নিজস্ব প্রতিবেদক: মজুরি বৃদ্ধির দাবিতে শ্রমিকরা কাজ বন্ধ করে বিক্ষোভ দেখিয়ে বেরিয়ে পড়লে ঢাকার আশুলিয়ায় অর্ধশতাধিক পোশাক কারখানায় ছুটি ঘোষণা করা হয়েছে।
গতকাল বৃহস্পতিবার সকালে নিয়মমাফিক কাজে যোগ দেয়ার পর ফের বেরিয়ে পড়েন ওই এলাকার বেশ কয়েকটি কারখানার শ্রমিক। এর পরই ঢাকা-টাঙ্গাইল মহাসড়কের উভয় পাশের পোশাক কারখানাগুলোয় এক দিনের ছুটি ঘোষণা করে কর্তৃপক্ষ।
তবে সড়কে কোনো প্রকার অবস্থান নিতে দেখা যায়নি শ্রমিকদের। কিন্তু যেকোনো পরিস্থিতি মোকাবিলায় সতর্ক অবস্থানে রয়েছে আইন-শৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনী।
শিল্প পুলিশ-১-এর পুলিশ সুপার সারোয়ার আলম জানান, সকালে পাঁচ-ছয়টি কারখানার শ্রমিকরা বের হয়েছেন। এরপর সড়কের পাশের কারখানাগুলোয় ছুটি ঘোষণা করেছে কর্তৃপক্ষ। পর্যাপ্ত সংখ্যক পুলিশ মোতায়েন রয়েছে। এছাড়া পরিস্থিতি স্বাভাবিক রয়েছে।
প্রত্যক্ষদর্শী, পুলিশ ও শ্রমিকদের সঙ্গে কথা বলে জানা গেছে, ন্যূনতম ২৩ হাজার টাকা বেতনের দাবিতে পোশাক কারখানার শ্রমিকদের চলমান আন্দোলনের মধ্যে মঙ্গলবার সাড়ে ১২ হাজার টাকা মজুরি ঘোষণা করে সরকার। কিন্তু তা প্রত্যাখান করে বিক্ষোভ অব্যাহত রাখেন শ্রমিকরা।
গতকাল সকাল থেকেই স্বাভাবিক নিয়মেই শ্রমিকরা কারখানায় প্রবেশ করে কাজে যোগ দিয়েছিলেন।
পরে সকাল সাড়ে ৮টায় আশুলিয়ার জামগড়া ছয়তলা এলাকার এএম ডিজাইন ও এনভয় কারখানার শ্রমিকরা মজুরি বৃদ্ধির দাবি জানিয়ে কাজ বন্ধ করে কারখানা ত্যাগ করেন।
পরে ঢাকা-টাঙ্গাইল মহাসড়কের জামগড়া, নরসিংহপুর ও বেরন এলাকার শ্রমিকরাও কারখানা থেকে বেরিয়ে পড়েন।
জামগড়া এলাকার ভার্চুয়াল গার্মেন্টসের অপারেটর মোসাম্মত লাইলী বলেন, ‘সরকার ১২ হাজার ৫০০ টাকা যে বেতন নির্ধারণ করেছে, সেটা হেলপারদের জন্য। আমরা যে অপারেটরÑআমাদের বেতন বাড়েনি। হিসাব অনুযায়ী আমাদের বেতন ডাবল হওয়ার কথা, কিন্তু আমাদের বেতন বাড়েনি। তাই আমরা শান্তিপূর্ণ আন্দোলন করছি।
এদিকে আইন-শৃঙ্খলার পরিস্থিতি স্বাভাবিক রাখতে সড়কে র্যাব, পুলিশ ও শিল্প পুলিশের পাশাপাশি বিজিবির সদস্যরা রয়েছেন সতর্ক অবস্থানে। কিছুক্ষণ পরপরই তাদের টহল দিতে দেখা গেছে। এ ছাড়া সড়কের বিভিন্ন গুরুত্বপূর্ণ পয়েন্টে পুলিশের সঙ্গে আনসার সদস্যরাও রয়েছেন।
বাংলাদেশ গার্মেন্ট ও সোয়েটার্স শ্রমিক ট্রেড ইউনিয়ন কেন্দ্রের আইনবিষয়ক সম্পাদক খায়রুল মামুন মিন্টু বলেন, ‘সকালে শ্রমিকরা শান্তিপূর্ণভাবে কাজে যোগদান করে। কিন্তু কাজে যোগদানের কিছু সময় পরেই কয়েকটা গার্মেন্টসের শ্রমিকরা কারখানা থেকে বেরিয়ে পড়েন।’