নিজস্ব প্রতিবেদক: ব্যক্তিগত রাগ-অনুরাগ বা বিরাগের বশবর্তী হয়ে কারও বিরুদ্ধে কোনো মামলা করা যাবে না। মামলা দায়েরের ক্ষেত্রে দালিলিক প্রমাণ শক্তভাবে উপস্থাপন করতে হবে বলে মন্তব্য করেছেন দুর্নীতি দমন কমিশনের (দুদক) চেয়ারম্যান ইকবাল মাহমুদ। গতকাল রাজধানীর সেগুনবাগিচায় দুদকের প্রধান কার্যালয়ে পরিচালক ও সহকারী পরিচালক পদমর্যাদার কর্মকর্তাদের ওরিয়েন্টেশন অনুষ্ঠানে তিনি এসব কথা বলেন।
‘কর্ম ও চিন্তায় দুদক কর্মকর্তাদের সর্বোত্তম হওয়া’র আহ্বান জানিয়ে ইকবাল মাহমুদ বলেন, ‘দুর্নীতি দমন ও প্রতিরোধে সমন্বিত উদ্যোগের বিকল্প নেই। এই উদ্যোগের প্ল্যাটফরম হিসেবে কাজ করছে দুদক। সমাজের প্রতিটি অংশকে এই প্ল্যাটফরমে নিয়ে আসার দায়িত্বও আপনাদের। আপনাদের ক্যারিয়ার, উচ্চশিক্ষাসহ কল্যাণমূলক সব কার্যক্রম বাস্তবায়নে কমিশন সর্বোচ্চ অগ্রাধিকার দিয়ে কাজ করছে। তবে এক্ষেত্রে আপনাদের সততা ও নৈতিকতার মানদণ্ড হতে হবে অনুকরণীয় ও দৃষ্টান্তমূলক। কারণ আপনারা এমন একটি প্রতিষ্ঠানে কাজ করেন, যেটি সমাজে সততা ও নিষ্ঠাবোধ সৃষ্টিতে আইনি ম্যান্ডেটপ্রাপ্ত। এ প্রতিষ্ঠানের প্রতিটি কর্মকর্তাদের আচরণ, জ্ঞান, সক্ষমতা, বিবেচনাবোধ, নৈতিকতা, সমন্বয় সর্বোপরি মানুষের প্রতি অনুভূতি হতে হবে দৃষ্টান্তমূলক। এ প্রতিষ্ঠানের কর্মকর্তারা যখন ভালো কাজ করেন আমার মনে হয় তখন আমার চেয়ে আর কেউ হয়তো বেশি খুশি হন না। আবার কেউ যখন অনৈতিক কাজ করেন, তখন আমি সবচেয়ে বেশি কষ্ট অনুভব করি।’
তিনি আরও বলেন, ‘দুর্নীতি দমন ও প্রতিরোধে সমন্বিত উদ্যোগের কোনো বিকল্প নেই। এই উদ্যোগের প্ল্যাটফরম হিসেবে কাজ করছে দুদক। সমাজের প্রতিটি অংশকে এই প্ল্যাটফরমে নিয়ে আসার দায়িত্বও কমিশনের। কমিশন ইতোধ্যে দুর্নীতি প্রতিরোধে তরুণ প্রজন্মের প্রতিনিধিসহ সিভিল সোসাইটির একটি বিরাট অংশকে সম্পৃক্ত করতে সক্ষম হয়েছে। দুর্নীতি প্রতিরোধ এমন একটি চলমান প্রক্রিয়া এর গতি যত ত্বরান্বিত হবে দুর্র্নীতি ততই কমে আসবে। এক্ষেত্রে জনআস্থার কোনো বিকল্প নেই। আর জনআস্থা বৃদ্ধির ক্ষেত্রে আপনাদের কর্মস্পৃহা, দক্ষতা, সততা, নিষ্ঠা ও একাগ্রতা অপরিহার্য।’
‘দুর্নীতি দমনের লক্ষ্যে মামলা-মোকদ্দমা করার ক্ষেত্রে সতর্কতা অবলম্বনের’ আহ্বান জানিয়ে দুদক চেয়ারম্যান বলেন, ‘মামলা দায়েরের ক্ষেত্রে দালিলিক প্রমাণাদি এবং সাক্ষী-প্রমাণ এমনভাবে উপস্থাপন করতে হবে, যাতে অপরাধীরা বুঝতে পারে তাদের অপরাধ প্রমাণিত। অনুরাগ বা বিরাগের বশবর্তী হয়ে কোনো কাজ কমিশন করবে না। কারণ জনআস্থা অর্জন করা না গেলে দুর্নীতি প্রতিরোধ সফল হবে না।’
ওরিয়েন্টেশন অনুষ্ঠানে শতাধিক কর্মকর্তা অংশ নেন। এ সময় অন্যদের মধ্যে দুদক সচিব ড. মো. শামসুল আরেফিন বক্তব্য রাখেন।
