Print Date & Time : 21 June 2025 Saturday 8:06 pm

কারণ ছাড়াই মুন্নু ফেব্রিকসের অস্বাভাবিক শেয়ারদর বৃদ্ধি

নিজস্ব প্রতিবেদক: শেয়ারদর বাড়ার পেছনে কোনো মূল্য সংবেদনশীল তথ্য নেই বস্ত্র খাতের কোম্পানি মুন্নু ফেব্রিকস লিমিটেডের। সম্প্রতি অস্বাভাবিক দর বাড়ার কারণ জানতে চাইলে কোম্পানিটি এমন তথ্য জানায়। ঢাকা স্টক এক্সচেঞ্জ (ডিএসই) সূত্রে এ তথ্য জানা গেছে।

সম্প্রতি কোম্পানিটির অস্বাভাবিক দর বাড়ার কারণ জানতে চেয়ে ডিএসই নোটিশ পাঠায়। জবাবে কোনো অপ্রকাশিত মূল্য সংবেদনশীল তথ্য ছাড়াই শেয়ারদর বাড়ছে বলে জানায় কোম্পানি কর্তৃপক্ষ। গত ৩১ জানুয়ারি কোম্পানির শেয়ারদর ছিল ১৪ টাকা ৭০ পয়সা, যা গত ১৮ ফেব্রুয়ারি লেনদেন হয় ২৪ টাকা ৪০ পয়সায়। এ হিসাবে মাত্র ১২ কার্যদিবসে কোম্পানিটির দর বেড়েছে ৯ টাকা ৭০ পয়সা। আর এই দর বাড়াকে অস্বাভাবিক মনে করছে ডিএসই।

এদিকে গতকাল ডিএসইতে কোম্পানিটির শেয়ারদর ৯ দশমিক ০২ শতাংশ বা ২ টাকা ২০ পয়সা বেড়ে প্রতিটি সর্বশেষ ২৬ টাকা ৬০ পয়সায় হাতবদল হয়, যার সমাপনী দরও ছিল একই। দিনজুড়ে শেয়ারদর ২৩ টাকা ৯০ পয়সা থেকে ২৬ টাকা ৮০ পয়সায় হাতবদল হয়। এদিন ৮৩ লাখ ৫৪ হাজার ২২৬টি শেয়ার ৪ হাজার ৮১৭ বার হাতবদল হয়। যার বাজারদর ২১ কোটি ৭৮ লাখ ৫০ হাজার টাকা। গত এক বছরের মধ্যে কোম্পানিটির শেয়ারদর সর্বনিম্ন ১৪ টাকা ৪০ পয়সা থেকে ২৬ টাকা ৮০ পয়সার মধ্যে ওঠানামা করে।

কোম্পানিটি ১৯৯৬ সালে পুঁজিবাজারে তালিকাভুক্ত হয়ে বর্তমানে ‘বি’ ক্যাটেগরিতে লেনদেন করছে। ৫০০ কোটি টাকা অনুমোদিত মূলধনের বিপরীতে পরিশোধিত মূলধন ১১৫ কোটি টাকা এবং রিজার্ভের পরিমাণ ১৪০ কোটি ২৪ লাখ টাকা। কোম্পানিটির মোট ১১ কোটি ৫০ লাখ শেয়ার রয়েছে। ডিএসই’র সর্বশেষ তথ্যমতে, মোট শেয়ারের মধ্যে উদ্যোক্তা ও পরিচালকদের কাছে ৪০ দশমিক ৬৮ শতাংশ, প্রাতিষ্ঠানিক বিনিয়োগকারীদের কাছে ৯ দশমিক ০৩ শতাংশ, বিদেশি বিনিয়োগকারীর কাছে ১ দশমিক ৫৫ শতাংশ ও সাধারণ বিনিয়োগকারীর কাছে ৪৮ দশমিক ৭৪ শতাংশ শেয়ার রয়েছে।

চলতি হিসাববছরের দ্বিতীয় প্রান্তিকের (অক্টোবর-ডিসেম্বর, ২০২৩) অনিরীক্ষিত আর্থিক প্রতিবেদন প্রকাশ করেছে কোম্পানিটি। আর আগের বছরের তুলনায় চলতি বছরের দ্বিতীয় প্রান্তিকে (অক্টোবর-ডিসেম্বর, ২০২৩) ইপিএস বেড়েছে।

দ্বিতীয় প্রান্তিকে কোম্পানিটির ইপিএস হয়েছে ৪ পয়সা, আগের বছরের একই সময় ছিল ৩ পয়সা। অর্থাৎ দ্বিতীয় প্রান্তিকে কোম্পানিটির ইপিএস ১ পয়সা বেড়েছে। চলতি হিসাববছরের প্রথমার্ধে (জুলাই-ডিসেম্বর, ২০২৩) ইপিএস হয়েছে ৭ পয়সা, আগের বছরের একই সময়ে ছিল ৬ পয়সা। অর্থাৎ প্রথমার্ধের হিসাবে ইপিএস বেড়েছে ১ পয়সা। এছাড়া ২০২৩ সালের ৩১ ডিসেম্বরে শেয়ারপ্রতি নিট সম্পদমূল্য (এনএভিপিএস) দাঁড়িয়েছে ২৫ টাকা ৪৮ পয়সা। প্রথমার্ধে কোম্পানিটির শেয়ারপ্রতি নগদ অর্থপ্রবাহ দাঁড়িয়েছে ১ টাকা ৩৫ পয়সা (ঘাটতি), যা আগের বছর একই সময় ১ টাকা ২৭ পয়সা (ঘাটতি) ছিল।

এদিকে কোম্পানিটির পরিচালনা পর্ষদ ৩০ জুন, ২০২৩ সমাপ্ত হিসাববছরের আর্থিক প্রতিবেদন বিশ্লেষণ করে বিনিয়োগকারীদের ১ শতাংশ নগদ লভ্যাংশ দিয়েছে। ২০২৩ সালের ৩০ জুন সমাপ্ত হিসাববছরে কোম্পানিটির শেয়ারপ্রতি আয় (ইপিএস) হয়েছে ১০ পয়সা আর ৩০ জুন, ২০২৩ শেয়ারপ্রতি নেট সম্পদমূল্য (এনএভি) দাঁড়িয়েছে ২৫ টাকা ৪২ পয়সা। আর শেয়ারপ্রতি নগদ অর্থপ্রবাহ (এনওসিএফপিএস) হয়েছে ১ টাকা ৮২ পয়সা (ঘাটতি)। এর আগে ২০২২ সালের ৩০ জুন সমাপ্ত হিসাববছরের নিরীক্ষিত আর্থিক প্রতিবেদন পর্যালোচনা করে ২ শতাংশ নগদ লভ্যাংশ দিয়েছে। আলোচিত সময়ে শেয়ারপ্রতি আয় (ইপিএস) হয়েছে ১২ পয়সা, আর ২০২২ সালের ৩০ জুন তারিখে শেয়ারপ্রতি নিট সম্পদমূল্য দাঁড়িয়েছে ২৫ টাকা ৩৭ পয়সা। আর আলোচিত সময়ে কোম্পানিটির শেয়ারপ্রতি নগদ অর্থ প্রবাহ হয়েছে ২ টাকা ৪৮ পয়সা (ঘাটতি)।