নিজস্ব প্রতিবেদক: শেয়ারদর বাড়ার পেছনে কোনো মূল্যসংবেদনশীল তথ্য নেই পুঁজিবাজারে তালিকাভুক্ত ওষুধ ও রসায়ন খাতের কোম্পানি এম্বি ফার্মাসিউটিক্যালস পিএলসির। সম্প্রতি অস্বাভাবিক দর বাড়ার কারণ জানতে চাইলে কোম্পানি তিনটি এমন তথ্য জানায়। ঢাকা স্টক এক্সচেঞ্জ (ডিএসই) সূত্রে এ তথ্য জানা গেছে।
জানা গেছে, কোম্পানিটির গত ২৪ সেপ্টেম্বর থেকে ধারাবাহিকভাবে শেয়ারদর বাড়ছে। ২৪ সেপ্টেম্বর কোম্পানিটির শেয়ারদর ছিল ৬৭৫ টাকা, যা গতকাল ৮৭৮ টাকা ৩০ পয়সায় লেনদেন হয়। অর্থাৎ পাঁচ কর্মদিবসের ব্যবধানে কোম্পানিটির শেয়ারদর বেড়েছে ২০ টাকা ৩৩ পয়সা। আর এই দর বাড়াকে অস্বাভাবিক মনে করছে ডিএসই। কোম্পানিটির অস্বাভাবিক দর বাড়ার কারণ জানতে চেয়ে ডিএসই নোটিস পাঠায়। জবাবে কোনো অপ্রকাশিত মূল্য সংবেদনশীল তথ্য ছাড়াই শেয়ারদর বাড়ছে বলে জানায় কোম্পানি কর্তৃপক্ষ।
এদিকে সর্বশেষ কার্যদিবসে ঢাকা স্টক এক্সচেঞ্জে (ডিএসই) কোম্পানিটির শেয়ারদর ৬ দশমিক ১০ শতাংশ বা ৫০ টাকা ৫০ পয়সা বেড়ে প্রতিটি সর্বশেষ ৮৭৮ টাকা ৩০ পয়সায় লেনদেন হয়, যার সমাপনী দরও ছিল একই। দিনভর শেয়ারটির দর সর্বনি¤œ ৮৩০ টাকা ১০ পয়সা থেকে সর্বোচ্চ ৮৮৯ টাকা ৮০ পয়সায় ওঠানামা করে। এদিন কোম্পানিটির ৫৯ হাজার ৭৯৩টি শেয়ার এক হাজার ৩৯৪ বার হাতবদল হয়, যার বাজারদর পাঁচ কোটি ২৫ লাখ ৩০ হাজার টাকা। গত এক বছরে শেয়ারটির সর্বোচ্চ দর ৮৮৯ টাকা ৮০ পয়সা ও সর্বনি¤œ ৮৩০ টাকা ১০ পয়সার মধ্যে ওঠানামা করে।
কোম্পানিটির পরিচালনা পর্ষদ ৩০ জুন, ২০২২ সমাপ্ত হিসাববছরের আর্থিক প্রতিবেদন বিশ্লেষণ করে বিনিয়োগকারীদের জন্য ১০ শতাংশ নগদ লভ্যাংশ দিয়েছে। ২০২২ সালের ৩০ জুন সমাপ্ত হিসাববছরে কোম্পানিটির শেয়ারপ্রতি আয় (ইপিএস) হয়েছে ৩ টাকা ৩৬ পয়সা আর ৩০ জুন, ২০২২ শেয়ারপ্রতি নেট সম্পদমূল্য (এনএভি) দাঁড়িয়েছে ২১ টাকা ৯৬ পয়সা।
ওষুধ ও রসায়ন খাতের কোম্পানিটি ১৯৮৬ সালে পুঁজিবাজারে তালিকাভুক্ত হয়। ৩০ কোটি টাকা অনুমোদিত মূলধনের বিপরীতে পরিশোধিত মূলধন দুই কোটি ৪০ লাখ টাকা। কোম্পানিটির মোট শেয়ারের সংখ্যা ২৪ লাখ। ডিএসই থেকে প্রাপ্ত সর্বশেষ তথ্যমতে, মোট শেয়ারের মধ্যে ৭৭ দশমিক ২৫ শতাংশ উদ্যোক্তা বা পরিচালকদের, ৬ দশমিক ২৮ শতাংশ প্রাতিষ্ঠানিক এবং ১৬ দশমিক ৪৭ শতাংশ সাধারণ বিনিয়োগকারীর কাছে রয়েছে।