Print Date & Time : 18 June 2025 Wednesday 5:26 pm

কলড্রপের শীর্ষে গ্রামীণফোন তথ্য নেই টেলিটকের

নিজস্ব প্রতিবেদক: মোবাইল ফোন অপারেটরগুলোর মধ্যে কলড্রপে বর্তমানে শীর্ষে রয়েছে গ্রামীণফোন। এ অপারেটরের গ্রাহকেরা কলড্রপের বিড়ম্বনায় সবচেয়ে বেশি পড়েন। এর পরের স্থানে বাংলালিংক। টেলিটকের এ-সংক্রান্ত কোনো তথ্য নেই। গতকাল বাংলাদেশ টেলিযোগাযোগ নিয়ন্ত্রণ কমিশন (বিটিআরসি) আয়োজিত ‘মোবাইল ফোনে কলড্রপ ও এর ক্ষতিপূরণ’ শীর্ষক এক সংবাদ সম্মেলনে এসব তথ্য জানানো হয়।

সংবাদ সম্মেলনে চলতি বছরের মে মাসের কলড্রপের পরিসংখ্যান অনুযায়ী এ চিত্র তুলে ধরা হয়। ৩১ দিনে গ্রামীণফোন, রবি ও বাংলালিংকের মোট অননেট কলড্রপ হয়েছে সাত কোটি ৯৯ লাখ ৬৬ হাজার ৩৩২টি। প্রথম কলড্রপ পাঁচ কোটি ১৪ লাখ ৪৬ হাজার ৩৪৭, দ্বিতীয়টি এক কোটি ৪৭ লাখ ৩০ হাজার ১৭৮, তৃতীয়টি ৫৬ লাখ ৬৮ হাজার ৫৬৬, চতুর্থটি ২৭ লাখ ৪২

 হাজার ৭৫৬, পঞ্চমটি ১৫ লাখ ৪১ হাজার ১৬০, ষষ্ঠটি ৯ লাখ ৫০ হাজার ৩১০টি ও সপ্তম ১০ লাখ ২৬ হাজারটি। এর বাইরে আরও ১৪ লাখ ৬০ হাজার ৮৯২টি কলড্রপ হয়েছে।

মে মাসের মোট কলড্রপের মধ্যে রয়েছে গ্রামীণফোনের তিন কোটি ৯৬ লাখ ছয় হাজার ২৮৪, রবির তিন কোটি ৩১ লাখ চার হাজার ৮১৫টি ও বাংলালিংকের সাত লাখ ১৫ হাজার ৫৩৩টি।

টেলিটকের কলড্রপের চিত্র না থাকার বিষয়ে বিটিআরসির চেয়ারম্যান শ্যাম সুন্দর সিকদার বলেন, অচিরেই তথ্য নিয়ে আসব। আমরা ভুল স্বীকার করছি, টেলিটক পিছিয়ে আছে।

সংবাদ সম্মেলনে জানানো হয়, ক্ষতিপূরণ হিসেবে প্রথম ও দ্বিতীয় কলড্রপের ক্ষেত্রে তিনটি পালস (৩০ সেকেন্ড) এবং তৃতীয় থেকে সপ্তম কলড্রপের ক্ষেত্রে আর্থিক ও মানসিক ক্ষতির বিষয়টি বিবেচনায় নিয়ে চারটি পালস গ্রাহককে ফেরত দেয়া হবে। আরও জানানো হয়, আগামীতে মোবাইল ডেটার দামের একটি ফ্লোরপ্রাইস নির্ধারণ করে দেওয়া হবে।

অনুষ্ঠানে ডাক ও টেলিযোগাযোগমন্ত্রী মোস্তাফা জব্বার ভার্চুয়ালি যুক্ত হয়ে বলেন, কলড্রপের ক্ষতিপূরণ আদায় করা আমাদের মূল্য লক্ষ্য না। তারা যদি সেবার মান বাড়িয়ে দেয়, তাহলে তো আর ক্ষতিপূরণ দিতে হবে না। আমি একজন গ্রাহক হিসেবে কলড্রপের ক্ষতিপূরণ পাচ্ছি, এটি গুরুত্বপূর্ণ নয়। গুরুত্বপূর্ণ বিষয় হলো, কোনো রকম বাধা-বিঘœ ছাড়া সেবা পাওয়া। 

অফনেট কলড্রপের ক্ষতিপূরণের কী হবেÑপ্রশ্ন করা হলে বিটিআরসির পক্ষ থেকে বলা হয়, অফনেট কলড্রপের ক্ষতিপূরণও যেন গ্রাহক পেতে পারেন, সেজন্য কাজ করছে বিটিআরসি। অফনেট কলড্রপের ক্ষেত্রে বাণিজ্যিক বিদ্যুৎ চলে যাওয়া, এনটিটিএন ফাইবার কাটায়, ট্রান্সমিশন নেটওয়ার্ক মানসম্মত না হওয়া, যন্ত্রপাতি অচল হওয়াসহ বেশ কিছু কারণ রয়েছে। এখানে অনেকগুলো অংশীজন যুক্ত রয়েছেন। বিটিআরসির চেয়ারম্যান শ্যাম সুন্দর সিকদারের সভাপতিত্বে সংবাদ সম্মেলনে ভিডিও কনফারেন্সের মাধ্যমে সংযুক্ত ছিলেন টেলিযোগাযোগ সচিব মো. খলিলুর রহমান। কলড্রপ নিয়ে উপস্থাপনা দেন বিটিআরসির সিস্টেম অ্যান্ড সার্ভিসেস বিভাগের মহাপরিচালক ব্রিগেডিয়ার জেনারেল মো. নাসিম পারভেজ। এ ছাড়া সম্মেলনে বিটিআরসির ঊর্ধ্বতন কর্মকর্তাদের পাশাপাশি মোবাইল ফোন অপারেটরগুলোর প্রতিনিধিরা উপস্থিত ছিলেন।