নিজস্ব প্রতিবেদক: বিবিধ খাতের তালিকাভুক্ত কোম্পানি মিরাকল ইন্ডাস্ট্রিজ লিমিটেডের শেয়ারদর বাড়ার কোনো কারণ নেই। কোম্পানির অস্বাভাবিক দর বাড়ার কারণ জানতে চাইলে কোম্পানিটি এমনটিই জানায় ঢাকা স্টক এক্সচেঞ্জকে (ডিএসই)।
সূত্রমতে, কোম্পানির অস্বাভাবিক দর বাড়ার কারণ জানতে চেয়ে গত ৩০ নভেম্বর ডিএসই নোটিস পাঠায়। কোনো অপ্রকাশিত মূল্য সংবেদনশীল তথ্য ছাড়াই শেয়ারদর বাড়ছে বলে কোম্পানি কর্তৃপক্ষ জানায়।
গত ১০ কার্যদিবসের মধ্যে তিন দিন বাদে সাত দিনই বেড়েছে মিরাকল ইন্ডাস্ট্রিজ লিমিটেডের শেয়ারদর। গত ১৭ নভেম্বর কোম্পানিটির শেয়ারদর ছিল ৩৭ টাকা ৭০ পয়সা, যা ৩০ নভেম্বর বেড়ে দাঁড়ায় ৫১ টাকা ৯০ পয়সায়। এ সময়ের মধ্যে কোম্পানির শেয়ারদর বেড়েছে ১৪ টাকা ২০ পয়সা। এ দর বাড়াকে অস্বাভাবিক বলে মনে করছে ডিএসই।
উল্লেখ্য, ‘বি’ ক্যাটাগরির এ কোম্পানি ২০০০ সালে পুঁজিবাজারে তালিকাভুক্ত হয়। বৃহস্পতিবার কোম্পানিটির শেয়ারদর আগের কার্যদিবসের চেয়ে এক দশমিক ৭৩ শতাংশ বা ৯০ পয়সা বেড়ে প্রতিটি শেয়ার সর্বশেষ ৫২ টাকা ৮০ পয়সায় হাতবদল হয়, যার সমাপনী দর ছিল ৫২ টাকা ৮০ পয়সা। গতকাল শেয়ারদর সর্বনি¤œ ৪৯ টাকা ৬০ পয়সা থেকে সর্বোচ্চ ৫৪ টাকায় ওঠানামা করে। এদিন আট লাখ ১১০টি শেয়ার মোট ৯৯৬ বার হাতবদল হয়, যার বাজারদর চার কোটি ১৭ লাখ ৮১ হাজার টাকা। এক বছরের মধ্যে শেয়ারদর ১৯ টাকা ৮০ পয়সা থেকে ৫৪ টাকায় ওঠানামা করে। ৩০ জুন ২০১৬ সালের সমাপ্ত হিসাববছরে বিনিয়োগকারীদের জন্য আট শতাংশ বোনাস লভ্যাংশ ঘোষণা করেছে। এ সময়ে কোম্পানিটির ইপিএস হয়েছে এক টাকা ২৩ পয়সা এবং এনএভি দাঁড়িয়েছে ৪৫ টাকা ৭০ পয়সা, যা আগের বছরের একই সময়ে ছিল যথাক্রমে এক টাকা ৫৭ পয়সা ও ৪৫ টাকা ১৯ পয়সা।
ঘোষিত লভ্যাংশ বিনিয়োগকারীদের সম্মতিক্রমে অনুমোদনের জন্য ১৭ ডিসেম্বর গাজীপুরে কারখানা প্রাঙ্গণে (জিলেরচালা, শ্রীপুর) কোম্পানির এজিএম অনুষ্ঠিত হবে। রেকর্ড ডেট নির্ধারণ ছিল ১৬ নভেম্বর।
২০১৫ সালে কোম্পানিটি সাত শতাংশ বোনাস শতাংশ লভ্যাংশ দিয়েছিল। এ সময় ইপিএস হয়েছিল এক টাকা ৬৮ পয়সা এবং এনএভি ছিল ৪৮ টাকা ৩৬ পয়সা। কর-পরবর্তী মুনাফা করেছিল চার কোটি ২৬ লাখ ৩০ হাজার টাকা, যা আগের বছর ছিল ৫৮ লাখ ৩০ হাজার টাকা। ৫০ কোটি টাকা অনুমোদিত মূলধনের বিপরীতে পরিশোধিত মূলধন ২৭ কোটি ১৩ লাখ ৩০ হাজার টাকা।
জুন ক্লোজিং কোম্পানিটি চলতি বছরের প্রথম প্রান্তিকে কর-পরবর্তী মুনাফা করেছে ৭৫ লাখ ৬০ হাজার টাকা। ইপিএস ছিল ২৮ পয়সা। এটি আগের বছর একই সময়ে ছিল ২২ পয়সা। অর্থাৎ ইপিএস বেড়েছে ছয় পয়সা। চলতি বছরের ৩০ সেপ্টেম্বর পর্যন্ত এনএভি হয়েছিল ৪৫ টাকা ৯৮ পয়সা, যা একই বছরের ৩০ জুন পর্যন্ত ছিল ৪৫ টাকা ৭০ পয়সা। কোম্পানিটির মোট দুই কোটি ৭১ লাখ ৩৩ হাজার ১৮৫টি শেয়ার রয়েছে।
ডিএসইর সর্বশেষ তথ্যমতে, কোম্পানির মোট শেয়ারের মধ্যে উদ্যোক্তা ও পরিচালকদের কাছে রয়েছে ৫২ দশমিক শূন্য এক শতাংশ ও সাধারণ বিনিয়োগকারীদের কাছে রয়েছে ৪৭ দশমিক ৯৯ শতাংশ শেয়ার।