নিজস্ব প্রতিবেদক: অস্বাভাবিকহারে শেয়ারদর বাড়ার কারণ জানে না পুঁজিবাজারে তালিকাভুক্ত বস্ত্র খাতের কোম্পানি ‘ফারইস্ট নিটিং অ্যান্ড ডায়িং ইন্ডাস্ট্রিজ লিমিটেড’। গত ১৮ কার্যদিবসে কোম্পানিটির শেয়ারদর বেড়েছে ৩০ দশমিক ৩০ শতাংশ; যা অস্বাভাবিক বলে মনে করছেন বাজার সংশ্লিষ্টরা।
ঢাকা স্টক এক্সচেঞ্জের (ডিএসই) তথ্য বিশ্লেষণে দেখা যায়, গত ১১ ডিসেম্বর বস্ত্র খাতের এ কোম্পানিটির শেয়ারদর ছিল ২৩ টাকা। গতকাল মঙ্গলবার দিন শেষে শেয়ারদর দাঁড়ায় ৩৩ টাকায়। গত ১৮ কার্যদিবসে কোম্পানিটির শেয়ারদর বাড়ে ৩০ দশমিক ৩০ শতাংশ। আর শুধু গতকালই শেয়ারদর বাড়ে ৭ দশমিক ৫২ শতাংশ।
এ প্রসঙ্গে গতকাল মঙ্গলবার কথা হয় ফারইস্ট নিটিং অ্যান্ড ডায়িংয়ের কোম্পানি সচিব এমএ জামানের সঙ্গে। তিনি শেয়ার বিজকে বলেন, ‘কোম্পানিটির শেয়ারদর বাড়ার পেছনে কোনো মূল্য সংবেদনশীল তথ্য নেই। কে বা কারা বাড়াচ্ছে, তা-ও আমাদের জানা নেই। তবে ব্যবসায়িকভাবে কোম্পানিটি ভালো করছে’ বলে জানান তিনি।
তিনি জানান, ‘বিদায়ী হিসাব বছরে কোম্পানির পরিচালনা পর্ষদ শেয়ারহোল্ডারদের জন্য ১৫ শতাংশ লভ্যাংশ ঘোষণা করেছে। এর মধ্যে ১০ শতাংশ বোনাস আর ৫ শতাংশ নগদ লভ্যাংশ, যা বার্ষিক সাধারণ সভায় (এজিএম) শেয়ারহোল্ডারদের অনুমোদনও নেওয়া হয়েছে। এমনকি লভ্যাংশও বিতরণ শেষ। অন্যদিকে চলতি বছরের প্রথম প্রান্তিকে (জুলাই-সেপ্টেম্বর, ১৬) কোম্পানিটির শেয়ারপ্রতি আয় (ইপিএস) হয়েছে ৪২ পয়সা; যা সবাইকে জানানো হয়েছে অনেক আগেই। তবে এখন শেয়ারদর বাড়ার কোনো কারণ কর্তৃপক্ষের জানা নেই’ বলে দাবি করেন এ কর্মকর্তা।
ফারইস্ট নিটিং অ্যান্ড ডাইংয়ের প্রথম প্রান্তিকের অ-নিরীক্ষিত আর্থিক প্রতিবেদনে (জুলাই-সেপ্টেম্বর, ১৬) কোম্পানিটির শেয়ারপ্রতি আয় (ইপিএস) হয়েছে ৪২ পয়সা। গত বছরের একই সময়ে কোম্পানিটির ইপিএস ছিল ৩৭ পয়সা। আলোচ্য সময়ে কোম্পানির সম্পদ মূল্যায়ন পরবর্তী শেয়ারপ্রতি প্রকৃত সম্পদমূল্য (এনএভি) হয়েছে ২১ টাকা ৭৯ পয়সা, যা সম্পদ মূল্যায়ন পূর্ববর্তী সময়ে ছিল ১৯ টাকা ৯৩ পয়সা।
২০১৪ সালে তালিকাভুক্ত এ কোম্পানিটির অনুমোদিত মূলধন ৩০০ কোটি টাকা। আর পরিশোধিত মূলধন ১৬১ কোটি টাকা। ‘এ’ ক্যাটাগরিতে লেনদেন হওয়া ফারইস্ট নিটিং অ্যান্ড ডাইংয়ের মোট শেয়ারের ৭১ দশমিক ৯৮ শতাংশ শেয়ার উদ্যোক্তা পরিচালকদের হাতে। আর প্রাতিষ্ঠানিক বিনিয়োগকারীদের কাছে রয়েছে ১৫ দশমিক ৫২ শতাংশ শেয়ার। বাকি ১২ দশমিক ৫০ শতাংশ শেয়ার রয়েছে সাধারণ বিনিয়োগকারীদের হাতে।
Add Comment