নিজস্ব প্রতিবেদক: পুঁজিবাজারে তালিকাভুক্ত বস্ত্র খাতের কোম্পানি কাট্টলী টেক্সটাইল লিমিটেডের ঋণমান অবস্থান (ক্রেডিট রেটিং) নির্ণয় করেছে ক্রেডিট রেটিং এজেন্সি অব বাংলাদেশ লিমিটেড (সিআরএবি)। ঢাকা স্টক এক্সচেঞ্জ (ডিএসই) সূত্রে এ তথ্য জানা গেছে।
প্রাপ্ত তথ্যমতে, কোম্পানিটি দীর্ঘমেয়াদে রেটিং পেয়েছে ‘বিবিবি২’ আর স্বল্প মেয়াদে রেটিং পেয়েছে ‘এসটি-৩’। ২০২২ সালের ৩১ মার্চ পর্যন্ত অনিরীক্ষিত আর্থিক প্রতিবেদন ১৫ জুলাই, ২০২৩ ব্যাংকঋণের অবস্থান এবং অন্যান্য প্রাসঙ্গিক তথ্যের আলোকে এ মূল্যায়ন করা হয়েছে কোম্পানিটিকে।
বস্ত্র খাতের এই কোম্পানিটি ২০১৮ সালে পুঁজিবাজারে তালিকাভুক্ত হয়ে বর্তমানে ‘এ’ ক্যাটেগরিতে লেনদেন করছে। কাট্টলী টেক্সটাইলের ১৫০ কোটি টাকা অনুমোদিত মূলধনের বিপরীতে পরিশোধিত মূলধন ১১৬ কোটি ৩০ লাখ টাকা। বর্তমানে কোম্পানিটির রিজার্ভের পরিমাণ ৭৮ কোটি এক লাখ টাকা। কোম্পানির মোট ১১ কোটি ৬৩ লাখ ০৫ হাজার ২০০ শেয়ার রয়েছে। ডিএসইর সর্বশেষ তথ্যমতে, কোম্পানির মোট শেয়ারের মধ্যে উদ্যোক্তা ও পরিচালকদের কাছে ৩০ দশমিক ৩২ শতাংশ শেয়ার, প্রাতিষ্ঠানিক বিনিয়োগকারীর কাছে ২৩ দশমিক ১০ শতাংশ, বিদেশি বিনিয়োগকারীদের কাছে শূন্য দশমিক ২৫ শতাংশ এবং বাকি ৪৬ দশমিক ৩৩ শতাংশ শেয়ার রয়েছে সাধারণ বিনিয়োগকারীর কাছে।
কোম্পানিটি ২০২১ সালের ৩০ জুন সমাপ্ত হিসাববছরের জন্য ১০ শতাংশ নগদ লভ্যাংশ দিয়েছে। আলোচিত হিসাববছরে শেয়ারপ্রতি আয় (ইপিএস) হয়েছে ৫২ পয়সা এবং ৩০ জুন ২০২১ শেয়ারপ্রতি নেট সম্পদমূল্য (এনএভি) দাঁড়িয়েছে ১৬ টাকা ৭১। এর আগে কোম্পানিটি ২০২০ সালের ৩০ জুন সমাপ্ত হিসাববছরে ২ শতাংশ নগদ এবং ৮ শতাংশ বোনাস লভ্যাংশ দিয়েছে। আলোচিত হিসাববছরে শেয়ারপ্রতি আয় (ইপিএস) হয়েছে এক টাকা ৪৩ পয়সা এবং ৩০ জুন ২০২০ শেয়ারপ্রতি নেট সম্পদমূল্য (এনএভি) দাঁড়িয়েছে ১৭ টাকা ৬৩ পয়সা। ২০২১ সালের ৩০ জুন সমাপ্ত হিসাববছরে কোম্পানিটির মোট মুনাফা দাঁড়ায় ৬ কোটি টাকা। এর আগের বছরের একই সময়ে যার পরিমাণ ছিল ১৫ কোটি ৪৪ লাখ টাকা।
এদিকে সর্বশেষ কার্যদিবসে ডিএসইতে কোম্পানিটির শেয়ারদর অপরিবর্তিত থেকে প্রতিটি সর্বশেষ ২৩ টাকা ৭০ পয়সায় হাতবদল হয়, যার সমাপনী দরও ছিল একই। দিনজুড়ে কোম্পানিটির মাত্র একটি শেয়ার একবার লেনদেন হয়। গত এক বছরের মধ্যে কোম্পানিটির শেয়ারদর সর্বনিন্ম ২৩ টাকা ৭০ পয়সা থেকে সর্বোচ্চ ২৫ টাকা ৮০ পয়সার মধ্যে ওঠানামা করে।
সর্বশেষ নিরীক্ষিত আর্থিক প্রতিবেদন এবং বাজারদরের ভিত্তিতে মূল্য আয় অনুপাত (পিই রেশিও) ৪৫ দশমিক ৫৮ এবং অনিরীক্ষিত আর্থিক প্রতিবেদন এবং বাজারদরের ভিত্তিতে পিই রেশিও ১৬ দশমিক ৯৩।