নিজস্ব প্রতিবেদক: কোনো প্রকার মূল্য সংবেদনশীল তথ্য না থাকলেও অস্বাভাবিক লেনদেন ও শেয়ারদর বাড়ছে পুঁজিবাজারে তালিকাভুক্ত ওষুধ ও রসায়ন খাতের প্রতিষ্ঠান ওরিয়ন ইনফিউশনের। সম্প্রতি এমন অস্বাভাবিক দর বাড়ার কারণ জানতে চাইলে কোম্পানিটি এমন তথ্য জানায়।
ঢাকা স্টক এক্সচেঞ্জ (ডিএসই) সূত্রে এ তথ্য জানা গেছে, সম্প্রতি কোম্পানিটির অস্বাভাবিক দর বাড়ার কারণ জানতে চেয়ে ডিএসই নোটিস পাঠায়। জবাবে কোনো অপ্রকাশিত মূল্য সংবেদনশীল তথ্য ছাড়াই শেয়ারদর বাড়ছে বলে জানায় কোম্পানি কর্তৃপক্ষ।
এদিকে শেয়ারদর বিশ্লেষণে দেখা গেছে, গত ৯ জানুয়ারি থেকে কোম্পানিটির শেয়ারদর ধারাবাহিকভাবে বাড়ছে। ওইদিন কোম্পানিটির শেয়ারদর ছিল ৩৫২ টাকা ৬০ পয়সা। আর ২৪ জানুয়ারি কোম্পানিটির শেয়ারদর হয় ৪৯২ টাকা ৮০ পয়সা। আর এই দর বৃদ্ধি ও লেনদেনকে অস্বাভাবিক মনে করছে ডিএসই।
তবে সর্বশেষ কার্যদিবসে ডিএসইতে কোম্পানিটির শেয়ারদর ১ দশমিক ৮৭ শতাংশ বা ৯ টাকা ২০ পয়সা কমে প্রতিটি সর্বশেষ ৪৮৩ টাকা ৬০ পয়সায় হাতবদল হয়, যার সমাপনী দরও ছিল একই। দিনজুড়ে শেয়ারদর ৪৭৬ টাকা ২০ পয়সা থেকে সর্বোচ্চ ৫০৪ টাকায় হাতবদল হয়। এদিন ৪ লাখ ১৮ হাজার ৬৯১টি শেয়ার ৪ হাজার ১২৩ বার হাতবদল হয়, যার বাজারদর ২০ কোটি ৩৯ লাখ টাকা। গত এক বছরে কোম্পানিটির শেয়ারদর ২৫১ টাকা ৬০ পয়সা থেকে ৫০৮ টাকা ৫০ পয়সার মধ্যে ওঠানামা করে।
ওরিয়ন ইনফিউশন ১৯৯৪ সালে পুঁজিবাজারে তালিকাভুক্ত হয়ে বর্তমানে ‘এ’ ক্যাটেগরিতে অবস্থান করছে। কোম্পানির ১০০ কোটি টাকা অনুমোদিত মূলধনের বিপরীতে পরিশোধিত মূলধন ২০ কোটি ৩৬ লাখ টাকা। রিজার্ভের পরিমাণ ৮ কোটি ৭৬ লাখ টাকা। কোম্পানির মোট ২ কোটি ৩ লাখ ৫৯ হাজার ৭৬০ শেয়ারের মধ্যে উদ্যোক্তা ও পরিচালকদের কাছে ৪০ দশমিক ৬১ শতাংশ, প্রাতিষ্ঠানিক ১১ দশমিক ০১ শতাংশ, বিদেশি বিনিয়োগকারীদের কাছে শূন্য দশমিক ০৯ শতাংশ এবং বাকি ৪৮ দশমিক ২৯ শতাংশ শেয়ার রয়েছে সাধারণ বিনিয়োগকারীর কাছে।