নিজস্ব প্রতিবেদক: শেয়ারদর বাড়ার পেছনে কোনো মূল্যসংবেদনশীল তথ্য নেই পুঁজিবাজারে তালিকাভুক্ত ট্রাস্ট ইসলামী লাইফ ইন্স্যুরেন্স লিমিটেড, শ্যামপুর সুগার মিলস লিমিটেড এবং ইমাম বাটন ইন্ডাস্ট্রিজ লিমিটেডের। সম্প্রতি অস্বাভাবিক দর বাড়ার কারণ জানতে চাইলে কোম্পানি তিনটি এমন তথ্য জানায়। ঢাকা স্টক এক্সচেঞ্জ (ডিএসই) সূত্রে এ তথ্য জানা গেছে।
ট্রাস্ট ইসলামী লাইফ ইন্স্যুরেন্স লিমিটেড: কোম্পানিটির গত ১৪ সেপ্টেম্বর থেকে ২১ সেপ্টেম্বর পর্যন্ত ধারাবাহিকভাবে শেয়ারদর বাড়ে। ১৪ সেপ্টেম্বর কোম্পানিটির শেয়ারদর ছিল ৫৩ টাকা ১০ পয়সা, যা গত ২১ সেপ্টেম্বরে ৬৫ টাকায় লেনদেন হয়। অর্থাৎ ৫ কর্মদিবসে কোম্পানিটির শেয়ারদর বেড়েছে ১১ টাকা ৯০ পয়সা। আর এই দর বাড়াকে অস্বাভাবিক মনে করছে ডিএসই। কোম্পানিটির অস্বাভাবিক দর বাড়ার কারণ জানতে চেয়ে ডিএসই নোটিস পাঠায়। জবাবে কোনো অপ্রকাশিত মূল্যসংবেদনশীল তথ্য ছাড়াই শেয়ারদর বাড়ছে বলে জানায় কোম্পানি কর্তৃপক্ষ।
তবে গতকাল ঢাকা স্টক এক্সচেঞ্জে (ডিএসই) কোম্পানিটির শেয়ারদর ৩ দশমিক ৪৭ শতাংশ বা ২ টাকা ২০ পয়সা কমে প্রতিটি সর্বশেষ ৬১ টাকা ২০ পয়সায় লেনদেন হয়। যার সমাপনী দরও ছিল একই। দিনভর শেয়ারটির দর সর্বনি¤œ ৫৮ টাকা ৭০ পয়সা থেকে সর্বোচ্চ ৬৩ টাকা ৪০ পয়সায় ওঠানামা করে। এদিন কোম্পানিটির ৬ লাখ ৯৩ হাজার ২১টি শেয়ার ১ হাজার ৭১৭ বার হাতবদল হয়। যার বাজারদর ৪ কোটি ২৭ লাখ ৩০ হাজার টাকা। গত এক বছরে শেয়ারটির সর্বোচ্চ দর ৬৩ টাকা ৪০ পয়সা ও সর্বনি¤œ ১১ টাকার মধ্যে ওঠানামা করে।
শ্যামপুর সুগার মিলস লিমিটেড: কোম্পানিটির গত ১৮ সেপ্টেম্বর থেকে ২১ সেপ্টেম্বর পর্যন্ত ধারাবাহিকভাবে শেয়ারদর বাড়ে। ১৮ সেপ্টেম্বর কোম্পানিটির শেয়ারদর ছিল ৯৩ টাকা ১০ পয়সা, যা গত ২১ সেপ্টেম্বরে ১১৭ টাকা ৩০ পয়সায় লেনদেন হয়। অর্থাৎ ৩ কর্মদিবসে কোম্পানিটির শেয়ারদর বেড়েছে ২৪ টাকা ২০ পয়সা। আর এই দর বাড়াকে অস্বাভাবিক মনে করছে ডিএসই। কোম্পানিটির অস্বাভাবিক দর বাড়ার কারণ জানতে চেয়ে ডিএসই নোটিস পাঠায়। জবাবে কোনো অপ্রকাশিত মূল্য সংবেদনশীল তথ্য ছাড়াই শেয়ারদর বাড়ছে বলে জানায় কোম্পানি কর্তৃপক্ষ।
তবে গতকাল ঢাকা স্টক এক্সচেঞ্জে (ডিএসই) কোম্পানিটির শেয়ারদর শূন্য দশমিক ৭০ শতাংশ বা ৮০ পয়সা বেড়ে প্রতিটি সর্বশেষ ১১৫ টাকায় লেনদেন হয়। যার সমাপনী দরও ছিল একই। দিনভর শেয়ারটির দর সর্বনিন্ম ১১০ টাকা থেকে সর্বোচ্চ ১১৬ টাকা ১০ পয়সায় ওঠানামা করে। এদিন কোম্পানিটির ৪০ হাজার ৪৭২টি শেয়ার ২৭৪ বার হাতবদল হয়। যার বাজারদর ৪৬ লাখ ৪০ হাজার টাকা। গত এক বছরে শেয়ারটির সর্বোচ্চ দর ১২৯ টাকা ও সর্বনি¤œ ৬২ টাকা ৯০ পয়সার মধ্যে ওঠানামা করে।
ইমাম বাটন ইন্ডাস্ট্রিজ লিমিটেড: কোম্পানিটির গত ১৮ সেপ্টেম্বর থেকে ২১ সেপ্টেম্বর পর্যন্ত ধারাবাহিকভাবে শেয়ারদর বাড়ে। ১৮ সেপ্টেম্বর কোম্পানিটির শেয়ারদর ছিল ১১৬ টাকা ২০ পয়সা, যা গত ২১ সেপ্টেম্বরে ১৪১ টাকা ৫০ পয়সায় লেনদেন হয়। অর্থাৎ ৩ কর্মদিবসে কোম্পানিটির শেয়ারদর বেড়েছে ২৫ টাকা ৩০ পয়সা। আর এই দর বাড়াকে অস্বাভাবিক মনে করছে ডিএসই। কোম্পানিটির অস্বাভাবিক দর বাড়ার কারণ জানতে চেয়ে ডিএসই নোটিস পাঠায়। জবাবে কোনো অপ্রকাশিত মূল্যসংবেদনশীল তথ্য ছাড়াই শেয়ারদর বাড়ছে বলে জানায় কোম্পানি কর্তৃপক্ষ।
তবে গতকাল ঢাকা স্টক এক্সচেঞ্জে (ডিএসই) কোম্পানিটির শেয়ারদর ১ দশমিক ৩৯ শতাংশ বা ১ টাকা ৯০ পয়সা বেড়ে প্রতিটি সর্বশেষ ১৩৮ টাকা ২০ পয়সায় লেনদেন হয়। যার সমাপনী দরও ছিল একই। দিনভর শেয়ারটির দর সর্বনি¤œ ১৩০ টাকা ১০ পয়সা থেকে সর্বোচ্চ ১৪০ টাকায় ওঠানামা করে। এদিন কোম্পানিটির ৬৬ হাজার ৫৩৪টি শেয়ার ৩৬৭ বার হাতবদল হয়। যার বাজারদর ৯১ লাখ ১০ হাজার টাকা।