শেয়ার বিজ ডেস্ক: কানাডায় বেড়েছে ওমিক্রন শনাক্তের হার। এ কারণে কভিড-১৯-এর এ নতুন ধরন নিয়ে আতঙ্কে রয়েছে দেশটির কর্তৃপক্ষ। নতুন ধরন ঠেকাতে স্বাস্থ্যবিধি মেনে চলার পাশাপাশি চলতি মাসে কভিড পরীক্ষার হার বাড়ানোর ঘোষণা দিয়েছেন দেশটির প্রধানমন্ত্রী জাস্টিন ট্র–ডো। খবর: সিএনএন।
বিশ্বের বিভিন্ন দেশে বাড়ছে ওমিক্রনের সংক্রমণ। ইউরোপের বিভিন্ন দেশ, চীন, ভারত ও যুক্তরাষ্ট্রের পর এবার এ তালিকায় যুক্ত হতে চলেছে কানাডা।
কানাডার বিভিন্ন প্রদেশে গত কয়েক দিনের তুলনায় বেড়েছে আক্রান্ত ও শনাক্তের হার। অ্যালবার্টা প্রদেশে স্থানীয় সময় বুধবার চার হাজার ৭৫২ জন নতুন করে শনাক্ত হয়েছেন। এ প্রদেশের স্বাস্থ্য বিভাগের চিফ মেডিকেল অফিসার ডা. ডিনা হিনশ জানান, নতুন করে ৪৭০ জন হাসপাতালে ভর্তি হয়েছেন। তাদের মধ্যে ৭২ জন আইসিইউতে ভর্তি রয়েছেন। গত ২৪ ঘণ্টায় এ প্রদেশে ১১ জন মৃত্যুবরণ করেছেন। তাদের নিয়ে করোনায় কানাডায় মৃত্যুর সংখ্যা দাঁড়াল ৩০ হাজার ৫০৮ জনে।
এরই মধ্যে দুই সপ্তাহের জন্য বন্ধ করে দেয়া হয়েছে শিক্ষাপ্রতিষ্ঠান, রেস্তোরাঁ ও বারগুলোর ইনডোর ডাইনিং এবং জিম বন্ধ রয়েছে। এমনকি জরুরি নয় এমন হাসপাতালসহ অন্যান্য প্রতিষ্ঠানও বন্ধ রাখার নির্দেশ দেয়া হয়েছে।
অন্টারিও প্রদেশের প্রধান প্রশাসক ডাগ ফোর্ড এক সংবাদ সম্মেলনে বলেছেন, প্রতিদিন কয়েক হাজার মানুষ আক্রান্ত হচ্ছেন। এ কারণে নতুন নিষেধাজ্ঞা ও বিধিনিষেধ দিতে হচ্ছে। এ প্রদেশে সামাজিক জমায়েতের সীমা কমিয়ে পাঁচজন করা হয়েছে। এর আগে গত বছর আরও একবার নির্দেশনা দিয়েছিল অন্টারিও প্রশাসন। তখন ইনডোরে ১০ জনের বেশি লোক সমাগম না করার নির্দেশনা দেয়া হয়। অর্থাৎ বাড়িতে ১০ জনের বেশি লোক নিয়ে কোনো ধরনের পার্টি করা যাবে না।
দেশটির কুইবেক ও ব্রিটিশ কলাম্বিয়ায়ও সংক্রমণের ঊর্ধ্বগতি দেখা গেছে। তাই জনমনে আতঙ্ক ছড়িয়ে পড়েছে। নতুন এই ধরন থেকে সতর্ক থাকতে এরই মধ্যে প্রদেশের প্রধান প্রশাসকরা নানা পদক্ষেপ নিয়েছেন।
কানাডার প্রধানমন্ত্রী জাস্টিন ট্র–ডো দেশবাসীকে স্বাস্থ্যবিধি মেনে চলার কথা বলেছেন। বেড়াতে যেতে নিষেধ করেছেন তিনি। পরীক্ষার হার বাড়াতে নির্দেশ দিয়েছেন।
ভ্রমণসংশ্লিষ্ট সংক্রমণ ঠেকাতে মন্ত্রী ডুকলোস বলেছেন, ফেডারেল সরকার ভ্রমণ নির্দেশিকা পরিবর্তনের কথা ভাবছে। কানাডায় নতুন করে ওমিক্রনের সংক্রমণ বেড়ে যাওয়ায় অনেকে তাদের ভ্রমণ বাতিল করেছেন।