আব্দুল্লাহ আল নোমান, টাঙ্গাইল : টাঙ্গাইলের কালিহাতীতে যমুনার ভাঙন অব্যাহত রয়েছে। উপজেলার গড়িলাবাড়ি এলাকায় ভাঙনে চারটি বাড়ি বিলীন হয়ে গেছে। এ এলাকায় চলতি বছর অব্যাহত ভাঙনে এ পর্যন্ত প্রায় অর্ধশত ঘরবাড়ি বিলীন হয়ে গেছে। অথচ ভাঙন প্রতিরোধে প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা নিচ্ছে না কর্তৃপক্ষ।
স্থানীয়রা জানান, শুক্রবার রাত ১২টায় গড়িলাবাড়ি গ্রামের আশরাফ আলী, আজিজুল হক, তালেব ফকির ও মো. ইব্রাহীমের বাড়ি নদীতে হারিয়ে যায়। শুধু তাকিয়ে তাকিয়ে দেখা ছাড়া কিছুই করার ছিল না তাদের। শেষ সম্বল বাড়িটুকু হারিয়ে তাদের এখন ঠাঁই হয়েছে খোলা আকাশের নিচে। ভাঙনের মুখে রয়েছে আরও বেশ কিছু ঘরবাড়ি। এ এলাকায় ভাঙন অব্যাহত থাকলেও তা প্রতিরোধে স্থায়ী কোনো পদক্ষেপ নিচ্ছে না সংশ্লিষ্ট কর্তৃপক্ষ।
সুরুজ্জামান মিয়া জানান, এবার বন্যার পানি কমে যাওয়ার পর গড়িলাবাড়ি এলাকায় এ নিয়ে পাঁচবার বড় রকমের ভাঙন দেখা দেয়। এর আগে বঙ্গবন্ধু সেতুর গাইডবাঁধের অনেকটুকু অংশ ভেঙে গেছে। এর পর থেকে যমুনাপাড়ের মানুষগুলো আতঙ্কগ্রস্ত হয়ে পড়ে।
উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা আবু নাছার উদ্দিন জানান, গড়িলাবাড়িতে কয়েকটি বাড়ি ভাঙনের খবর পেয়েছেন। সেখানে লোক পাঠিয়ে খোঁজখবর নিচ্ছেন। এছাড়া সেখানে গাইডবাঁধ নির্মাণের মাধ্যমে স্থায়ীভাবে ভাঙন প্রতিরোধের উদ্যোগ নেওয়া হচ্ছে।
টাঙ্গাইল পানি উন্নয়ন বোর্ডের নির্বাহী প্রকৌশলী শাহজাহান সিরাজ জানান, ভাঙন এলাকায় আমাদের লোকজন খোঁজখবর নিচ্ছেন। আসলে যেভাবে বাড়িঘর ভাঙছে, তাৎক্ষণিকভাবে তা সামাল দেওয়া কঠিন। এর জন্য আমাদের পর্যাপ্ত বাজেটও থাকে না। ওই এলাকায় ২০০ কোটি টাকা ব্যয়ে এক কিলোমিটার দীর্ঘ একটি গাইডবাঁধ নির্মাণ করা হবে। ১৫ দিনের মধ্যে গাইডবাঁধ নির্মাণ প্রকল্পের টেন্ডার হবে। আশা করছি এ গাইডবাঁধ নির্মাণ হলে এ এলাকার মানুষ ভাঙনের কবল থেকে রক্ষা পাবে।