কথা রয়েছে।
ঝাড়খন্ড থেকে বাংলাদেশ সীমান্ত পর্যন্ত প্রায় ৯৫ কিলোমিটারের জন্য হাইটেনশন লাইন স্থাপন করতে হচ্ছে আদানি গ্রুপকে। সে কাজ দ্রুত গতিতে চলছে। ঝাড়খন্ড থেকে বিদ্যুতের এই লাইন মূলত পশ্চিমবঙ্গের মালদা ও মুর্শিদাবাদ জেলার ওপর দিয়ে নিয়ে যাচ্ছে আদানি গ্রুপ।
তবে সম্প্রতি মুর্শিদাবাদের ফারাক্কার বেশ কয়েকজন কৃষক অভিযোগ করেন, বিদ্যুতের তার যাওয়ার কারণে তাদের লিচু ও আম বাগানের ফলন নষ্ট হচ্ছে। বিষয়টি নিয়ে স্থানীয় প্রশাসনের দ্বারস্থ হয়ে পরপর তিন দফায় বৈঠকের উদ্যোগ নেওয়া হয়।
তবে চেষ্টা ব্যর্থ হয়। কৃষকদের হয়ে মঙ্গলবার (৩১ জানুয়ারি) কলকাতা হাইকোর্টে মানবাধিকার সংগঠন এপিডি জনস্বার্থে মামলার আবেদন করলে আদালত তা গ্রহণ করে আগামী ৭ তারিখ সব পক্ষকে ডেকে পাঠান।
আদালত সূত্রে জানা যায়, আদানি গ্রুপের এই বিদ্যুৎ সঞ্চালন লাইনের কারণে ক্ষতিগ্রস্থ আরেকজন কৃষকও কলকাতা হাইকোর্টে মামলা করেছিলেন সম্প্রতি। মঙ্গলবার সেই মামলার শুনানির কথা থাকলেও সেটা হয়নি।
এদিকে ফারাক্কায় আদানির বিদ্যুৎ প্রকল্পের কাজ বন্ধ করার দাবিতে কৃষকরা এখনো আন্দোলন চালিয়ে যাচ্ছেন বলে স্থানীয় গণমাধ্যম দাবি করছে।
আরো পড়ুন :