নিজস্ব প্রতিবেদক: শেয়ারদর বাড়ার পেছনে কোনো মূল্য সংবেদনশীল তথ্য নেই আইটি খাতের কোম্পানি এডিএন টেলিকম লিমিটেডের। সম্প্রতি অস্বাভাবিক দর বাড়ার কারণ জানতে চাইলে কোম্পানিটি এমন তথ্য জানায়। ঢাকা স্টক এক্সচেঞ্জ (ডিএসই) সূত্রে এ তথ্য জানা গেছে।
সম্প্রতি কোম্পানিটির অস্বাভাবিক দর বাড়ার কারণ জানতে চেয়ে ডিএসই নোটিশ পাঠায়। জবাবে কোনো অপ্রকাশিত মূল্য সংবেদনশীল তথ্য ছাড়াই শেয়ারদর বাড়ছে বলে জানায় কোম্পানি কর্তৃপক্ষ। গত ২৬ ফেব্রুয়ারি থেকে ধারাবাহিক শেয়ারদর বাড়ছে। ২৬ ফ্রেব্রয়ারি কোম্পানিটির শেয়ারদর ছিল ১১৩ টাকা ৪০ পয়সা, যা গত ৭ মার্চ লেনদেন হয় ১৫৮ টাকা ৯০ পয়সায়। আর এ দর বাড়াকে অস্বাভাবিক মনে করছে ডিএসই।
এদিকে সর্বশেষ কার্যদিবসে ডিএসইতে শেয়ারদর ৪ দশমিক ৭৮ শতাংশ বা ৭ টাকা ৬০ পয়সা বেড়ে প্রতিটি সর্বশেষ ১৬৬ টাকা ৫০ পয়সায় হাতবদল হয়, যার সমাপনী দরও ছিল একই। দিনভর কোম্পানিটির শেয়ারদর সর্বনি¤œ ১৫৮ টাকা ২০ পয়সা থেকে সর্বোচ্চ ১৬৯ টাকায় লেনদেন হয়। দিনজুড়ে ১৪ লাখ ৩২ হাজার ৫৪০টি শেয়ার মোট ৩ হাজার ৫৯৮ বার হাতবদল হয়, যার বাজারদর ২৩ কোটি ৪৬ লাখ ৩০ হাজার টাকা। আর গত এক বছরের মধ্যে শেয়ারদর ৫৭ টাকা ৩০ পয়সা থেকে ১৬৯ টাকার মধ্যে ওঠানামা করে।
ঢাকা স্টক এক্সচেঞ্জে (ডিএসই) প্রকাশিত অনিরীক্ষিত আর্থিক প্রতিবেদনের মাধ্যমে জানা গেছে, চলতি হিসাববছরের প্রথমার্ধে (জুলাই-ডিসেম্বর, ২০২২) শেয়ারপ্রতি আয় (ইপিএস) হয়েছে ২ টাকা এক পয়সা (সমন্বিত), আগের বছরের একই সময়ে যা ছিল ১ টাকা ২৩ পয়সা (একক)। অন্যদিকে দ্বিতীয় প্রান্তিকে (অক্টোবর-ডিসেম্বর, ২০২২) কোম্পানিটির শেয়ারপ্রতি আয় (ইপিএস) হয়েছে ১ টাকা (সমন্বিত), যা আগের বছর একই সময় যা ছিল ৬০ পয়সা (একক)। এছাড়া ২০২২ সালের ৩১ ডিসেম্বরে শেয়ারপ্রতি নিট সম্পদমূল্য (এনএভিপিএস) দাঁড়িয়েছে ২৮ টাকা ৬০ পয়সা, যা ২০২২ সালের ৩০ জুনে ছিল ২৭ টাকা ৫৬ পয়সা। প্রথমার্ধে কোম্পানিটির শেয়ারপ্রতি নগদ অর্থপ্রবাহ হয়েছে ৯৭ পয়সা, আগের বছর একই সময়ে যা ছিল ৪৪ পয়সা (ঘাটতি)।
২০২২ সালের ৩০ জুন সমাপ্ত হিসাববছরে কোম্পানিটি ১০ শতাংশ নগদ লভ্যাংশ দিয়েছে। আলোচিত সময়ে শেয়ারপ্রতি আয় হয়েছে ২ টাকা ৫৯ পয়সা এবং ৩০ জুন ২০২২ শেয়ারপ্রতি নেট সম্পদমূল্য (এনএভি) দাঁড়িয়েছে ২৭ টাকা ৫৬ পয়সা। এর আগে ২০২১ সালের ৩০ জুন সমাপ্ত হিসাববছরেরও নিরীক্ষিত আর্থিক প্রতিবেদন পর্যালোচনা করে কোম্পানিটি ১০ শতাংশ নগদ লভ্যাংশ দিয়েছে। আলোচিত সময়ে ইপিএস হয়েছে দুই টাকা ৫৭ পয়সা এবং ৩০ জুন, ২০২১ শেয়ারপ্রতি নেট সম্পদমূল্য (এনএভি) ছিল ২৫ টাকা ৯৭ পয়সা। আর ওই সময় শেয়ারপ্রতি নগদ অর্থপ্রবাহ হয়েছে দুই টাকা ১০ পয়সা। এর আগের বছর বা ২০২০ সালের ৩০ জুন সমাপ্ত হিসাববছরে কোম্পানিটি ১৫ শতাংশ নগদ লভ্যাংশ দিয়েছিল।
আলোচিত সময়ে ইপিএস হয়েছে দুই টাকা ৮৬ পয়সা এবং ৩০ জুন, ২০২০ এনএভি ছিল ২৫ টাকা ২৭ পয়সা।
২০১৯ সালে পুঁজিবাজারে তালিকাভুক্ত হয়ে বর্তমানে ‘এ’ ক্যাটেগরিতে লেনদেন হচ্ছে কোম্পানিটির শেয়ার। ২০০ কোটি টাকা অনুমোদিত মূলধনের বিপরীতে পরিশোধিত মূলধন ৬৪ কোটি ৬৫ লাখ ২০ হাজার টাকা। কোম্পানির রিজার্ভে রয়েছে ৭২ কোটি ১৬ লাখ টাকা। তাদের মোট ছয় কোটি ৪৬ লাখ ৫১ হাজার ৬৬৬ শেয়ার রয়েছে। ডিএসইর সর্বশেষ তথ্যমতে, কোম্পানির মোট শেয়ারের মধ্যে উদ্যোক্তা বা পরিচালকদের কাছে ৪৯ দশমিক ৪৮ শতাংশ, প্রাতিষ্ঠানিক ১৯ দশমিক ৬৩ শতাংশ, বিদেশি বিনিয়োগকারীর কাছে এক দশমিক ৯৯ শতাংশ ও সাধারণ বিনিয়োগকারীর কাছে বাকি ২৮ দশমিক ৯০ শতাংশ শেয়ার রয়েছে।