Print Date & Time : 20 June 2025 Friday 8:46 pm

কাঁচা মরিচের দাম আকাশচুম্বী

প্রতিনিধি, গাংনী (মেহেরপুর) :ঈদুল আজহা আসতে এখনও সপ্তাহ খানেক বাকি অথচ তার আগে থেকে মেহেরপুরের বিভিন্ন বাজারে কাঁচা মরিচের দাম সপ্তাহ ব্যবধানে বেড়ে দ্বিগুণ হয়ে গেছে। বর্তমানে মরিচের বাজার দরে অতিষ্ঠ ক্রেতারা। দাম বেড়ে প্রতি কেজি কাঁচা মরিচ বর্তমানে বিক্রি হচ্ছে ২৫০ থেকে ২৭০ টাকা কেজি দরে। বাজার ভেদে তা আরও ১০ থেকে ২০ টাকা বেশি দামে বিক্রি হচ্ছে বলে অভিযোগ ভোক্তাদের। অথচ চার দিন আগেও প্রতি কেজি কাঁচা মরিচ বিক্রি হয়েছে ১০০ টাকা থেকে ১১০ টাকা পর্যন্ত।

শুক্রবার জেলার ঐতিহ্যবাহী বামন্দী পাইকারি ও খুরচা বাজার ঘুরে দেখা যায়, সকাল থেকে বামন্দী বাজারে ঝাঁলের আমদানি ছিল কম। শুরুতে ঝাঁলের দাম ছিল ১৭০ টাকা করে। তবে বেলা বাড়ার সঙ্গে কাঁচা ঝালের আমদানি বাড়ে। সঙ্গে সঙ্গে বাড়তে থাকে দামও। আজ বেলা বারোটা পর্যন্ত দাম বেড়ে গিয়ে ২৬০ টাকায় ঠেকেছে। অথচ তিন দিন আগে এমনকি গতকাল অবধি চাষিরা পাইকারি বাজারে এ কাঁচা মরিচ বিক্রি করেছেন ১১৫ টাকা কেজি দরে।

ক্রেতারা জানান, সামনে ঈদ বলেই ব?্যবসায়ীরা যুক্তি করে মরিচের দাম বাড়িয়ে দিয়েছে। আর অজুহাত হিসেবে দেখাচ্ছে বর্ষা ও দেশে বিভিন্ন নদীর পানি বৃদ্ধিকে। অথচ আমাদের জেলায় বৃষ্টির দেখা নেই বললেই চলে, আবার নদীনালা শুকিয়ে মাটি দেখা যাচ্ছে। আবার ঝালের আমদানিও বেশ ভালো। আর আমরা এ বাড়তি দামে কাঁচা মরিচ কিনতে গিয়ে এখন দিশেহারা।

খুচরা বিক্রেতারা জানান, সামনে কোরবানির ঈদ। সেজন্য ট্রাকের ভাড়া বেড়েছে অনেক। সঙ্গে স্থানীয়ভাবে কাঁচা মরিচের উৎপাদন কম। পাশাপাশি ঈদের কারণে বাজারে কাঁচা মরিচের সরবরাহও কম হওয়ায় দাম বেড়ে গিয়েছে। চাষিরা বলছেন, গাছে মরিচ কম ধরছে এটা ঠিক। তবে গতকাল পর্যন্ত এ কাঁচা ঝালের দাম ছিল ১১৫ টাকা করে। আজ (শুক্রবার) হাটে বিক্রি করতে এসে শুনছি ২৪০

টাকা করে।

কাঁচা মরিচ ক্রেতা স্কুল শিক্ষক লাল্টু হোসেন বলেন, আমি বামন্দী বাজারে এসেছিলাম কোরবানির পশু কিনতে। সেই সঙ্গে বাড়ির সবজি বাজার সেরে নেবো মনে করছি। কাঁচা মরিচের দাম শুনে মাথায় নষ্ট হয়ে যাওয়ার অবস্থা। আধা কেজি মরিচের দাম বলে ১৩৫ টাকা। অথচ গতকাল সকালে আমাদের গ্রামের চাষিরা পাইকারি কাঁচা মরিচ বিক্রি করেছে ১১৫ টাকা করে।

কাঁচা মরিচ বিক্রেতা আরিফুল ইসলাম বলেন, আজ সকালে শুরুর দিকে কাঁচা মরিচ হঠাৎ ১৭০ টাকা কেজি দরে ঝাল আমদানি শুরু হয়। আর ঘণ্টা খানেক পর থেকে দাম বাড়তে থাকে। বতর্মানে তা বেড়ে ২৬০ টাকায় ভিড়ে গেছে। এ সময়টিতে স্থানীয় ঝাল কম উৎপাদন হয়। আমদানি ঝালের ওপর নির্ভর করে। আর আমদানিকৃত ঝালের দাম বেশি হওয়াই স্থানীয় বাজারে দাম বেড়ে গেছে।

কাঁচা মরিচ চাষি এখলাচ হোসেন বলেন, গতকাল পর্যন্ত আমরা স্থানীয় পাইকারি বাজারে কাঁচা মরিচ বিক্রি করেছি ১১৫ টাকা করে। আর আজ সকালে বামন্দী সবজি বাজারে এসে শুরুর দিকে দাম পেয়েছি ১৭০ টাকা করে। আর বেলা গড়ার সঙ্গে সঙ্গে তা বেড়ে ২৬০ টাকা করে বিক্রি হচ্ছে।