কারখানা খোলায় শ্রমিকদের স্বস্তি, ইন্টারনেটে গতি চান মালিকরা

নিজস্ব প্রতিবেদক: পাঁচ দিন পর গাজীপুরে কারখানা চালু হওয়ায় স্বস্তি প্রকাশ করেছেন মালিক ও শ্রমিকরা। এছাড়া বায়ারদের সঙ্গে দ্রুত যোগাযোগে ইন্টারনেটে গতি চেয়েছেন কারখানা মালিকরা।
গতকাল বুধবার সকালে নগরের কোনাবাড়ী ও ভোগড়া শিল্প এলাকায় শ্রমিকদের দলে দলে কাজে যোগ দিতে দেখা গেছে। নগরজুড়ে পর্যাপ্ত নিরাপত্তা ব্যবস্থা থাকায় কারখানায় যেতে কোনো সমস্যা হয়নি বলে জানিয়েছেন শ্রমিকরা।

ভোগড়া বাইপাস মোড় এলাকার ‘ফারদার ফ্যাশনস লিমিটেড’-এর ব্যবস্থাপনা পরিচালক ও সিইও মো. জাকির হোসেন দেশের বর্তমান অবস্থায় পোশাক শিল্পকে জরুরি সেবা হিসেবে অগ্রাধিকারের ভিত্তিতে চালু রাখার অনুরোধ জানিয়েছেন।

কারফিউ চলাকালে শ্রমিক-কর্মকর্তারা যাতে নির্বিঘ্নে পরিচয়পত্র দেখিয়ে কর্মস্থলে যাওয়া-আসা করতে পারেন, সেজন্য আইনশৃঙ্খলা বাহিনীর কাছে সহযোগিতা চেয়েছেন তিনি। এছাড়া ব্রডব্যান্ড ইন্টারনেট সেবা আরও সচল করার অনুরোধ জানিয়ে জাকির হোসেন বলেন, ‘ইন্টারনেট না থাকায় গত কয়েক দিন আমরা বায়ারদের সঙ্গে কোনো যোগাযোগ রক্ষা করতে পারিনি। ফলে অনেক অর্ডার বাতিল হয়ে গেছে। তাই ক্ষতির পরিমাণটাও অনেক বেশি।’

বায়ারদের সঙ্গে দ্রুত যোগাযোগ করতে হোয়াটসঅ্যাপ সেবা সচল রাখার অনুরোধ জানিয়েছেন তিনি।
‘ফারদার ফ্যাশনস লিমিটেড’-এর কারখানার শ্রমিক সাবের হোসেন জানান, নিরাপত্তা জোরদার থাকায় তারা নির্বিঘ্নে কারখানায় কাজে যোগ দিতে পেরেছেন। কারখানা বন্ধ থাকায় কয়েক দিন তাদের খুব কষ্ট হয়েছে। কারখানা বন্ধ থাকলে বাড়িভাড়া, সন্তানদের লেখাপড়া ও খাবার খরচের টাকা নিয়ে দুশ্চিন্তায় পড়েন তারা।

পাঁচ দিন পর কারখানা চালু হওয়ায় সাবেরের মতো অনেক শ্রমিকের চোখে-মুখে আনন্দ ফুটে উঠেছে।
তিনি আরও বলেন, কোনো নাশকতাকারী কারখানায় প্রবেশের চেষ্টা করলে তাদের প্রতিহত করবেন তারা। কারফিউ ছাড়া বাকি সময় কাজ করার আগ্রহ দেখিয়েছেন শ্রমিকরা।

 

আর্কাইভ

রবি সোম মঙ্গল বুধ বৃহ শুক্র শনি
১০১১১২১৩১৪
১৫১৬১৭১৮১৯২০২১
২২২৩২৪২৫২৬২৭২৮
২৯৩০