Print Date & Time : 21 June 2025 Saturday 4:00 pm

কারণ ছাড়াই অস্বাভাবিক শেয়ারদর বাড়ছে আনলিমা ইয়ার্নের

 

নিজস্ব প্রতিবেদক: শেয়ারদর বাড়ার পেছনে কোনো মূল্য সংবেদনশীল তথ্য নেই বস্ত্র খাতের কোম্পানি আনলিমা ইয়ার্ন ডাইং লিমিটেডের। সম্প্রতি অস্বাভাবিক দর বাড়ার কারণ জানতে চাইলে কোম্পানিটি এমন তথ্য জানায়। ঢাকা স্টক এক্সচেঞ্জ (ডিএসই) সূত্রে এ তথ্য জানা গেছে।

সম্প্রতি কোম্পানিটির অস্বাভাবিক দর বাড়ার কারণ জানতে চেয়ে ডিএসই নোটিস পাঠায়। জবাবে কোনো অপ্রকাশিত মূল্য সংবেদনশীল তথ্য ছাড়াই শেয়ারদর বাড়ছে বলে জানায় কোম্পানি কর্তৃপক্ষ।

কোম্পানিটির গত ১২ ফেব্রুয়ারি থেকে ধারাবাহিকভাবে দর বাড়ছে। ডিএসইতে গত ১২ ফেব্রুয়ারি কোম্পানির শেয়ারদর ছিল ৩৫ টাকা ৩০ পয়সা, গত ২৯ ফেব্রুয়ারি লেনদেন হয় ৪৯ টাকা ৪০ পয়সায়। আর এই দর বাড়াকে অস্বাভাবিক মনে করছে ডিএসই।

তবে সর্বশেষ কার্যদিবসে ডিএসইতে কোম্পানিটির শেয়ারদর শূন্য দশমিক ৪১ শতাংশ বা ২০ পয়সা বেড়ে প্রতিটি সর্বশেষ ৪৯ টাকা ৪০ পয়সায় হাতবদল হয়, যার সমাপনী দরও ছিল একই। দিনজুড়ে ১০ লাখ ৭৪ হাজার ৬০০টি শেয়ার ১ হাজার ৮২৯ বার হাতবদল হয়, যার বাজারদর ৫ কোটি ৪৩ লাখ ৩০ হাজার টাকা। দিনভর শেয়ারদর সর্বনিম্ন ৪৭ টাকা থেকে সর্বোচ্চ ৫৩ টাকায় হাতবদল হয়। আর গত এক বছরের মধ্যে কোম্পানিটির শেয়ারদর সর্বনিম্ন ৩১ টাকা ৬০ পয়সা থেকে সর্বোচ্চ ৫৩ টাকার মধ্যে ওঠানামা করে।

কোম্পানিটি ১৯৯৭ সালে পুঁজিবাজারে তালিকাভুক্ত হয়ে বর্তমানে ‘বি’ ক্যাটেগরিতে লেনদেন করছে। কোম্পানির ২০ কোটি টাকা অনুমোদিত মূলধনের বিপরীতে পরিশোধিত মূলধন ১৭ কোটি ৮৬ লাখ ৮০ হাজার টাকা। রিজার্ভের পরিমাণ ৬১ লাখ টাকা। কোম্পানির মোট এক কোটি ৭৮ লাখ ৬৭ হাজার ৮০০ শেয়ারের মধ্যে উদ্যোক্তা ও পরিচালকদের ৪৪ দশমিক ৪৩ শতাংশ, প্রাতিষ্ঠানিক বিনিয়োগকারীদের কাছে ৫ দশমিক ৬৫ শতাংশ এবং বাকি ৪৯ দশমিক ৯২ শতাংশ শেয়ার রয়েছে সাধারণ বিনিয়োগকারীর কাছে।

চলতি ২০২৩-২৪ হিসাববছরের প্রথম প্রান্তিকে (জুলাই-সেপ্টেম্বর, ২০২৩) শেয়ারপ্রতি আয় (ইপিএস) হয়েছে ১৬ পয়সা (লোকসান), আগের বছরের একই সময়ে যা ছিল ১ পয়সা। অর্থাৎ প্রথম প্রান্তিকে শেয়ারপ্রতি আয় আগের বছরের তুলনায় ১৭ পয়সা কমেছে। অন্যদিকে ২০২৩ সালের ৩০ সেপ্টেম্বরে কোম্পানিটির শেয়ারপ্রতি নিট সম্পদমূল্য দাঁড়িয়েছে ১০ টাকা ২৭ পয়সা। আর প্রথম প্রান্তিকে কোম্পানিটির শেয়ারপ্রতি নগদ অর্থপ্রবাহ হয়েছে ২১ পয়সা, আগের বছরের একই সময়ে যার পরিমাণ ছিল ৫৬ পয়সা।

এদিকে ৩০ জুন, ২০২৩ সমাপ্ত হিসাববছরের জন্য কোম্পানিটির পরিচালনা পর্ষদ কোনো লভ্যাংশ না দেয়ার ঘোষণা দিয়েছে। আলোচিত সময়ে শেয়ারপ্রতি আয় (ইপিএস) হয়েছে ৮ পয়সা এবং ৩০ জুন, ২০২৩ তারিখে শেয়ারপ্রতি নেট সম্পদমূল্য (এনএভিপিএস) দাঁড়িয়েছে ১০ টাকা ৪২ পয়সা। আর আলোচিত হিসাববছরে কোম্পানিটির শেয়ারপ্রতি নগদ অর্থপ্রবাহ হয়েছে ৩ পয়সা (ঘাটতি)। লভ্যাংশ না দেয়ার এই সিদ্ধান্ত শেয়ারহোল্ডারদের অনুমোদনের জন্য গত ২০ ডিসেম্বর বেলা সাড়ে ১০টায় ডিজিটাল প্ল্যাটফর্মের মাধ্যমে বার্ষিক সাধারণ সভা (এজিএম) অনুষ্ঠিত হয়।

এর আগে সর্বশেষ কোম্পানিটি ২০২১ সালের ৩০ জুন সমাপ্ত হিসাববছরে নিরীক্ষিত আর্থিক প্রতিবেদন পর্যালোচনা করে বিনিয়োগকারীদের ২ শতাংশ নগদ লভ্যাংশ দিয়েছে। আলোচিত সময়ে শেয়ারপ্রতি আয় (ইপিএস) হয়েছে ৫ পয়সা এবং ৩০ জুন ২০২১ তারিখে শেয়ারপ্রতি নিট সম্পদমূল্য (এনএভি) দাঁড়িয়েছে ১০ টাকা ৬৩ পয়সা।