শেয়ার বিজ ডেস্ক: কাতার সফরে গেলেন মিসরের প্রেসিডেন্ট আবদেল ফাত্তাহ আল সিসি। ২০১৭ সালে সৌদি জোটের কাতারবিরোধী অবরোধের পর প্রথমবারের মতো মিসরের কোনো প্রেসিডেন্ট দেশটিতে সফরে গেলেন। খবর: আল জাজিরা।
এর আগে গত জুনে তারল্য সংকটে থাকা মিসর সফরে যান কাতারের আমির।
পারস্পরিক সম্পর্ক জোরদারে দুই দেশের উদ্যোগের মধ্যে এ সফরে যান জেনারেল সিসি। কাতারি বিমানবন্দরে অবতরণের পর দেশটির আমির শেখ তামিম বিন হামাদ আল থানির সঙ্গে সাক্ষাৎ করেন তিনি।
সফরে দ্বিপক্ষীয় সম্পর্কের কীভাবে আরও উন্নয়ন ঘটানো যেতে পারে সে ব্যাপারে দুই দেশের মধ্যে আলোচনা হতে পারে। এ ধরনের সম্পর্কোন্নয়ন বিনিয়োগের সুযোগ আরও প্রসারিত করবে বলে ধারণা বিশ্লেষকদের।
দেশের অর্থনৈতিক সংকট বিবেচনায় কাতারের সঙ্গে সৌজন্যমূলক আচরণের পথে হাঁটছে মিসর। বিশেষ করে ইউক্রেন যুদ্ধের পরিপ্রেক্ষিতে খাদ্য সরবরাহের ঘাটতির বিষয়টি জেনারেল সিসির প্রশাসনকে উদ্বিগ্ন করে তুলেছে।
২০১৭ সালে কাতারের বিরুদ্ধে অবরোধ আরোপ করে সৌদি আরব ও দেশটির মিত্র সংযুক্ত আরব আমিরাত, মিসর ও বাহরাইন। দোহার বিরুদ্ধে সন্ত্রাসবাদে সমর্থন দেয়ার অভিযোগ আনে দেশগুলো।
তবে ওই অভিযোগ জোরালোভাবে প্রত্যাখ্যান করে কাতার। প্রতিবেশী দেশগুলোর অবরোধের মুখে কাতারের সমর্থনে এগিয়ে আসে তুরস্ক। পরে অবরোধ প্রত্যাহারে ১৩ দফা দাবি দেয় সৌদি জোট।
এর মধ্যে উল্লেখযোগ্য ছিল আল জাজিরা টেলিভিশন বন্ধ করে দেয়া, কাতার থেকে তুরস্কেও সামরিক ঘাঁটি প্রত্যাহার ও মুসলিম ব্রাদারহুডের সঙ্গে সম্পর্ক ছিন্ন করা। তবে সৌদি জোটের দাবি প্রত্যাখ্যান করে উল্টো তুরস্কেও দিকে আরও বেশি ঝুঁকে পড়ে কাতার।
এরপর ২০২১ সালে অবরোধ তুলে নেয় সৌদি জোট। সম্পর্ক স্বাভাবিক করার জন্য চার দেশের সঙ্গে একটি ঘোষণাপত্রে স্বাক্ষর করে দোহা।
এরপর থেকে কাতারের সঙ্গে দেশগুলোর সম্পর্কের উন্নতি শুরু হয়। ২০২১ সালের ডিসেম্বরে কাতার সফরে যান সৌদি যুবরাজ মোহাম্মদ বিন সালমান।