নিজস্ব প্রতিবেদক: শেয়ারদর বাড়ার পেছনে কোনো মূল্যসংবেদনশীল তথ্য নেই বিবিধ খাতের কোম্পানি খান ব্রাদার্স পিপি ওভেন ব্যাগ ইন্ডাস্ট্রিজ লিমিটেডের। সম্প্রতি অস্বাভাবিক দর বাড়ার কারণ জানতে চাইলে কোম্পানিটি এমন তথ্য জানায়। ঢাকা স্টক এক্সচেঞ্জ (ডিএসই) সূত্রে এ তথ্য জানা গেছে।
কোম্পানিটির গত ২ জুলাই থেকে ৮ জুলাই পর্যন্ত ধারাবাহিকভাবে শেয়ারদর বেড়েছে। ২ জুলাই কোম্পানিটির শেয়ারদর ছিল ৯৬ টাকা, যা ৮ জুলাই ছিল ১৪০ টাকা ৪০ পয়সা। আর এই দরবৃদ্ধিকে অস্বাভাবিক মনে করছে ডিএসই। তাই কোম্পানিটির এমন অস্বাভাবিক দর বাড়ার কারণ জানতে চেয়ে ডিএসই নোটিস পাঠায়। জবাবে কোনো অপ্রকাশিত মূল্য সংবেদনশীল তথ্য ছাড়াই শেয়ারদর বাড়ছে বলে জানায় কোম্পানি কর্তৃপক্ষ।
তবে গতকাল ডিএসইতে কোম্পানিটির শেয়ারদর ২ দশমিক ৯৮ শতাংশ বা ৪ টাকা ১০ পয়সা কমে প্রতিটি শেয়ার সর্বশেষ ১৩৩ টাকা ৭০ পয়সায় হাতবদল হয়, যার সমাপনী দর ছিল একই। দিনজুড়ে শেয়ারদর সর্বনিম্ন ১৩৩ টাকা ৭০ পয়সা থেকে সর্বোচ্চ ১৪২ টাকা ৯০ পয়সায় হাতবদল হয়। ওইদিন ১ লাখ ৯৪ হাজার ৭১৩টি শেয়ার মোট ৯৬৩ বার হাতবদল হয়, যার বাজারদর ২ কোটি ৬৯ লাখ টাকা। গত এক বছরে শেয়ারদর ১৮ টাকা ৭০ পয়সা থেকে ২৩৯ টাকা ৯০ পয়সার মধ্যে ওঠানামা করে।
এদিকে চলতি হিসাববছরের তৃতীয় প্রান্তিকে (জানুয়ারি-মার্চ, ২০২৪) কোম্পানিটির শেয়ারপ্রতি আয় (ইপিএস) হয়েছে ২ পয়সা (লোকসান), যা আগের বছর একই সময় ছিল ১ পয়সা (লোকসান)। অর্থাৎ শেয়ারপ্রতি লোকসান বেড়েছে ১ পয়সা। অন্যদিকে প্রথম তিন প্রান্তিকে (জুলাই, ২০২৩-মার্চ, ২০২৪) শেয়ারপ্রতি আয় (ইপিএস) হয়েছে ৫ পয়সা (লোকসান), আগের বছরের একই সময়ে যা ছিল ৩ পয়সা (লোকসান)। অর্থাৎ প্রথম তিন প্রান্তিকের হিসাবে শেয়ারপ্রতি লোকসান ২ পয়সা বেড়েছে। এছাড়া ২০২৪ সালের ৩১ মার্চে শেয়ারপ্রতি নিট সম্পদমূল্য (এনএভিপিএস) দাঁড়িয়েছে ১১ টাকা ৮২ পয়সা, যা ২০২৩ সালের ৩০ জুনে ছিল ১১ টাকা ৮৭ পয়সা। প্রথম তিন প্রান্তিকে কোম্পানিটির শেয়ারপ্রতি নগদ অর্থপ্রবাহ হয়েছে ৬ পয়সা।
কোম্পানিটি ২০১৪ সালে পুঁজিবাজারে তালিকাভুক্ত হয়ে বর্তমানে ‘বি’ ক্যাটেগরিতে লেনদেন হচ্ছে। ১৫০ কোটি টাকা অনুমোদিত মূলধনের বিপরীতে পরিশোধিত মূলধন ৯৮ কোটি ৮ লাখ টাকা। কোম্পানিটির মোট ৯ কোটি ৮০ লাখ ৭৯ হাজার ৮৭৭টি শেয়ার রয়েছে। ডিএসইর সর্বশেষ তথ্যমতে, মোট শেয়ারের মধ্যে উদ্যোক্তা বা পরিচালকদের কাছে ৩০ দশমিক ১৩ শতাংশ, প্রাতিষ্ঠানিক বিনিয়োগকারীদের কাছে ৮ দশমিক ৫১ শতাংশ এবং সাধারণ বিনিয়োগকারীদের কাছে ৬১ দশমিক ৩৬ শতাংশ শেয়ার রয়েছে।
কোম্পানিটির পরিচালনা পর্ষদ ৩০ জুন, ২০২৩ সমাপ্ত হিসাববছরের আর্থিক প্রতিবেদন বিশ্লেষণ করে বিনিয়োগকারীদের কোন লভ্যাংশ না দেয়ার ঘোষণা দিয়েছে। আলোচিত সময়ে কোম্পানিটির শেয়ারপ্রতি আয় (ইপিএস) হয়েছে ৬ পয়সা (লোকসান)।
৩০ জুন, ২০২৩ তারিখে শেয়ারপ্রতি নিট সম্পদমূল্য (এনএভি) দাঁড়িয়েছিল ১১ টাকা ৮৭ পয়সা। আর আলোচিত সময়ে কোম্পানিটির শেয়ারপ্রতি কোনো নগদ অর্থপ্রবাহ হয়নি। এর আগে কোম্পানিটির পরিচালনা পর্ষদ ৩০ জুন, ২০২২ সমাপ্ত হিসাববছরের আর্থিক প্রতিবেদন বিশ্লেষণ করে বিনিয়োগকারীদের ২ শতাংশ নগদ লভ্যাংশ দিয়েছে। আলোচিত সময়ে কোম্পানিটির শেয়ারপ্রতি আয় (ইপিএস) হয়েছে ১৮ পয়সা (লোকসান)। ৩০ জুন, ২০২২ তারিখে শেয়ারপ্রতি নিট সম্পদমূল্য (এনএভি) দাঁড়িয়েছিল ১১ টাকা ৯৪ পয়সা। আর আলোচিত সময়ে কোম্পানিটির শেয়ারপ্রতি নগদ অর্থ প্রবাহ হয়েছিল ৫৭ পয়সা।