শেয়ার বিজ ডেস্ক: কভিড-১৯ সংক্রমণ রোধে ট্রাকচালকদের জন্য টিকা নেয়া বাধ্যতামূলক করে কানাডা সরকার। এর প্রতিবাদে বিক্ষোভ করেন তারা। এতে অচল হয়ে পড়ে দেশটির অন্টারিও রাজ্য। পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে জরুরি অবস্থা জারি করতে বাধ্য হয় সরকার। এরই ধারবাহিকতায় এবার যুক্তরাষ্ট্রের সীমান্ত থেকে বিক্ষোভ তুলে নিতে ট্রাকচালকদের প্রতি নির্দেশ দিয়েছেন আদালত।
ট্রাকচালকদের কভিড টিকা বাধ্যতামূলক করতে সরকারের উদ্যোগের বিরোধিতা করে ‘ফ্রিডম কনভয়’ নামে বিক্ষোভ শুরু হয় দেশটিতে। ক্ষুব্ধ ট্রাক চালকরা অটোয়ার সীমান্ত ক্রসিংয়ে অচলাবস্থা সৃষ্টি করে রেখেছেন। এতে রাজধানীজুড়ে বিশৃঙ্খলা ছড়িয়ে পড়েছে। স্থবির হয়ে পড়ে জনজীবন। পাঁচ দিন ধরে যুক্তরাজ্য-কানাডার অ্যাম্বাসেডর সেতু বন্ধ রেখেছেন আন্দোলনকারীরা। বাণিজ্যের জন্য গুরুত্বপূর্ণ এই সেতুটি। অটোয়াসহ সীমান্তবর্তী গুরুত্বপূর্ণ সড়কগুলোয়ও এই আন্দোলন আরও ছড়িয়ে পড়ছে। এসব কারণে শিগগির বিক্ষোভ উঠিয়ে নেয়ার নির্দেশ দিয়েছেন আদালত। এরপরও ট্রাকচালকরা তাদের কার্যক্রম অব্যাহত রাখলে এটি ফৌজদারি অপরাধ হিসেবে গণ্য হবে বলে জানিয়েছে কানাডার পুলিশ। তাদের জেল-জরিমানা করা হতে পারে।
এদিকে আন্দোলনকারী ট্রাকচালকদের ঘরে ফিরতে বললেন দেশটির প্রধানমন্ত্রী জাস্টিন ট্র–ডো। তাদের উদ্দেশ্যে সতর্ক বার্তা উচ্চারণ করেছেন তিনি। ট্র–ডো বলেন, আপনাদের কথা শোনা হয়েছে, এখন বাড়ি ফিরতে হবে।
ট্রাকচালকদের সতর্ক করে তিনি আরও বলেন, আন্দোলন বন্ধ না করলে, লাইসেন্স বাতিল করা হবে। এতে চাকরি, দৈনন্দিন জীবনযাপন, এমনকি আন্তর্জাতিক ভ্রমণে, এমনকি যুক্তরাষ্ট্রে যেতেও বাধার সম্মুখীন হতে হবে বলেও হুঁশিয়ারি দিয়েছেন তিনি। চলমান সমস্যা নিয়ে মার্কিন প্রেসিডেন্ট জো বাইডেনের সঙ্গেও ফোনে আলাপ করেছেন কানাডার প্রধানমন্ত্রী। এর আগে ওন্টারিওর প্রিমিয়ার ডগ ফোর্ড হুঁশিয়ারি দিয়ে বলেন, গুরুত্বপূর্ণ অফিস আদালত বন্ধ করে বিক্ষোভ করা সম্পূর্ণ অবৈধ। এমন আদেশের পরও ট্রাকচালকরা এ ধরনের কার্যক্রম অব্যাহত রাখলে জরিমানা ও এক বছরের সাজা ভোগ করতে হতে পারে।