শেয়ার বিজ ডেস্ক: কানাডার অন্টারিও প্রদেশে শিক্ষার্থীরা কর্মবিরতির ডাক দিয়েছেন। এতে সাড়া দিয়েছেন প্রদেশের প্রায় ৫৫ হাজার শিক্ষার্থী। এসব শিক্ষার্থী পড়ালেখার পাশাপাশি চাকরি করেন। খবর: ইউএস নিউজ।
অন্টারিও সরকার চলতি সপ্তাহে শিক্ষার্থীদের ওপর একটি চুক্তি চাপিয়ে দেয় এবং ধর্মঘট নিষিদ্ধ করে আইন পাস করেছে। এমন পদক্ষেপের কারণে শিক্ষার্থীরা কর্মবিরতির ডাক দেয়।
অন্টারিও প্রিমিয়ার ডগ ফোর্ডের ডানপন্থি সরকার বিল ২৮ নামের দ্য কিপিং স্টুডেন্টস ইন ক্লাস অ্যাক্ট পাস করেছে। কানাডার সংবিধানের নিয়ম অনুযায়ী, প্রদেশগুলো চাইলে পাঁচ বছরের জন্য কিছু ধারা স্থগিত করতে পারে। প্রদেশটির এ আইনের ফলে বিভিন্ন ক্ষেত্রে যেসব শিক্ষার্থী কাজ করে তারা ক্ষতিগ্রস্ত হবে। তাছাড়া এটি সব ধরনের কর্মীদের ওপর আঘাত বলে মনে করছে সংশ্লিষ্টরা।
এরই মধ্যে শিক্ষার্থীদের প্রতিবাদে অন্টারিওর শত শত স্কুল বন্ধ হয়ে পড়েছে। একটি কর্মচারী ইউনিয়ন সতর্ক করে জানিয়েছে, স্কুলের সহায়তা কর্মীরা শিগগির চাকরিতে ফিরতে পারবে না।
ধর্মঘট পালনকারী শিক্ষার্থীরা গত শুক্রবার অন্টারিও সরকারি অফিস ও কুইন্স পার্ক নামে পরিচিত টরন্টোর প্রাদেশিক আইনসভার বাইরে সমাবেশ করে। এ সময় ব্যানার হাতে তাদের সেøাগান দিতে দেখা যায়।
তবে গত মাসে কানাডার ইমিগ্রেশন ও সিটিজেনশিপ মন্ত্রী শন ফ্রেশার এক ঘোষণায় বলেন, বিভিন্ন শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানে অধ্যয়নরত বিদেশি শিক্ষার্থীদের কাজের ওপর নিয়ন্ত্রণ উঠিয়ে নিয়েছে সরকার। বিদেশি শিক্ষার্থীরা এখন তাদের ইচ্ছামতো কাজ করতে পারবে। ১৫ নভেম্বর থেকে ২০২৩ সালের শেষ পর্যন্ত এ নিয়ম বহাল থাকবে। এর আগে বিদেশি শিক্ষার্থীরা শিক্ষাবর্ষ চলাকালে ক্যাম্পাসের বাইরে সপ্তাহে সর্বোচ্চ ২০ ঘণ্টা পর্যন্ত কাজ করতে পারত। এখন আর সেই বিধিনিষেধ থাকছে না এবং তারা যত ঘণ্টা খুশি কাজ করতে পারবে বলে শন জানান। তিনি বলেন, চাহিদা অনুসারে বিভিন্ন খাতে কর্মী সংকট কাটানোর পাশাপাশি বিদেশি শিক্ষার্থীদের কানাডিয়ান অভিজ্ঞতার সুযোগ দেবে।
প্রসঙ্গ উন্নত ও নিরাপদ জীবনযাপন, চাকরি বা পড়াশোনার জন্য বর্তমান বিশ্বের অন্যতম জনপ্রিয় দেশ কানাডা। উত্তর আমেরিকার দেশটি বর্তমানে অভিবাসীদের কাছে একটি আকর্ষণীয় গন্তব্য।