নিজস্ব প্রতিবেদক:কোনো প্রকার মূল্য সংবেদনশীল তথ্য না থাকলেও অস্বাভাবিক লেনদেন ও শেয়ারদর বাড়ছে পুঁজিবাজারে তালিকাভুক্ত ওষুধ ও রসায়ন খাতের প্রতিষ্ঠান ওরিয়ন ইনফিউশনের। সম্প্রতি এমন অস্বাভাবিক দর বাড়ার কারণ জানতে চাইলে কোম্পানিটি এমন তথ্য জানায়।
ঢাকা স্টক এক্সচেঞ্জ (ডিএসই) সূত্রে এ তথ্য জানা গেছে, সম্প্রতি কোম্পানিটির অস্বাভাবিক দর বাড়ার কারণ জানতে চেয়ে ডিএসই নোটিশ পাঠায়। জবাবে কোনো অপ্রকাশিত মূল্য সংবেদনশীল তথ্য ছাড়াই শেয়ারদর বাড়ছে বলে জানায় কোম্পানি কর্তৃপক্ষ। এদিকে শেয়ারদর বিশ্লেষণে দেখা গেছে, গত ১৭ মে থেকে ২৩ মে পর্যন্ত কোম্পানিটির ধারাবাহিক শেয়ারদর বাড়ে। এরপর কয়েকদিন দর সংশোধন হলেও ফের ২৮ মে থেকে ৩১ মে পর্যন্ত কোম্পানিটির শেয়ারদর ও অস্বাভাবিক পরিমাণ লেনদেন হয়। আর এ দর বৃদ্ধি এবং লেনদেনকে অস্বাভাবিক মনে করছে ডিএসই।
এদিকে সর্বশেষ কার্যদিবসে ডিএসইতে কোম্পানিটির শেয়ারদর ২ দশমিক ২৫ শতাংশ বা ৮ টাকা ২০ পয়সা কমে প্রতিটি সর্বশেষ ৩৫৬ টাকা ১০ পয়সায় হাতবদল হয়, যার সমাপনী দরও ছিল একই। দিনজুড়ে শেয়ারদর ৩৫২ টাকা ৭০ পয়সা থেকে সর্বোচ্চ ৩৬৭ টাকা ৯০ পয়সায় হাতবদল হয়। এদিন ৩ লাখ ২৮ হাজার ৪৬৯টি শেয়ার ৩ হাজার ২২৩ বার হাতবদল হয়, যার বাজারদর ১১ কোটি ৭২ লাখ টাকা। গত এক বছরে কোম্পানিটির শেয়ারদর ৭৯ টাকা ৪০ পয়সা থেকে এক হাজার টাকার মধ্যে ওঠানামা করে।
ওষুধ ও রসায়ন খাতের ওরিয়ন ইনফিউশন লিমিটেড ২০২২ সালের ৩০ জুন সমাপ্ত হিসাববছরের জন্য সর্বমোট ২০ শতাংশ নগদ লভ্যাংশ দিয়েছে। ৩০ জুন, ২০২২ সমাপ্ত হিসাববছরে কোম্পানিটির শেয়ারপ্রতি আয় (ইপিএস) হয়েছে ২ টাকা ১০ পয়সা। ৩০ ডিসেম্বর, ২০২২ তারিখে শেয়ারপ্রতি নেট সম্পদমূল্য (এনএভি) দাঁড়িয়েছে ১৪ টাকা ২২ পয়সা। এছাড়া এ হিসাববছরে কোম্পানিটির শেয়ারপ্রতি নগদ অর্থপ্রবাহ (এনওসিএফপিএস) হয়েছে ২ টাকা ২৩ পয়সা। এর আগে ২০২১ সালের ৩০ জুন সমাপ্ত হিসাববছরে কোম্পানিটি ১০ শতাংশ নগদ লভ্যাংশ দিয়েছে, যা তার আগের বছরের সমান। আলোচিত সময়ে ইপিএস হয়েছে এক টাকা ৩৭ পয়সা এবং ৩০ জুন ২০২১ তারিখে শেয়ারপ্রতি নেট সম্পদমূল্য (এনএভি) দাঁড়িয়েছে ১৩ টাকা ১০ পয়সা।
ওরিয়ন ইনফিউশন ১৯৯৪ সালে পুঁজিবাজারে তালিকাভুক্ত হয়ে বর্তমানে ‘এ’ ক্যাটেগরিতে অবস্থান করছে। কোম্পানির ১০০ কোটি টাকা অনুমোদিত মূলধনের বিপরীতে পরিশোধিত মূলধন ২০ কোটি ৩৬ লাখ টাকা। রিজার্ভের পরিমাণ ৮ কোটি ৪৯ লাখ টাকা। কোম্পানির মোট ২ কোটি ৩ লাখ ৫৯ হাজার ৭৬০ শেয়ারের মধ্যে উদ্যোক্তা ও পরিচালকদের কাছে ৪০ দশমিক ৬১ শতাংশ, প্রাতিষ্ঠানিক ৮ দশমিক ২৪ শতাংশ, বিদেশি বিনিয়োগকারীদের কাছে শূন্য দশমিক ১৩ শতাংশ এবং বাকি ৫১ দশমিক ০২ শতাংশ শেয়ার রয়েছে সাধারণ বিনিয়োগকারীর কাছে।