শেয়ার বিজ ডেস্ক: বৈদ্যুতিক শক্তিচালিত গাড়ি কার্বন নির্গমন কমাতে সাহায্য করে। তবে তার জন্য চাই চার্জিংয়ের অবকাঠামো। কলম্বিয়ায় ভিন্টেজ গাড়িতে নতুন ইঞ্জিন বসিয়ে কিছু পরিবর্তন আনা হচ্ছে। গোটা দেশে জ্বালানির ক্ষেত্রে পরিবর্তনের উদ্যোগ চলছে। খবর: ডয়চে ভেলে।
১৯৫২ সালে তৈরি ফলক্সভাগেন কোম্পানির এই ভ্যানটি কোনো বিষাক্ত গ্যাস নির্গমণ না করে বোগোটার পথে ঘুরছে। বাইরের খোলস খাঁটি হলেও ভেতরের ইঞ্জিনটি বৈদ্যুতিক শক্তিতে চলে।
কার্লোস আন্দ্রেস গার্সিয়া ভিনটেজ গাড়ির অনুরাগী। তিনি ‘এভকো’ কোম্পানির অন্যতম কর্ণধারও বটে। প্রায় সাত হাজার ৭০০ ইউরোর বিনিময়ে এই কোম্পানি ভিন্টেজ গাড়িতে ইলেকট্রিক ইঞ্জিন বসায়। আন্দ্রেস বলেন, ‘আমরা ভবিষ্যতেও ভিন্টেজ গাড়ি দেখে আনন্দ পেতে চাই। কিন্তু পরিবেশের অবস্থার পরিপ্রেক্ষিতে কম্বাসচন ইঞ্জিন ব্যবহার মোটেই দায়িত্বজ্ঞানের পরিচয় হতে পারে না। আমরা আরো ভালোভাবে বাঁচতে চাই।’
বেশিরভাগ মালিকই তাদের ভিন্টেজ গাড়ির ভালো যত্ন নেন। সে কারণে ইলেকট্রিক ইঞ্জিনে রূপান্তরের জন্য সেগুলো খুবই উপযুক্ত। আন্দ্রেস বলেন, ‘আমরা যানের ইঞ্জিন মাউন্ট, সব প্রযুক্তি ও জ্যামিতি কাজে লাগিয়েছি। তাই ইঞ্জিন বদলানোর পরও সেটির আচরণ একই রকম থাকে।’
বর্তমান কাঠামোর মধ্যেই সব ঢোকানো এবং নতুন করে ইঞ্জিন বসানোর পরও সবকিছু ঠিকমতো চালু রাখাই সবচেয়ে বড় চ্যালেঞ্জ। মেকানিকাল ইঞ্জিনিয়ার হিসেবে ডানিয়েল ওনার্দো সান্ডোভাল নিজের কাজ সম্পর্কে নিশ্চিত। তিনি মনে করেন, ‘প্রত্যেকটি যান নিজস্ব কিছু চ্যালেঞ্জ নিয়ে আসে। আসলে কিন্তু প্রত্যেক ধরনের যানেই রূপান্তর ঘটানো সম্ভব। আমরা পাওয়ার ট্রান্সমিশন আদর্শ রাখার চেষ্টা করি। সেইসঙ্গে গাড়ির বাইরের নান্দনিক ও মৌলিক রূপ অক্ষত রেখেই কার্যকারিতার উন্নতির চেষ্টা করি।’
মূলযানে যে প্রযুক্তি যোগ করা হয়, তার ফলে মালিক আধুনিক গাড়ির অনেক সুবিধা পান। সেই নির্মল বৈদ্যুতিক শক্তি পরিবেশবান্ধব উপায়ে উৎপাদিত হলে আরও ভালো। আন্দ্রেস জানান, ‘আমরা যে ব্যাটারি ব্যবহার করি, সেগুলি তিন হাজার ৬০০ বার চার্জ করা সম্ভব। অর্থাৎ কোনো গাড়ির রেঞ্জ ২০০ কিলোমিটার হলে ব্যাটারির আয়ু হয় সাত লাখ কিলোমিটার অথবা ১২ থেকে ১৫ বছর হতে পারে।’
ইলেকট্রিক ইঞ্জিন কালো ধোঁয়া নির্গমন ও বিকট শব্দ দূর করে, যা যানজট ও শব্দদূষণে জর্জরিত এই শহরের জন্য বিশাল উপকারী। তবে সাম্প্রতিক কালে কলম্বিয়ায় ইলেকট্রিক ও হাইব্রিড যানের অনুমোদন বেড়ে চললেও গোটা দেশজুড়ে ইলেকট্রিক যান চালানোর অবকাঠামো এখনো গড়ে ওঠেনি।