নিজস্ব প্রতিবেদক: শেয়ারদর বাড়ার পেছনে কোনো মূল্যসংবেদনশীল তথ্য নেই বিমা খাতের কোম্পানি কর্ণফুলী ইন্স্যুরেন্স কোম্পানি লিমিটেড ও ইউনাইটেড ইন্স্যুরেন্স কোম্পানি লিমিটেডের। সম্প্রতি অস্বাভাবিক দর বাড়ার কারণ জানতে চাইলে কোম্পানি দুটি এমন তথ্য জানায়। ঢাকা স্টক এক্সচেঞ্জ (ডিএসই) সূত্রে এ তথ্য জানা গেছে।
কর্ণফুলী ইন্স্যুরেন্স কোম্পানি লিমিটেড: কোম্পানিটির গত ১১ সেপ্টেম্বর থেকে ধারাবাহিকভাবে শেয়ারদর বাড়ছে। ওইদিন কোম্পানিটির শেয়ারদর ছিল ৩২ টাকা ৬০ পয়সা, যা গত সোমবার ৪২ টাকা ৩০ পয়সায় লেনদেন হয়। অর্থাৎ ৫ কর্মদিবসে কোম্পানিটির শেয়ারদর বেড়েছে ৯ টাকা ৭০ পয়সা। আর এই দর বাড়াকে অস্বাভাবিক মনে করছে ডিএসই। কোম্পানিটির অস্বাভাবিক দর বাড়ার কারণ জানতে চেয়ে ডিএসই নোটিস পাঠায়। জবাবে কোনো অপ্রকাশিত মূল্য সংবেদনশীল তথ্য ছাড়াই শেয়ারদর বাড়ছে বলে জানায় কোম্পানি কর্তৃপক্ষ।
এদিকে সর্বশেষ কার্যদিবসে ঢাকা স্টক এক্সচেঞ্জে (ডিএসই) কোম্পানিটির শেয়ারদর শূন্য দশমিক ৪৯ শতাংশ বা ২০ পয়সা কমে প্রতিটি সর্বশেষ ৪০ টাকা ৯০ পয়সায় লেনদেন হয়, যার সমাপনী দরও ছিল একই। দিনভর শেয়ারটির দর সর্বনি¤œ ৪০ টাকা ৪০ পয়সা থেকে সর্বোচ্চ ৪৩ টাকা ৪০ পয়সায় ওঠানামা করে। এদিন কোম্পানিটির ৩৬ লাখ ৮১ হাজার ৩৬৯টি শেয়ার ২ হাজার ৬৫০ বার হাতবদল হয়, যার বাজারদর ১৫ কোটি ৪২ লাখ ১০ হাজার টাকা। গত এক বছরে শেয়ারটির সর্বোচ্চ দর ৪৪ টাকা ৭০ পয়সা ও সর্বনি¤œ ২৬ টাকা ৮০ পয়সার মধ্যে ওঠানামা করে।
ইউনাইটেড ইন্স্যুরেন্স কোম্পানি লিমিটেড: কোম্পানিটির গত ১০ সেপ্টেম্বর থেকে ধারাবাহিকভাবে শেয়ারদর বাড়ছে। ওইদিন কোম্পানিটির শেয়ারদর ছিল ৪২ টাকা ২০ পয়সা, যা গত মঙ্গলবার ৫৫ টাকা ৯০ পয়সায় লেনদেন হয়। অর্থাৎ ৭ কর্মদিবসে কোম্পানিটির শেয়ারদর বেড়েছে ১৩ টাকা ৭০ পয়সা। আর এই দর বাড়াকে অস্বাভাবিক মনে করছে ডিএসই। কোম্পানিটির অস্বাভাবিক দর বাড়ার কারণ জানতে চেয়ে ডিএসই নোটিস পাঠায়। জবাবে কোনো অপ্রকাশিত মূল্য সংবেদনশীল তথ্য ছাড়াই শেয়ারদর বাড়ছে বলে জানায় কোম্পানি কর্তৃপক্ষ।
এদিকে সর্বশেষ কার্যদিবসে ঢাকা স্টক এক্সচেঞ্জে (ডিএসই) কোম্পানিটির শেয়ারদর ২ দশমিক ৮৬ শতাংশ বা এক টাকা ৬০ পয়সা বেড়ে প্রতিটি সর্বশেষ ৫৭ টাকা ৫০ পয়সায় লেনদেন হয়, যার সমাপনী দরও ছিল একই। দিনভর শেয়ারটির দর সর্বনি¤œ ৫৪ টাকা থেকে সর্বোচ্চ ৬০ টাকা ৮০ পয়সায় ওঠানামা করে। এদিন কোম্পানিটির ৭ লাখ ২৫ হাজার ১৮৩টি শেয়ার ১ হাজার ১৩৫ বার হাতবদল হয়, যার বাজারদর ৪ কোটি ১৫ লাখ ৬০ হাজার টাকা। গত এক বছরে শেয়ারটির সর্বোচ্চ দর ৬০ টাকা ৮০ পয়সা ও সর্বনি¤œ ৩৭ টাকা ২০ পয়সার মধ্যে ওঠানামা করে।
দ্বিতীয় প্রান্তিকে (এপ্রিল-জুন, ২০২৩) কোম্পানিটির শেয়ারপ্রতি আয় (ইপিএস) হয়েছে ৮১ পয়সা, আগের বছরের একই সময়ে যা ছিল ৮৮ পয়সা। অর্থাৎ ইপিএস কমেছে ৭ পয়সা। আর প্রথমার্ধে বা প্রথম দুই প্রান্তিকে (জানুয়ারি-জুন, ২০২৩) ইপিএস হয়েছে ১ টাকা ৩ পয়সা, আগের বছরের একই সময় ছিল ১ টাকা ১৯ পয়সা। অর্থাৎ প্রথম দুই প্রান্তিকের হিসেবে ইপিএস কমেছে ১৬ পয়সা। ২০২৩ সালের ৩০ জুন কোম্পানিটির শেয়ারপ্রতি নিট সম্পদমূল্য (এনএভি) দাঁড়িয়েছে ৩২ টাকা ৬৯ পয়সা। ২০২২ সালের ৩১ ডিসেম্বরে ছিল ৩২ টাকা ৬৮ পয়সা। অর্থাৎ ছয় মাসের ব্যবধানে কোম্পানিটির শেয়ারপ্রতি নিট সম্পদ বেড়েছে ১ পয়সা। এছাড়া প্রথম দুই প্রান্তিকে কোম্পানিটির শেয়ারপ্রতি নগদ অর্থপ্রবাহ হয়েছে ৮৯ পয়সা, অথচ আগের বছরের একই সময়ে ছিল ৭৯ পয়সা।