চিনময় কর্মকার, পটুয়াখালী: দীর্ঘদিন ধরে মেরামত না করায় পটুয়াখালীর কলাপাড়ার ৩৪ কিলোমিটার পাকা সড়ক চলাচলের অনুপযোগী হয়ে পড়েছে। ফলে দুর্ভোগ পোহাতে হচ্ছে চলাচলকারীদের। চলতি বর্ষা মৌসুমে এসব সড়ক মারণফাঁদে পরিণত হয়েছে।
স্থানীয় সরকার ও প্রকৌশল অধিদফতর (এলজিইডি) সূত্রে জানা গেছে, উপজেলার ১৪৮ কিলোমিটার পাকা সড়ক রয়েছে। এর মধ্যে ভালো সড়কের দৈর্ঘ্য রয়েছে ১১৪ দশমিক ৫০ কিলোমিটার। কিন্তু দীর্ঘদিন সড়কগুলো মেরামত না করায় প্রায় ৩৩ দশমিক ৫০ কিলোমিটার সড়কই এখন চলাচলের অনুপযোগী হয়ে পড়েছে।
সংশ্লিষ্ট এলাকার জনপ্রতিনিধিদের সূত্রে জানা যায়, উপজেলায় ক্ষতিগ্রস্ত অভ্যন্তরীণ সড়কগুলোর মধ্যে রয়েছে চাকামইয়া এলাকায় দুই কিলোমিটার, ধানখালী এলাকায় ১৬ কিলোমিটার, লালুয়া এলাকায় দুই কিলোমিটার, বালিয়াতলী এলাকায় ছয় কিলোমিটার, ধুলাসার এলাকায় তিন কিলোমিটার, মহিপুর এলাকায় দুই কিলোমিটার, নীলগঞ্জ এলাকায় দুই কিলোমিটার, লতাচাপলি এলাকায় তিন কিলোমিটার এবং ধুলাসার এলাকায় তিন কিলোমিটার। এ সড়কগুলোর বিভিন্ন স্থানে কার্পেটিং উঠে বড় বড় গর্ত ও খানাখন্দের সৃষ্টি হয়েছে। কোনো কোনো সড়কের দু’পাশ ভেঙে পড়েছে। আবার কোনো সড়কের সিলকোটসহ দু’পাশের মাটি পড়ে গেছে। অধিকাংশ সড়ক চলাচলের অযোগ্য হয়ে পড়েছে। যানবাহন চলাচল তো দূরের কথা, পায়ে হেঁটে চলাচল করাও কষ্টকর। তারপরও ওইসব সড়কে ঝুঁকি নিয়ে চলাচল করছে যানবাহন।
ভাড়ায় মোটরসাইকেল চালক নুর ছায়েদ জানান, জীবনের ঝুঁকি নিয়ে এ সড়কে গাড়ি চালাতে হচ্ছে। মৎস্যবন্দর থেকে আলীপুর-গঙ্গামতি-চাপলি সড়কটি দিয়ে প্রতিদিন কয়েকশ যানবাহন চলাচল করে। বিভিন্ন স্থানে ইটের খোয়া উঠে খানাখঝন্দে পরিণত হয়েছে। পর্যটকদের মোটরসাইকেলে ঝুঁকি নিয়ে চলাচল করতে হচ্ছে।
ধুলাসার ইউনিয়নের চেয়ারম্যান আবদুল জলিল আকন জানান, আলীপুর মৎস্যবন্দর থেকে কাউয়ারচর পর্যন্ত সড়কের বেহাল দশা। এছাড়া চাপলিবাজার থেকে গঙ্গামতি সৈকতে যাওয়ার সড়কসহ চাপলিবাজার থেকে আলীপুর মৎস্যবন্দর সড়কটি জরুরি ভিত্তিতে মেরামত করা প্রয়োজন।
স্থানীয় সরকার প্রকৌশল অধিদফতরের প্রকৌশলী আবদুল মান্নান জানান, বর্তমানে যে সড়কগুলো খুবই খারাপ অবস্থায় আছে, সে সড়কগুলো মেরামতের কাজ প্রক্রিয়াধীন। সেপ্টেম্বর থেকে সড়ক মেরামতের কাজ শুরু হবে। বর্তমানে ১২ কিলোমিটার সড়কের কাজ চলছে।