নিজস্ব প্রতিবেদক: শেয়ারদর বাড়ার পেছনে কোনো মূল্যসংবেদনশীল তথ্য নেই খাদ্য ও আনুষঙ্গিক খাতের কোম্পানি জেমিনি সি ফুড লিমিটেডের। সম্প্রতি অস্বাভাবিক দর বাড়ার কারণ জানতে চাইলে কোম্পানিটি এমন তথ্য জানায়। ঢাকা স্টক এক্সচেঞ্জ (ডিএসই) সূত্রে এ তথ্য জানা গেছে।
কোম্পানিটির গত ২৮ মার্চ থেকে ধারাবাহিকভাবে শেয়ারদর বাড়ছে। ওইদিন তাদের শেয়ারদর ছিল ৪৫৬ টাকা ৭০ পয়সা, যা গতকাল লেনদেন হয় ৬৬৫ টাকায়। এ হিসেবে মাত্র ছয় কার্যদিবসের ব্যবধানে দর বেড়েছে ২০৮ টাকা ৩০ পয়সা। আর এই দর বাড়াকে অস্বাভাবিক মনে করছে ডিএই। কোম্পানিটির অস্বাভাবিক দর বাড়ার কারণ জানতে চেয়ে ডিএসই নোটিস পাঠায়। জবাবে কোনো অপ্রকাশিত মূল্য সংবেদনশীল তথ্য ছাড়াই শেয়ারদর বাড়ছে বলে জানায় কোম্পানি কর্তৃপক্ষ।
এদিকে গত ৫ মার্চ জেমিনি সি ফুডের করপোরেট কার্যালয়ে লেংক ফ্রোজেন ফুডস (এশিয়া) কোম্পানি লিমিটেডের সঙ্গে একটি চুক্তি হয়েছে। চুক্তি অনুযায়ী, জার্মানিভিত্তিক এই প্রতিষ্ঠানটির জন্য কাঁচামাল প্রক্রিয়ার (চিংড়ি) কাজ করবে জেমিনি সি ফুড। মূলত নির্দিষ্ট ক্রয়াদেশের বিপরীতে কাঁচামালকে রপ্তানিযোগ্য করবে এবং এজন্য শতভাগ অগ্রিম অর্থ গ্রহণ করবে জেমিনি। একইসঙ্গে অপ্রচলিত বৈশ্বিক বাজার খুঁজে বের করার লক্ষ্যে ব্যবসা সম্প্রসারণে উভয় প্রতিষ্ঠান একসঙ্গে কাজ করবে। এই চুক্তির ফলে অপ্রচলিত বাজারে ব্যবসার সুযোগ পাবে। এতে জেমিনি সি ফুডের আনুমানিক ৫০ কোটি টাকা অতিরিক্ত রাজস্ব বাড়বে। এছাড়া এটি জেমিনি সি ফুডের ভবিষ্যতের মুনাফায় টেকসই প্রবৃদ্ধি নিশ্চিত করতে পরিচালন ব্যয়সহ উৎপাদন খরচও কমিয়ে দেবে।
চলতি হিসাববছরের প্রথমার্ধে (জুলাই-ডিসেম্বর, ২০২২) শেয়ারপ্রতি আয় (ইপিএস) হয়েছে ৭ টাকা ১০ পয়সা, আগের বছরের একই সময়ে যা ছিল ৩ টাকা ৯৪ পয়সা। অর্থাৎ প্রথমার্ধের হিসাবে শেয়ারপ্রতি আয় ৩ টাকা ১৬ পয়সা বেড়েছে। অন্যদিকে দ্বিতীয় প্রান্তিকে (অক্টোবর-ডিসেম্বর, ২০২২) কোম্পানিটির শেয়ারপ্রতি আয় (ইপিএস) হয়েছে ৩ টাকা ১ পয়সা, যা আগের বছর একই সময় ছিল ২ টাকা ৭০ পয়সা। অর্থাৎ শুধু দ্বিতীয় প্রান্তিকে শেয়ারপ্রতি আয় ৩১ পয়সা বেড়েছে। এছাড়া ২০২২ সালের ৩১ ডিসেম্বরে শেয়ারপ্রতি নিট সম্পদমূল্য (এনএভিপিএস) দাঁড়িয়েছে ১৭ টাকা ১৮ পয়সা, যা ২০২২ সালের ৩০ জুনে ছিল ১০ টাকা ৭ পয়সা। প্রথমার্ধে কোম্পানিটির শেয়ারপ্রতি নগদ অর্থপ্রবাহ হয়েছে ৭ টাকা ৮১ পয়সা, আগের বছর একই সময়ে ছিল ২৪ পয়সা (ঘাটতি)।
সর্বশেষ ২০২২ সালের ৩০ জুন সমাপ্ত হিসাববছরে কোম্পানিটি তাদের শেয়ারহোল্ডারদের ১০ শতাংশ নগদ ও ৩০ শতাংশ বোনাস লভ্যাংশ দিয়েছে। আলোচিত হিসাববছরে কোম্পানিটির শেয়ারপ্রতি আয় (ইপিএস) হয়েছে ১২ টাকা ৪৯ পয়সা এবং ৩০ জুনে শেয়ারপ্রতি নেট সম্পদমূল্য (এনএভি) দাঁড়িয়েছে ১৩ টাকা ১০ পয়সা। আর আলোচিত হিসাববছরে শেয়ারপ্রতি নগদ অর্থপ্রবাহ হয়েছে ২৫ টাকা ৭৯ পয়সা (ঘাটতি)।