শেয়ার বিজ ডেস্ক: ভারতের পশ্চিমবঙ্গ রাজ্যের কলকাতায় সত্তরোর্ধ্ব এক নারী সোয়াইন ফ্লুতে আক্রান্ত হয়েছেন। বেসরকারি হাসপাতালে চিকিৎসা চলছে তার। আক্রান্তের শারীরিক অবস্থা গুরুতর বলে জানা গেছে। খবর: আনন্দবাজার।
ওই নারীর বাড়ি হাওড়ায়। গত বৃহস্পতিবার হাসপাতালে ভর্তি হওয়ার সময় তার হƒদস্পন্দন তুলনামূলক বেশি ছিল। এছাড়া সংক্রমিত হয়েছে তার ফুসফুস। এরপর পরীক্ষা-নিরীক্ষার পর সোয়াইন ফ্লু ধরা পড়ে।
হাসপাতাল সূত্রের খবর, তার শারীরিক অবস্থা রীতিমতো আশঙ্কাজনক। বাই-প্যাপ সাপোর্টে রাখা হয়েছে
ওই নারীকে।
এর আগে, কভিড-১৯ মহামারির মধ্যে গত বছরের মাঝামাঝি সোয়াইন ফ্লু সংক্রমণ ঘটে কলকাতায়। জুনে ৩ জন আক্রান্তের সন্ধান পাওয়া গিয়েছিল। আরও আগে ২০২০ সালে কলকাতায় সোয়াইন ফ্লু’র দাপট বেড়ে যায়। কলকাতায় এইচওয়ানএনওয়ানে (সোয়াইন ফ্লুর ভাইরাস) ১২ জন আক্রান্ত হন। তারা কলকাতার সরকারি-বেসরকারি হাসপাতালে চিকিৎসা নেন। এর আগে কলকাতার পাশাপাশি ভারতের অন্য রাজ্যেও সোয়াইন ফ্লুর প্রকোপ দেখা গেছে। ২০১৫ সালে পরিস্থিতি মারাত্মক আকার ধারণ করে। তখন রাজস্থানে এ রোগে সবচেয়ে বেশি আক্রান্ত ছিল। তখন এ রাজ্যে ২ হাজার ৫শ’ ৬৮ জন সোয়াইন ফ্লুতে আক্রান্ত হওয়ার খবর পাওয়া যায়। মৃত্যু হয় ১৬৫ জনের। গুজরাটে ১ হাজার ৬শ’ ৭৪ জন আক্রান্তের মধ্যে ১৪৪ জন মারা যান। এ ছাড়া দিল্লিতে ৬, তেলেঙ্গানায় ৪৬, মহারাষ্ট্রে ৫৮, তামিলনাড়ুতে ৮ ও মধ্যপ্রদেশে ৭৬ জনের মৃত্যুর খবর পাওয়া যায়।
স্বাস্থ্য দপ্তর জানায়, এবারও বিচ্ছিন্নভাবে বেশ কয়েকজন সোয়াইন ফ্লুতে আক্রান্ত হয়েছেন। পরিস্থিতির ওপর নজর রাখা হচ্ছে। রোগটি সাধারণত হাঁচি-কাশির মাধ্যমে মানুষের মধ্যে সংক্রমিত হয়। আক্রান্ত ব্যক্তির কাছে থাকলে, তার ব্যবহƒত পাত্রে খাবার খেলে বা ওই ব্যক্তির কাপড় পড়লে ফ্লু ছড়ানোর আশঙ্কা থাকে। সাধারণত এর উপসর্গ সাধারণ ফ্লুর মতো। জ্বর, কাশি, গলাব্যথা, শরীরে ব্যথা, ঠাণ্ডা ও অবসাদের মতো উপসর্গ দেখা দিতে পারে ফ্লু হলে। পাশাপাশি শ্বাসকষ্ট, র্যাশ, পাতলা পায়খানাও হতে পারে।
