শেয়ার বিজ ডেস্ক : কাতারের বাণিজ্য উদ্বৃত্ত বেড়ে দাঁড়িয়েছে প্রায় ৮৬ শতাংশে বা ১০৭ দশমিক ৩ বিলিয়ন কাতারি রিয়ালে। তৃতীয় প্রান্তিকে এ উদ্বৃত্ত বাড়ে মধ্যপ্রাচ্যের অন্যতম ধনী দেশটিতে। খবর: দ্য পেনিনসুলা কাতার।
২০২২ সালের তৃতীয় প্রান্তিকে রেকর্ড বাণিজ্য উদ্বৃত্ত হয়েছে দেশটিতে। তৃতীয় প্রান্তিকে রপ্তানিতে উল্লম্ফন ও আমদানিতে শ্লথগতির কারণে এ অবস্থানে পৌঁছায় দেশটি। গত বছর একই সময় ৫৭ দশমিক ৮ বিলিয়ন কাতারি রিয়াল উদ্বৃত্ত থাকে, যা চলতি বছর বেড়ে দাঁড়িয়েছে ৮৫ দশমিক ৬৪ বিলিয়ন কাতারি রিয়ালে। কাতারের পরিকল্পনা ও পরিসংখ্যান কর্তৃপক্ষ (পিএসএ) এ তথ্য জানিয়েছে।
গত শনিবার ‘কোয়াটারলি ফরেন মার্চেন্ডাইজ ট্রেড স্ট্যাটিসটিকস, কিউ৩ ২০২২ স্টেট অব কাতার’ শিরোনামে এ তথ্য প্রকাশ করেছে পিএসএ। এতে আমদানি, রপ্তানি, পুনঃরপ্তানি ও বাণিজ্য ভারসাম্য নিয়ে তথ্য প্রকাশ করা হয়েছে।
চলতি বছরের তৃতীয় প্রান্তিকে কাতার মোট ১৩৮ বিলিয়ন, যা ৮ বিলিয়ন কাতারি রিয়াল সমমূল্যের পণ্য রপ্তানি করে। এর মধ্যে রয়েছে অভ্যন্তরীণ পণ্য ও পুনঃরপ্তানি। বার্ষিক হিসাবে অর্থাৎ গত বছরের সাপেক্ষে এ বছর বেড়েছে ৫৬ দশমিক ২ বিলিয়ন রিয়াল (৬৮ শতাংশ)। গত বছরের একই সময় মাত্র ৮২ দশমিক ৬ বিলিয়ন রিয়ালের পণ্য রপ্তানি করে কাতার। এছাড়া চলতি বছরের দ্বিতীয় প্রান্তিকের তুলনায় তৃতীয় প্রান্তিকে রপ্তানি বেড়েছে ১০ দশমিক ২ শতাংশ বা ১২ দশমিক ৮ বিলিয়ন রিয়াল।
বার্ষিক হিসাবে তৃতীয় প্রান্তিকে মোট রপ্তানি বেড়ে যাওয়ার পেছনে ভূমিকা রেখেছে খণিজ জ্বালানি, লুব্রিক্যান্টস ও এ জাতীয় পণ্য। এ সময় এসব পণ্যের রপ্তানি বাড়ে ৭৭ দশমিক ১ শতাংশ বা ৫৪ দশমিক ২ বিলিয়ন রিয়াল। কেমিক্যাল ও এ জাতীয় পণ্যের রপ্তানি বাড়ে ১৩ দশমিক ২ শতাংশ বা ১ বিলিয়ন রিয়াল। উৎপাদনের কাঁচামাল রপ্তানি হয় ৩৬ দশমিক ৬ শতাংশ বা শুন দশমিক ৬ বিলিয়ন রিয়াল। একই সময় বিবিধ উৎপাদন পণ্যের রপ্তানি বাড়ে ১৮৪ দশমিক ২ শতাংশ বা শূন্য দশমিক ৪ বিলিয়ন রিয়াল। অপরদিকে মেশিনারি ও পরিবহন যন্ত্রপাতির রপ্তানি কমে শূন্য দশমিক শূন্য ৩ বিলিয়ন রিয়াল (১ দশমিক ৬ শতাংশ)। খাদ্য ও পশু রপ্তানি কমে ৭ দশমিক ৭ শতাংশ বা শূন্য দশমিক শূন্য শূন্য ২ বিলিয়ন রিয়াল।
আলোচ্য প্রান্তিকে কাতার মোট ৩১ দশমিক ৫ বিলিয়ন রিয়াল সমমূল্যের পণ্য আমদানি করে, যা গত বছরের একই সময়ের তুলনায় বেড়েছে ৬ দশমিক ৭ বিলিয়ন রিয়াল (২৭ দশমিক ১ শতাংশ)। চলতি বছরের দ্বিতীয় প্রান্তিকের তুলনায় যা ১৫ শতাংশ বা ৪ দশমিক ১ বিলিয়ন রিয়াল বেশি।
এ সময় তুলনামূলক বেশি আমদানি করা হয়েছে বিবিধ উৎপাদন পণ্যÑ ১ দশমিক ৯ বিলিয়ন (৪৪ দশমিক ৮ শতাংশ)। মেশিনারি ও
পরিবহন যন্ত্রপাতি আমদানি করা হয়েছে ১ দশমিক ৬ বিলিয়ন (১৬ দশমিক ২ শতাংশ), খাদ্য ও পশু আমদানি বেড়েছে ১ দশমিক ৩
বিলিয়ন (৫৬ শতাংশ), উৎপাদন পণ্য আমদানি বেড়েছে ২১ দশমিক ৩ শতাংশ। কেমিক্যাল ও এ জাতীয় পণ্য আমদানি বেড়েছে ২৬ দশমিক ৯ শতাংশ, খনিজ জ্বালানি, লুব্রিক্যান্টস ও এ জাতীয় পণ্যের ক্ষেত্রে যা বেড়েছে ১৪২ দশমিক ৭ শতাংশ। এ প্রান্তিকে উল্লেখজনকভাবে
আমদানি কমেনি।
২০২২ সালের দ্বিতীয় ত্রৈমাসিকে কাতারের প্রধান রপ্তানি গন্তব্য ছিল এশিয়ার দেশগুলো। এসব দেশে মোট রপ্তানির ৬০ দশমিক ৫ শতাংশ রপ্তানি করা হয়। আমদানিও করা হয় সবচেয়ে বেশিÑ৪০ দশমিক ১ শতাংশ। ইউরোপিয়ান ইউনিয়নে রপ্তানি করা হয় ২৮ দশমিক ১ শতাংশ এবং আমদানি করা হয় ২৬ দশমিক ৪ শতাংশ। উপসাগরীয় সহযোগিতা সংস্থার (জিসিসি) সদস্য দেশগুলোয় রপ্তানির হার ৮ দশমিক ৩ শতাংশ এবং আমদানির হার ৬ দশমিক ২ শতাংশ।
