নিজস্ব প্রতিবেদক: কোনো ধরনের মূল্য সংবেদনশীল তথ্য ছাড়াই অস্বাভাবিকভাবে শেয়ারদর বাড়ছে পুঁজিবাজারে তালিকাভুক্ত ওষুধ ও রসায়ন খাতের প্রতিষ্ঠান ওরিয়ন ফার্মা লিমিটেডের। সম্প্রতি অস্বাভাবিকভাবে দর বাড়ার কারণ জানতে চাইলে কোম্পানিটি এমন তথ্য জানায়। ঢাকা স্টক এক্সচেঞ্জ (ডিএসই) সূত্রে এ তথ্য জানা গেছে।
প্রাপ্ত তথ্যমতে, সম্প্রতি কোম্পানিটির অস্বাভাবিকভাবে দর বৃদ্ধির কারণ জানতে চেয়ে গত বুধবার ডিএসই নোটিশ পাঠায়। জবাবে কোনো অপ্রকাশিত মূল্য সংবেদনশীল তথ্য ছাড়াই শেয়ারদর বাড়ছে বলে জানায় কোম্পানি কর্তৃপক্ষ। শেয়ারদর বিশ্লেষণে দেখা গেছে, গত ৫ সেপ্টেম্বর থেকে কোম্পানিটির ধারাবাহিকভাবে শেয়ারদর বাড়ছে। ওই দিন ডিএসইতে কোম্পানিটির শেয়ারদর ছিল ৯৬ টাকা ৯০ পয়সা, যা গত ৭ সেপ্টেম্বর লেনদেন হয় ১১৭ টাকা ১০ পয়সায়। আর এই দর বাড়াকে অস্বাভাবিক মনে করছে ডিএসই।
এদিকে গতকাল ডিএসইতে কোম্পানিটির শেয়ারদর ৭ দশমিক ৫১ শতাংশ বা ৮ টাকা ৮০ পয়সা বেড়ে প্রতিটি সর্বশেষ ১২৫ টাকা ৯০ পয়সায় হাতবদল হয়, যার সমাপনী দরও ছিল একই। দিনভর শেয়ারদর সর্বনিন্ম ১১৮ টাকা ৫০ পয়সা থেকে সর্বোচ্চ ১২৭ টাকা ৫০ পয়সায় ওঠানামা করে। এক বছরের মধ্যে শেয়ারদর ৬৮ টাকা থেকে ১২৭ টাকা ৫০ পয়সায় ওঠানামা করে। দিনজুড়ে কোম্পানিটির ১ কোটি ৫২ লাখ ৬১ হাজার ৪২৪টি শেয়ার মোট ১৭ হাজার ৬১ বার হাতবদল হয়, যার বাজারদর ছিল ১৮৭ কোটি ৯ লাখ টাকা।
কোম্পানিটি ৩০ জুন ২০২১ সমাপ্ত হিসাববছরের নিরীক্ষিত আর্থিক প্রতিবেদন পর্যালোচনা করে বিনিয়োগকারীদের ১২ শতাংশ নগদ লভ্যাংশ দিয়েছে। আলোচিত সময়ে শেয়ারপ্রতি আয় (ইপিএস) হয়েছে ৪ টাকা ১ পয়সা এবং ৩০ জুন শেয়ারপ্রতি নেট সম্পদমূল্য (এনএভি) দাঁড়িয়েছে ৭৯ টাকা ৭৬ পয়সা। এর আগে ২০২০ সালের ৩০ জুন সমাপ্ত হিসাববছরের নিরীক্ষিত আর্থিক প্রতিবেদন পর্যালোচনা করে ১০ শতাংশ নগদ লভ্যাংশ দিয়েছে ওরিয়ন ফার্মা। আলোচিত সময়ে ইপিএস হয়েছে ২ টাকা ৮৪ পয়সা এবং শেয়ারপ্রতি নিট সম্পদমূল্য (এনএভি) দাঁড়িয়েছে ৭৬ টাকা ৭৭ পয়সা।
২০১৩ সালে পুঁজিবাজারে তালিকাভুক্ত হয় ‘এ’ ক্যাটেগরির কোম্পানিটি। অনুমোদিত মূলধন ৫০০ কোটি টাকা, আর পরিশোধিত মূলধন ২৩৪ কোটি টাকা। রিজার্ভের পরিমাণ ৮৩১ কোটি ৭৮ লাখ টাকা। কোম্পানিটির ২৩ কোটি ৪০ লাখ শেয়ার রয়েছে। ডিএসইর সর্বশেষ তথ্যানুযায়ী কোম্পানির শেয়ারের মধ্যে উদ্যোক্তা ও পরিচালকদের কাছে রয়েছে ৩১ দশমিক ৯৮ শতাংশ শেয়ার, প্রাতিষ্ঠানিক ২৭ দশমিক ০৫ শতাংশ, বিদেশি এক দশমিক ১৫ শতাংশ ও সাধারণ বিনিয়োগকারীদের কাছে ৩৯ দশমিক ৮২ শতাংশ শেয়ার রয়েছে।
