নিজস্ব প্রতিবেদক: ইনস্টিটিউট অব কস্ট অ্যান্ড ম্যানেজমেন্ট অ্যাকাউন্ট্যান্টস অব বাংলাদেশের (আইসিএমএবি) আয়োজনে গত শুক্রবার ‘দ্য চ্যালেঞ্জেস অ্যান্ড রোল অব প্রফেশনাল অ্যাকাউন্ট্যান্টস অ্যামিড অ্যান্ড পোস্ট কভিড-১৯ এরা’ শিরোনামে এক আন্তর্জাতিক ওয়েবিনার অনুষ্ঠিত হয়। বাণিজ্য সচিব ড. মো. জাফর উদ্দিন এতে প্রধান অতিথি ছিলেন। মূলপ্রবন্ধ উপস্থাপন করেন আইসিএমএবি সাবেক সভাপতি ও কাউন্সিল সদস্য এএসএম শায়খুল ইসলাম।
এতে বক্তারা বলেন, সব পাবলিক কোম্পানিতে কস্ট অডিট প্রক্রিয়া বাস্তবায়নের জন্য যথাযথ ব্যবস্থা গ্রহণ করা হবে। বিশ্বব্যাপী এ দুর্যোগের পরিপ্রেক্ষিতে ও মোকাবিলায় অর্থনৈতিক ও বাণিজ্যিক কর্মকাণ্ডে নতুন পন্থায় কাজের পরিকল্পনা উঠে আসবে মনে করেন তারা।
বাণিজ্য সচিব তার বক্তব্যে করোনা পরিস্থিতিতে উদ্ভূত সমস্যা নিরসনে সরকারের নেওয়া প্রণোদনামূলক প্যাকেজের কথা উল্লেখ করেন। তিনি আশা করেন, এই পরিস্থিতিতে পেশাদার হিসাববিদরা গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা রাখতে সক্ষম হবেন।
আইসিএমএবি সভাপতি কস্ট অডিট বাস্তবায়নের জন্য ২০০১ প্রজ্ঞাপনের বিষয়টিকে গুরুত্ব দিয়ে তিনি বলেন, সব পাবলিক লিমিটেড কোম্পানিতে কস্ট অডিট প্রক্রিয়া বাস্তবায়নের জন্য যথাযথ ব্যবস্থা গ্রহণ করা হবে। বিশ্বব্যাপী এই দুর্যোগের পরিপ্রেক্ষিতে ও মোকাবিলায় অর্থনৈতিক ও বাণিজ্যিক কর্মকাণ্ডে নতুন পন্থায় কাজের পরিকল্পনা উঠে আসবে বলে তিনি আশাবাদ জানান।
আইসিএমএবি সভাপতি জসিম উদ্দিন আকন্দ উদ্বোধনী বক্তব্যে হিসাববিদ্যা পেশায় নিয়োজিত বৈশ্বিক প্রতিষ্ঠানসমূহ এবং পেশাদাররা একই প্ল্যাটফর্মে এসে কাজ করার আশাবাদ জানান। কস্ট অডিট প্রক্রিয়া প্রয়োগ বাস্তবায়নের বিষয়ে তিনি বলেন, ২০০১ সালে তালিকাভুক্ত সব পাবলিক লিমিটেড কোম্পানিতে কস্ট অডিট প্রক্রিয়া বাধ্যতামূলকের প্রজ্ঞাপন দেওয়া হয়েছিল। এ বিষয়ে তিনি সংশ্লিষ্ট নীতিনির্ধারকদের দৃষ্টি আকর্ষণ করেন।
মূল প্রবন্ধে আইসিএমএবি সাবেক সভাপতি এএসএম শায়খুল ইসলাম বৈশ্বিক অর্থনৈতিক দুর্যোগ ২০০৮ সালের অর্থনৈতিক সংকটের চেয়েও প্রকট হয়ে উঠতে পারে বলে উল্লেখ করেন। এ অবস্থায় সব ধরনের প্রতিষ্ঠান এবং পেশাদার হিসাববিদ, নিরীক্ষক এবং পরামর্শক এই পরিস্থিতি মোকাবিলায় চ্যালেঞ্জের মুখোমুখি হবেন। করপোরেট খাতে তারল্য সংকট এবং আর্থিক ব্যবস্থাপনা খুবই দুরূহ হয়ে উঠতে পারে। তবে এই বৈশ্বিক কভিড-১৯ বিপর্যয় কেটে গেলে অর্থনৈতিক সংকটও নিরসনের আশা জানান তিনি।
তিনি ব্যবসায়িক প্রতিষ্ঠানগুলোর ধারাবাহিকতা সম্পদের মূল্য নির্ধারণে আইএফআরএস প্রক্রিয়া অনুসরণের প্রয়োজনীয়তা উল্লেখ করেন এবং পরিস্থিতিতে পেশাদার হিসাববিদদের নীতিনির্ধারণে চ্যালেঞ্জের বিষয় তুলে ধরেন। সরকার উল্লিখিত প্রণোদনামূলক প্যাকেজের ব্যবস্থাপনাতেও নিরীক্ষার প্রয়োজন উল্লেখ করেন তিনি। সার্বিক ও পরিবর্তিত পরিস্থিতিতে তিনি ডিজিটাল প্ল্যাটফর্মে কার্যক্রমের বিষয়েও গুরুত্ব জ্ঞাপন করেন।
মূল প্রবন্ধের বিষয়ে আইসিএমএবি সাবেক সভাপতি আরিফ খান বিশ্লেষণমূলক মন্তব্য জ্ঞাপন করেন। আইসিএমএবি সহসভাপতি মামুনুর রশিদ অনুষ্ঠানটি সঞ্চালনার ভূমিকা পালন করেন। আইসিএমএবি সচিব মনিরুল ইসলাম ওয়েবিনারে অংশগ্রহণকারীদের ধন্যবাদ জ্ঞাপন করেন।
এই ওয়েবিনারে সাউথ এশিয়ান ফেডারেশন অব অ্যাকাউন্ট্যান্টসের (সাফা) সভাপতি জিয়া উল মুস্তাফা আওয়ান, ইনস্টিটিউট অব চার্টার্ড অ্যাকাউন্ট্যান্টস অব ইন্ডিয়ার (আইসিএআই) সভাপতি অতুল কুমার গুপ্ত, কস্ট অ্যাকাউন্ট্যান্টস অব ইন্ডিয়ার (আইসিএআই) সভাপতি বলভিন্দর সিং, সার্টিফায়েড ম্যানেজম্যান্ট অ্যাকাউন্ট্যান্টস অব শ্রীলংকার (সিএমএএস) সভাপতি অধ্যাপক লক্ষণ আর. ওয়াটাওয়ালা, ইনস্টিটিউট অব চার্টার্ড অ্যাকাউন্ট্যান্টস অব নেপালের সভাপতি সিএ কৃষ্ণ প্রসাদ আচার্য্য, ইনস্টিটিউট অব চার্টার্ড অ্যাকাউন্ট্যান্টস অব বাংলাদেশের (আইসিএবি) সহসভাপতি সাব্বির আহমেদ এফসিএমএ, দ্য কনফেডারেশন অব এশিয়ান অ্যান্ড প্যাসিফিক অ্যাকাউন্ট্যান্টসের (কাপা) নির্বাহী পরিচালক মিস ইলেন হং এবং ঢাকা স্টক এক্সচেঞ্জের প্রধান পরিচালন কর্মকর্তা সাইফুর রহমান মজুমদার নিজস্ব কর্মপ্রেক্ষিত ও প্রতিষ্ঠানের প্রতিনিধিত্বকারী হিসেবে বক্তব্য রাখেন।