Print Date & Time : 20 June 2025 Friday 11:53 pm

কাতারের রাষ্ট্রদূতের সঙ্গে বিকেএমইএ’র বৈঠক দ্বিপক্ষীয় বাণিজ্য বাড়াতে চার প্রস্তাব  

 

নিজস্ব প্রতিবেদক : কাতারের সঙ্গে বাংলাদেশের দ্বিপক্ষীয় বাণিজ্য বাড়াতে চারটি প্রস্তাব করা হয়েছে বাংলাদেশের সরকারি ও বেসরকারি প্রতিষ্ঠানগুলোর পক্ষ থেকে। ২০২২ সালের ফুটবল বিশ্বকাপ সামনে রেখে বাংলাদেশ থেকে নিটওয়্যার গার্মেন্টের পণ্য নেওয়া, পেট্রকেমিক্যাল ফাইবারভিত্তিক পোশাকশিল্পে বিনিয়োগ ও কাতারের বিমানবন্দরগুলোয় বাংলাদেশি পণ্যের শোরুম স্থাপনসহ বাংলাদেশে বিনিয়োগ বাড়াতে দেশটির প্রতি আহ্বান জানানো হয়েছে এসব প্রস্তাবে।

গতকাল বৃহস্পতিবার ‘নতুন বাজার সম্প্রসারণ কার্যক্রমে’র আওতায় কাতারের রাষ্ট্রদূত আহমেদ মোহাম্মদ আল দিহাইমির সঙ্গে বিকেএমইএ’র ঢাকার কার্যালয়ে অনুষ্ঠিত বৈঠকে এসব প্রস্তাব দেওয়া হয়। এতে বাংলাদেশ বিনিয়োগ উন্নয়ন কর্তৃপক্ষের (বিডা) নির্বাহী চেয়ারম্যান কাজী এম আমিনুল ইসলাম প্রধান অতিথি হিসেবে উপস্থিত ছিলেন। এছাড়া বৈঠকে রফতানি উন্নয়ন ব্যুরোর (ইপিবি) ভাইস চেয়ারম্যান মাফরুহা সুলতানাসহ বাণিজ্য ও পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের প্রতিনিধি উপস্থিত ছিলেন। এতে বিকেএমইএ’র পক্ষে সংগঠনটির প্রথম সহ-সভাপতি এ এইচ আসলাম সানি, দ্বিতীয় সহ-সভাপতি মনসুর আহমেদসহ পরিচালকরা উপস্থিত ছিলেন।

প্রধান অতিথির বক্তব্যে বিডা চেয়ারম্যান কাজী আমিনুল ইসলাম বলেন, গলফ কো-অপারেশন কাউন্সিলভুক্ত (জিসিসি) দেশগুলোর সঙ্গে বাংলাদেশের ভালো সম্পর্ক সত্ত্বেও এসব দেশের সঙ্গে বাণিজ্যের পরিমাণ খুবই কম। জিসিসির মধ্যে কাতার একটি গুরুত্বপূর্ণ দেশ। দেশটি পৃথিবীর তৃতীয় বৃহত্তম এনার্জি উৎপাদনকারী দেশ। আর মাথাপিছু আয়ের দিক থেকে এটি পৃথিবীর সবচেয়ে ধনী দেশ।

তিনি কাতারের রাষ্ট্রদূতকে বলেন, আপনাদের দেশ থেকে পুঁজি নিয়ে বাংলাদেশে বিনিয়োগ করুন। গার্মেন্ট পণ্যের পরিমাণের বিচারে বাংলাদেশ দ্বিতীয় হলেও দক্ষতার বিচারে বাংলাদেশ প্রথম স্থানে রয়েছে। কাতারের বিনিয়োগ বৃদ্ধির পাশাপাশি বাংলাদেশ থেকেও কাতারে বিনিয়োগ করার কথা ভাবা হচ্ছে বলে তিনি মন্তব্য করেন।

এ সময় কাতারের রাষ্ট্রদূত আহমদ মোহাম্মদ আল দিহাইমি বলেন, বাংলাদেশের ভিশন-২০২১’র মতো কাতারেরও ২০৩০ সালকে লক্ষ্য করে একটি ভিশন আছে। দু দেশের মধ্যে অনেক মিল আছে। ইতোমধ্যে কাতারের ব্যবসায়ীদের বিভিন্ন খাতে বিনিয়োগের জন্য আহ্বান জানানো হয়েছে।

সভায় ইপিবির ভাইস চেয়ারম্যান মাফরুহা সুলতানা বলেন, কাতারে বাংলাদেশের রফতানি মাত্র ৩ কোটি ডলার। কাতার থেকে বাংলাদেশের আমদানি প্রায় ১৪ কোটি ডলার। তবে বাংলাদেশের রফতানি ধীরে ধীরে বাড়ছে। এ বাণিজ্য ঘাটতি সমন্বয়ের জন্য কাতারের বিনিয়োগকারীদের এগিয়ে আসার আহ্বান জানান তিনি।

এ সময় বিকেএমইএ’র পক্ষ থেকে বক্তব্য রাখেন সংগঠনটির প্রথম সহ-সভাপতি এ এইচ আসলাম সানি। তিনি বলেন, কাতারের বিমানবন্দর বিশ্বব্যাপী সংযুক্ত। সেখানে বাংলাদেশের স্পোর্টস পণ্যসহ নিটওয়্যারের বিভিন্ন পণ্য প্রদর্শনীর একটি শোরুম করা দরকার। একই সঙ্গে ২০২২ সালে কাতারে বিশ্বকাপ ফুটবল অনুষ্ঠিত হবে। গত ফুটবল বিশ্বকাপে ব্রাজিলে বাংলাদেশের নিটওয়্যার খাত থেকে বিশ্বের ২২টি দেশের জার্সি সরবরাহ করা হয়েছে। তাতে ১ বিলিয়ন ডলার রফতানি হয়েছে। কাতারের পৃষ্ঠপোষকতায় আগামীতে সেটি বাড়াতে আগ্রহী বাংলাদেশ। এ সময় বিকেএমইএ’র অপর সহ-সভাপতি মনসুর আহমেদ বাংলাদেশে দক্ষ ও কমপ্লায়েন্ট গার্মেন্ট শিল্প বিকাশের কথা তুলে ধরেন।