নিজস্ব প্রতিবেদক: শেয়ারদর বাড়ার পেছনে কোনো মূল্যসংবেদনশীল তথ্য নেই আর্থিক প্রতিষ্ঠান খাতের কোম্পানি আইপিডিসি ফাইন্যান্স লিমিটেডের। সম্প্রতি অস্বাভাবিক দর বাড়ার কারণ জানতে চাইলে কোম্পানিটি এমন তথ্য জানায়। ঢাকা স্টক এক্সচেঞ্জ (ডিএসই) সূত্রে এ তথ্য জানা গেছে।
কোম্পানিটির গত ২৮ মার্চ থেকে ধারাবাহিকভাবে শেয়ারদর বাড়ছে। ওইদিন তাদের শেয়ারদর ছিল ৩৪ টাকা, যা গত ৩ এপ্রিল লেনদেন হয় ৪৫ টাকা ২০ পয়সায়। এ হিসেবে মাত্র চার কার্যদিবসের ব্যবধানে দর বেড়েছে ১১ টাকা ২০ পয়সা। আর এই দর বাড়াকে অস্বাভাবিক মনে করছে ডিএই। কোম্পানিটির অস্বাভাবিক দর বাড়ার কারণ জানতে চেয়ে ডিএসই নোটিস পাঠায়। জবাবে কোনো অপ্রকাশিত মূল্য সংবেদনশীল তথ্য ছাড়াই শেয়ারদর বাড়ছে বলে জানায় কোম্পানি কর্তৃপক্ষ।
এদিকে গতকালও ডিএসইতে শেয়ারদর ১ দশমিক ৯৮ শতাংশ বা ৯০ পয়সা কমে প্রতিটি সর্বশেষ ৪৪ টাকা ৫০ পয়সায় হাতবদল হয়, যার সমাপনী দরও ছিল একই। দিনজুড়ে ১ কোটি ১১ লাখ ৩৭ হাজার ৪৪০টি শেয়ার মোট ২ হাজার ৪৬৬ বার হাতবদল হয়, যার বাজারদর ৫০ কোটি ৮৯ লাখ ৮০ হাজার টাকা। দিনভর শেয়ারদর সর্বনি¤œ ৪৪ টাকা ৫০ পয়সা থেকে সর্বোচ্চ ৪৭ টাকা ১০ পয়সায় হাতবদল হয়। এক বছরে শেয়ারদর ২১ টাকা ৪০ পয়সা থেকে ৪৯ টাকা ৭০ পয়সার মধ্যে ওঠানামা করে।
কোম্পানিটির পরিচালনা পর্ষদ ৩১ ডিসেম্বর, ২০২১ সমাপ্ত হিসাববছরের আর্থিক প্রতিবেদন বিশ্লেষণ করে বিনিয়োগকারীদের জন্য ১২ শতাংশ নগদ লভ্যাংশ দেয়ার ঘোষণা দিয়েছে। আলোচিত সময়ে কোম্পানিটির শেয়ারপ্রতি আয় (ইপিএস) হয়েছে ২ টাকা ৩৭ পয়সা। ৩১ ডিসেম্বর, ২০২১ শেয়ারপ্রতি নেট সম্পদমূল্য (এনএভি) দাঁড়িয়েছে ১৭ টাকা ১২ পয়সা। এছাড়া এই হিসাববছরে কোম্পানিটির শেয়ারপ্রতি নগদ অর্থপ্রবাহ (এনওসিএফপিএস) হয়েছে ৬ টাকা ৫০ পয়সা (ঘাটতি)। ঘোষিত লভ্যাংশ বিনিয়োগকারীদের সম্মতিক্রমে অনুমোদনের জন্য আগামী ১৭ এপ্রিল বেলা ১১টায় ডিজিটাল প্ল্যাটফর্মের মাধ্যমে বার্ষিক সাধারণ সভা (এজিএম) অনুষ্ঠিত হবে।
কোম্পানিটি ২০০৬ সালে পুঁজিবাজারে তালিকাভুক্ত হয়ে বর্তমানে ‘এ’ ক্যাটেগরিতে অবস্থান করছে। কোম্পানির ৮০০ কোটি টাকা অনুমোদিত মূলধনের বিপরীতে পরিশোধিত মূলধন ৩৭১ কোটি ৯ লাখ ২০ হাজার টাকা। কোম্পানিটির ৩৭ কোটি ১০ লাখ ৯১ হাজার ৫৪৭টি শেয়ার রয়েছে। মোট শেয়ারের মধ্যে উদ্যোক্তা ও পরিচালকদের কাছে ৪৮ দশমিক শূন্য চার শতাংশ, সরকারি ২১ দশমিক ৮৮ শতাংশ, প্রাতিষ্ঠানিক বিনিয়োগকারীদের ১৬ শতাংশ, বিদেশি বিনিয়োগকারীদের শূন্য দশমিক ০৯ শতাংশ ও সাধারণ বিনিয়োগকারীদের কাছে রয়েছে ১৩ দশমিক ৯৯ শতাংশ শেয়ার।