কারণ ছাড়াই অস্বাভাবিক শেয়ারদর বাড়ছে আরামিট সিমেন্টের

নিজস্ব প্রতিবেদক:শেয়ারদর বাড়ার পেছনে কোনো মূল্যসংবেদনশীল তথ্য নেই সিমেন্ট খাতের কোম্পানি আরামিট সিমেন্ট লিমিটেডের। সম্প্রতি অস্বাভাবিক দর বাড়ার কারণ জানতে চাইলে কোম্পানিটি এমন তথ্য জানায়। ঢাকা স্টক এক্সচেঞ্জ (ডিএসই) সূত্রে এ তথ্য জানা গেছে।

কোম্পানিটির গত ১৬ আগস্ট থেকে ধারাবাহিকভাবে শেয়ারদর বাড়ছে। ১৬ আগস্ট কোম্পানিটির শেয়ারদর ছিল ২২ টাকা, যা গত ২৪ জুলাই লেনদেন হয় ২৮ টাকা ৮০ পয়সায়। আর এই দর বাড়াকে অস্বাভাবিক মনে করছে ডিএসই। কোম্পানিটির অস্বাভাবিক দর বাড়ার কারণ জানতে চেয়ে ডিএসই নোটিশ পাঠায়। জবাবে কোনো অপ্রকাশিত মূল্যসংবেদনশীল তথ্য ছাড়াই শেয়ারদর বাড়ছে বলে জানায় কোম্পানি কর্তৃপক্ষ।

এদিকে গতকাল ডিএসইতে কোম্পানিটির শেয়ারদর ২ দশমিক ৪৩ শতাংশ বা ৭০ পয়সা বেড়ে প্রতিটি শেয়ার সর্বশেষ ২৯ টাকা ৫০ পয়সায় হাতবদল হয়, যার সমাপনী দরও ছিল একই। দিনজুড়ে ১২ লাখ ২৬ হাজার ৭৩০টি শেয়ার এক হাজার ৬৯৬ বার হাতবদল হয়, যার বাজারদর তিন কোটি ৬২ লাখ টাকা। দিনভর শেয়ারদর সর্বনি¤œ ২৮ টাকা ২০ পয়সা থেকে সর্বোচ্চ ৩০ টাকা ৮০ পয়সায় হাতবদল হয়। গত এক বছরে শেয়ারদর ২১ টাকা ৭০ পয়সা থেকে ৩৩ টাকা ২০ পয়সার মধ্যে ওঠানামা করে।

কোম্পানিটি ১৯৯৮ সালে পুঁজিবাজারে তালিকাভুক্ত হয়ে বর্তমানে ‘বি’ ক্যাটেগরিতে অবস্থান করছে। তাদের ৫০ কোটি টাকা অনুমোদিত মূলধনের বিপরীতে পরিশোধিত মূলধন ৩৩ কোটি ৮৮ লাখ টাকা। সিমেন্ট খাতের প্রতিষ্ঠানটির রিজার্ভে রয়েছে ২৯ লাখ টাকা। কোম্পানির মোট তিন কোটি ৩৮ লাখ ৮০ হাজার শেয়ার রয়েছে। মোট শেয়ারের মধ্যে ৪৫ দশমিক ৯২ শতাংশ উদ্যোক্তা ও পরিচালকদের, প্রাতিষ্ঠানিক বিনিয়োগকারীদের কাছে ১০ দশমিক ৪১ শতাংশ এবং সাধারণ বিনিয়োগকারীর কাছে ৪৩ দশমিক ৬৭ শতাংশ শেয়ার রয়েছে।

কোম্পানিটির পরিচালনা পর্ষদ ৩০ জুন, ২০২২ সমাপ্ত হিসাববছরে ৫ শতাংশ নগদ লভ্যাংশ দিয়েছে। আলোচিত সময়ে কোম্পানিটির শেয়ারপ্রতি আয় (ইপিএস) হয়েছে ১৬ টাকা ৮৮ পয়সা (লোকসান)। ৩০ জুন, ২০২২ তারিখে শেয়ারপ্রতি নেট সম্পদমূল্য (এনএভি) দাঁড়িয়েছে ১২ টাকা ৫৮ পয়সা। এর আগের বছরে কোম্পানিটির পরিচালনা পর্ষদ কোনো লভ্যাংশ দেয়নি। যদিও তখন কোম্পানিটির শেয়ারপ্রতি আয় (ইপিএস) হয়েছিল ৬০ পয়সা। ৩০ জুন, ২০২১ তারিখে শেয়ারপ্রতি নেট সম্পদমূল্য (এনএভি) ছিল ২৯ টাকা ১৩ পয়সা।

এদিকে চলতি হিসাবছরের তৃতীয় প্রান্তিকে (জানুয়ারি-মার্চ, ২০২৩) কোম্পানিটির শেয়ারপ্রতি আয় (ইপিএস) হয়েছে তিন টাকা ৯৭ পয়সা (লোকসান), আগের বছর একই সময়ে যা ছিল ৩ টাকা ৫০ পয়সা (লোকসান)। অন্যদিকে চলতি হিসাববছরের প্রথম তিন প্রান্তিকে (জুলাই, ২০২২-মার্চ, ২০২৩) কোম্পানিটির ইপিএস হয়েছে ১১ টাকা ৬৬ পয়সা (লোকসান), আগের হিসাববছরের একই সময়ে যা ছিল ৭ টাকা ৬২ পয়সা (লোকসান)। ৩১ মার্চ, ২০২৩ শেষে কোম্পানিটির শেয়ারপ্রতি নেট সম্পদমূল্য (এনএভিপিএস) দাঁড়িয়েছে ৯৭ পয়সা। আর প্রথম তিন প্রান্তিকে শেয়ারপ্রতি নগদ অর্থপ্রবাহ হয়েছে ৩ টাকা ২৯ পয়সা।

 

আর্কাইভ

রবি সোম মঙ্গল বুধ বৃহ শুক্র শনি
১০১১১২১৩১৪
১৫১৬১৭১৮১৯২০২১
২২২৩২৪২৫২৬২৭২৮
২৯৩০