Print Date & Time : 19 June 2025 Thursday 2:13 am

কারণ ছাড়াই শেয়ারদর বাড়ছে বাংলাদেশ ইন্ডাস্ট্রিয়াল ফাইন্যান্সের

নিজস্ব প্রতিবেদক: শেয়ারদর বাড়ার পেছনে কোনো মূল্য সংবেদনশীল তথ্য নেই আর্থিক প্রতিষ্ঠান খাতের কোম্পানি বাংলাদেশ ইন্ডাস্ট্রিয়াল ফাইন্যান্স কোম্পানি লিমিটেডের। সম্প্রতি অস্বাভাবিক দর বাড়ার কারণ জানতে চাইলে কোম্পানিটি এমন তথ্য জানায়। ঢাকা স্টক এক্সচেঞ্জ (ডিএসই) সূত্রে এ তথ্য জানা গেছে।

সম্প্রতি কোম্পানিটির অস্বাভাবিক দর বাড়ার কারণ জানতে চেয়ে ডিএসই নোটিশ পাঠায়। জবাবে কোনো অপ্রকাশিত মূল্য সংবেদনশীল তথ্য ছাড়াই শেয়ারদর বাড়ছে বলে জানায় কোম্পানি কর্তৃপক্ষ। গত ১৪ জুলাই থেকে কোম্পানিটির ধারাবাহিকভাবে শেয়ারদর বাড়ছে। তবে গত ৩১ জুলাই থেকে অস্বাভাবিক দর বাড়ায় ডিএসই নোটিশ পাঠায়।

শেয়ারদর বিশ্লেষণে দেখা গেছে, ৩১ জুলাই কোম্পানিটির শেয়ারদর ছিল ৯ টাকা ৫০ পয়সা, যা গত ৩ আগস্ট লেনদেন হয় ১২ টাকা ৪০ পয়সায়। আর এই দর বাড়াকে অস্বাভাবিক মনে করছে ডিএসই।

এদিকে সর্বশেষ কার্যদিবসেও ডিএসইতে শেয়ারদর ২ দশমিক ৪২ শতাংশ বা ৩০ পয়সা বেড়ে প্রতিটি সর্বশেষ ১২ টাকা ৭০ পয়সায় হাতবদল হয়, যার সমাপনী দরও ছিল একই। দিনজুড়ে ৬ লাখ ৪৮ হাজার ২৪৯টি শেয়ার মোট ৩৭৫ বার হাতবদল হয়, যার বাজারদর ৭৮ লাখ ৭০ হাজার টাকা। দিনভর শেয়ারদর সর্বনি¤œ ১১ টাকা ২০ পয়সা থেকে সর্বোচ্চ ১৩ টাকা ৬০ পয়সায় হাতবদল হয়। এদিকে লোকসানে ডুবতে থাকা কোম্পানিটি সর্বশেষ ২০১৩ সালের পর আর লভ্যাংশ দিতে পারেনি। এমনকি গেল জুনে ২০১৯ সালের ৩১ ডিসেম্বর সমাপ্ত হিসাববছরের জন্য কোম্পানিটি কোনো লভ্যাংশ না দেয়ার ঘোষণা দিয়েছে। আলোচিত সময়ে কোম্পানিটি শেযারপ্রতি আয় (ইপিএস) হয়েছে ১২ টাকা ২০ পয়সা লোকসান ও ৩১ ডিসেম্বর তারিখে শেযারপ্রতি নেট সম্পদমূল্য (এনএভি) দাঁড়িয়েছে ৯৪ টাকা ২৭ পয়সা।

২০০৬ সালে পুঁজিবাজারে তালিকাভুক্ত হয় ‘জেড’ ক্যাটেগরির কোম্পানিটি। ৪০০ কোটি টাকা অনুমোদিত মূলধনের বিপরীতে পরিশোধিত মূলধন ১০০ কোটি ৬৭ লাখ ৯০ হাজার টাকা। কোম্পানির রিজার্ভ ঘাটতি ৭৬৯ কোটি ২০ লাখ টাকা। কোম্পানিটির মোট ১০ কোটি ছয় লাখ ৭৯ হাজার ৯৪৪টি শেয়ারের মধ্যে উদ্যোক্তা বা পরিচালকদের কাছে ৪০ দশমিক ৫৫ শতাংশ, প্রাতিষ্ঠানিক বিনিয়োগকারীর ৪১ দশমিক ০৫ শতাংশ ও সাধারণ বিনিয়োগকারীর কাছে বাকি ১৮ দশমিক ৪০ শতাংশ শেয়ার রয়েছে।