নিজস্ব প্রতিবেদক: কোনো ধরনের মূল্য সংবেদনশীল তথ্য ছাড়াই অস্বাভাবিক শেয়ারদর বাড়ছে পুঁজিবাজারে তালিকাভুক্ত খাদ্য ও আনুষঙ্গিক খাতের প্রতিষ্ঠান ন্যাশনাল টি কোম্পানি লিমিটেডের। সম্প্রতি অস্বাভাবিক দর বাড়ার কারণ জানতে চাইলে কোম্পানিটি এমন তথ্য জানায়। ঢাকা স্টক এক্সচেঞ্জ (ডিএসই) সূত্রে এ তথ্য জানা গেছে।
প্রাপ্ত তথ্যমতে, সম্প্রতি কোম্পানিটির অস্বাভাবিক দর বৃদ্ধির কারণ জানতে চেয়ে ডিএসই নোটিশ পাঠায়। জবাবে কোনো অপ্রকাশিত মূল্য সংবেদনশীল তথ্য ছাড়াই শেয়ারদর বাড়ছে বলে জানায় কোম্পানি কর্তৃপক্ষ। শেয়ারদর বিশ্লেষণে দেখা গেছে, গত ২১ আগস্ট থেকে কোম্পানিটির ধারাবাহিকভাবে শেয়ারদর বাড়ছে। ওই দিন ডিএসইতে কোম্পানিটির শেয়ারদর ছিল ৬২১ টাকা ৪০ পয়সা, যা গত ৩১ আগস্ট লেনদেন হয় ৮২২ টাকা ৫০ পয়সায়। আর এই দর বাড়াকে অস্বাভাবিক মনে করছে ডিএসই।
তবে গতকাল ডিএসইতে কোম্পানিটির শেয়ারদর ৩ দশমিক ৬৬ শতাংশ বা ৩০ টাকা ১০ পয়সা কমে প্রতিটি শেয়ার সর্বশেষ ৭৯২ টাকা ৪০ পয়সায় হাতবদল হয়, যার সমাপনী দরও ছিল একই। দিনভর কোম্পানিটির ৩৮ হাজার ৩২২টি শেয়ার মোট ৮৪৮ বার হাতবদল হয়, যার বাজারদর ৩ কোটি ১১ লাখ ২০ হাজার টাকা। ওই দিনভর শেয়ারদর সর্বনি¤œ ৭৭০ টাকা ৩০ পয়সা থেকে সর্বোচ্চ ৮৪০ টাকায় লেনদেন করে। আর গত এক বছরের মধ্যে শেয়ারদর ৫১৫ টাকা থেকে ৯৪৫ টাকার মধ্যে ওঠানামা করে।
কোম্পানিটি ৩০ জুন ২০২১ সমাপ্ত হিসাববছরের নিরীক্ষিত আর্থিক প্রতিবেদন পর্যালোচনা করে বিনিয়োগকারীদের ১০ শতাংশ নগদ লভ্যাংশ দিয়েছে। আলোচিত সময়ে শেয়ারপ্রতি আয় (ইপিএস) হয়েছে ৩১ টাকা ৬৮ পয়সা (লোকসান) এবং শেয়ারপ্রতি নেট সম্পদমূল্য (এনএভি) দাঁড়িয়েছে ৮৪ টাকা ২৭ পয়সা। কোম্পানিটি ১৯৭৯ সালে পুঁজিবাজারে তালিকাভুক্ত হয়ে বর্তমানে ‘এ’ ক্যাটেগরিতে অবস্থান করছে। ২৫ কোটি টাকা অনুমোদিত মূলধনের বিপরীতে পরিশোধিত মূলধন ৬ কোটি ৬০ লাখ টাকা। রিজার্ভের পরিমাণ ৪৯ কোটি ২ লাখ টাকা। কোম্পানিটির মোট ৬৬ লাখ শেয়ার রয়েছে। ডিএসইর সর্বশেষ তথ্যমতে, মোট শেয়ারের মধ্যে উদ্যোক্তা ও পরিচালকদের ৪৮ দশমিক ৬০ শতাংশ শেয়ার, সরকারি ৪ দশমিক ৩৩ শতাংশ, প্রাতিষ্ঠানিক বিনিয়োগকারীদের কাছে ৮ দশমিক ৫৫ শতাংশ এবং সাধারণ বিনিয়োগকারীদের কাছে ৩৮ দশমিক ৫২ শতাংশ শেয়ার রয়েছে।
