শেয়ার বিজ ডেস্ক : কানাডা ও মেক্সিকোকে ছাড় দিয়েই বিতর্কিত শুল্ক বিলে সই করেছেন মার্কিন প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্প। দেশ দুটির সঙ্গে যুক্তরাষ্ট্রের জাতীয় নিরাপত্তা চুক্তি থাকায় শুল্কারোপের বাইরে রেখেই বিলটি পাস করার বিষয়টি নিশ্চিত করেছে হোয়াইট হাউজ। খবর রয়টার্স।
গত সপ্তাহেই ইস্পাত আমদানির ওপর ২৫ শতাংশ এবং অ্যালুমিনিয়াম আমদানির ওপর ১০ শতাংশ শুল্কারোপের পরিকল্পনার ঘোষণা দেন প্রেসিডেন্ট ট্রাম্প। এ ঘোষণার পর দেশ এবং দেশের বাইরে তীব্র প্রতিক্রিয়ার সৃষ্টি হয়। ট্রাম্প প্রশাসনের এ পদক্ষেপের বিপরীতে একটি ‘প্রয়োজনীয়’ ও ‘যথাযথ’ প্রতিক্রিয়া জানানোর হুমকি দেয় চীন। ট্রাম্প প্রশাসনের ওপর ক্ষিপ্ত হয় কানাডা, মেক্সিকো, ব্রাজিল, ইউরোপীয়ান ইউনিয়ন। আন্তর্জাতিক মুদ্রা তহবিল (আইএমএফ) এবং বিশ্ববাণিজ্য সংস্থাও (ডব্লিউটিও) ট্রাম্পের এ সিদ্ধান্তের সমালোচনা করে। এমনকি দেশটির ক্ষমতাসীন রিপাবলিকান পার্টির শীর্ষ নেতারা চরম উদ্বিগ্ন হন এ সিদ্ধান্তে। এত বিরোধিতার কারণে শক্ত অবস্থান থেকে কিছুটা সরে আসে হোয়াইট হাউজ।
কানাডা ও মেক্সিকোকে বাদ দিয়ে ওই শুল্কনীতি পাস করলেন ট্রাম্প। পরবর্তী ১৫ দিনের মধ্যে এ শুল্ক আরোপের বিষয়টি কার্যকর হবে। গত বৃহস্পতিবার বিলটি পাস করার আগে ট্রাম্প বলেন, ‘আমরা ন্যায্য ও নমনীয় সিদ্ধান্ত নেব।’ তার মতে, ‘অন্যায্য বাণিজ্যনীতিতে’ ভুগছে যুক্তরাষ্ট্র, তাই এ সিদ্ধান্ত দেশীয় শিল্পের গতি ত্বরান্বিত করবে।
সম্প্রতি ট্রাম্পের পরিকল্পনায় ইস্পাত ও অ্যালুমিনিয়াম পণ্য আমদানির ওপর শুল্কারোপের পরিকল্পনার পর তাদের কানাডা এবং মেক্সিকো প্রতিশোধমূলক ব্যবস্থা নেওয়ার হুমকি দিয়েছিল। কিছুদিন পরই দেশ দুটিকে বাদ দিয়েই বিলটি পাস করল যুক্তরাষ্ট্র। কিছুদিন আগে বলা হয়েছিল, যাদের সঙ্গে যুক্তরাষ্ট্রের জাতীয় নিরাপত্তা চুক্তি আছে তাদের শুল্কারোপের বিধানের বাইরে রাখা হতে পারে।
মূলত চীনকে বিপাকে ফেলার জন্য এ ‘বাণিজ্যযুদ্ধ’ শুরু করেন যুক্তরাষ্ট্রের প্রেসিডেন্ট। বিশ্ববাজারে প্রায় ৫০ শতাংশ ইস্পাতের বাজার নিয়ন্ত্রণ করে চীন। কিন্তু যুক্তরাষ্ট্রের মোট ইস্পাতের আমদানির এক শতাংশ আসে চীন থাকে। বড় অংশ আসে কানাডা ও ব্রাজিল থেকে। কানাডা থেকে আমদানির পরিমাণ ১৬ শতাংশ এবং ব্রাজিলের ১৩ শতাংশ। তাই ট্রাম্পের এ সিদ্ধান্তে ক্ষিপ্ত হয় কানাডা। পাল্টা পরিকল্পনা নেওয়ার হুমকি দেয় দেশটি। ইউরোপীয় ইউনিয়নও (ইইউ) জানায়, ট্রাম্প যদি ইট ছোড়ে, তারা পাটকেল ছুড়তে প্রস্তুত।
কানাডা ও মেক্সিকোকে শুল্কছাড় দিলেও ইইউয়ের ওপর এ সিদ্ধান্ত বহাল রেখেছেন ট্রাম্প।