শেয়ার বিজ ডেস্ক: কুমিল্লার ১৭ নম্বর ওয়ার্ডের কাউন্সিলর সৈয়দ মো. সোহেলসহ দুজনকে গুলি করে হত্যার ঘটনায় মামলা হয়েছে। মামলায় ১৬নং ওয়ার্ডের শাহ আলমকে প্রধান আসামি করে ১১ জনের নাম উল্লেখ করা হয়েছে। এ ছাড়া অজ্ঞাতপরিচয় আসামি করা হয়েছে আরও ১০ জনকে।
গতকাল মঙ্গলবার রাত সোয়া ১২টার দিকে কুমিল্লা কোতোয়ালি মডেল থানায় মামলাটি করেন নিহত সোহেলের ছোট ভাই সৈয়দ মো. রুমন।
বিষয়টি নিশ্চিত করে কুমিল্লা কোতোয়ালি মডেল থানার পরিদর্শক (তদন্ত) কমল কৃষ্ণ ধর জানান, রাত সোয়া ১২টার দিকে মামলাটি করা হয়। মামলায় ১৬ নম্বর ওয়ার্ডের শাহ আলমকে প্রধান আসামি করে ১১ জনের নাম উল্লেখ করা হয়েছে। এছাড়া অজ্ঞাতপরিচয় আসামি করা হয়েছে ১০-১২ জনকে।
আসামিরা হলেন- সুজানগর বৌ বাজার এলাকার মৃত জানু মিয়ার ছেলে শাহ আলম (২৮), নবগ্রাম এলাকার শাহ আলমের ছেলে সোহেল (২৮), সুজানগর এলাকার রফিক মিয়ার ছেলে সাব্বির হোসেন (২৮), সুজানগর বৌ বাজার এলাকার সুমন (৩২), সংরাইশ এলাকার কাকন মিয়ার ছেলে সাজন (৩২), তেলীকোনা এলাকার আনোয়ার হোসেনের ছেলে আশিকুর রহমান রকি (৩২), সুজানগর বৌ বাজার এলাকার জানু মিয়ার ছেলে আলম (৩৫), সংরাইশ এলাকার মঞ্জিল মিয়ার ছেলে মাসুম (৩৯), নবগ্রাম এলাকার মৃত সামছুল হকের ছেলে সায়মন (৩০), সুজানগর বৌ বাজার এলাকার কানাই মিয়ার ছেলে রনি (৩২)। খবর বাসস
নিহত কাউন্সিলরের ছোটভাই মামলার বাদী রোমান বলেন, “হত্যাকাণ্ডের ঘটনায় একদল সন্ত্রাসীর সঙ্গে শাহ আলম ছিলেন। তার নেতৃত্বে আমার ভাই ও তার সহযোগীকে গুলি করা হয়েছে। পরপর ৯টি গুলি করে করেছে মৃত্যু নিশ্চিত করেছে শাহ আলম।”
এ বিষয়ে কোতোয়ালি মডেল থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) আনওয়ারুল আজিম জানান, অভিযান চলছে। শিগগিরই আসামিদের ধরা হবে।
প্রসঙ্গত, সোমবার বিকেল ৪টার দিকে কুমিল্লা সিটি কর্পোরেশনের ১৭ নম্বর ওয়ার্ডের কাউন্সিলর সৈয়দ মো. সোহেল নিজ ব্যবসা প্রতিষ্ঠানে বসেছিলেন। এ সময় দুর্বৃত্তদের গুলিতে কাউন্সিলর সোহেল ও তার সহযোগী হরিপদ সাহা নিহত হন।
এ ঘটনায় আরও চারজন গুলিবিদ্ধ হয়ে কুমিল্লা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে চিকিৎসাধীন রয়েছেন।