কালোটাকা বিনিয়োগের শর্ত তুলে নিতে বলল সিএসই

নিজস্ব প্রতিবেদক : পুঁজিবাজারে কালোটাকা বিনিয়োগের শর্তে ছাড় চেয়েছে চট্টগ্রমাম স্টক এক্সচেঞ্জ (সিএসই) কর্তৃপক্ষ। তারা বলেছে, বাজেটে কালোটাকা বিনিয়োগে তিন বছরের শর্ত দেওয়া হয়েছে। এ ক্ষেত্রে কেউ কালোটাকা বিনিয়োগ করলে তিন বছরের মধ্যে তিনি ওই অর্থ পুঁজিবাজার থেকে প্রত্যাহার করতে পারবেন না। এ শর্ত থাকলে কেউ বিনিয়োগে উৎসাহিত হবেন না। তাই চূড়ান্ত বাজেটে যেন এ শর্ত তুলে দেওয়া হয়।

গতকাল ২০২০-২১ অর্থবছরের জন্য প্রস্তাবিত বাজেটের ওপর প্রতিক্রিয়া জানাতে গিয়ে অনলাইনে এক সংবাদ সম্মেলনে এ দাবি জানান সিএসইর চেয়ারম্যান আসিফ ইব্রাহিম।

তিনি বলেন, তালিকাভুক্ত ও অতালিকাভুক্ত কোম্পানিগুলোর করহার ব্যবধান ১০ শতাংশ ছিল। তবে বাজেটে অতালিকাভুক্ত কোম্পানির করহার আড়াই শতাংশ কমানোর মাধ্যমে সেই ব্যবধান সাড়ে সাত শতাংশে নামিয়ে আনা হয়েছে। এতে করে ভালো কোম্পানি পুঁজিবাজারে আসতে নিরুৎসাহিত হবে। তাই তালিকাভুক্ত কোম্পানিগুলোর করহার ২৫ শতাংশ থেকে কমিয়ে ২০ শতাংশ করা হোক।

সিএসই চেয়ারম্যান বলেন, স্টক ব্রোকারদের উৎসে কর কর্তনের হার পুনর্নির্ধারণের জন্য বারবার অনুরোধ সত্ত্বেও এ হার পূর্ববর্তী শূন্য দশমিক শূন্য পাঁচ শতাংশ বহাল রাখা হয়েছে। অধিকাংশ ব্রোকার হাউস বর্তমানে লোকসানি প্রতিষ্ঠানে পরিবর্তিত হওয়া সত্ত্বেও এসব ব্রোকারেজ হাউসগুলো থেকে বর্তমান হারে কর আদায় আয়করের মৌলিক নীতিরও পরিপন্থি। বিদ্যমান পরিস্থিতিতে স্টক ব্রোকারদের উৎসে কর কর্তনের হার ২০০৬ সালে চালু করা হারে অর্থাৎ শূন্য দশমিক শূন্য ১৫ শতাংশ নির্ধারণ করার  দাবি জানান তিনি।

তিনি বলেন, দেশের বন্ড মার্কেটকে শক্তিশালী করার জন্য ২০২০-২১ অর্থবছরে প্রস্তাবিত বাজেটে বন্ডের সুদ ও বাট্টার ওপর উৎসেকর এবং লেনদেন মূল্যের ওপর উৎসেকর সমন্বয়ের প্রস্তাব করেছেন অর্থমন্ত্রী, যা পুঁজিবাজারে বন্ডের লেনদেন বাড়াবে বলে আমরা মনে করছি। দীর্ঘমেয়াদি অর্থায়নে একটি শক্তিশালী বন্ড মার্কেট বিকশিত হলে সরকারি ও বেসরকারি খাতের বড় প্রকল্পে অর্থায়নের নতুন ক্ষেত্র ও সুযোগ তৈরি হবে বলে আমরা আশা করছি।

সিএসইর অনলাইন সংবাদ সম্মেলনে অতিথির বক্তব্যে বাংলাদেশ সিকিউরিটিজ অ্যান্ড এক্সচেঞ্জ কমিশনের (বিএসইসি) কমিশনার ড. মিজানুর রহমান বলেন, একটি বিশেষ পরিস্থিতির কারণে ফ্লোর প্রাইসের নির্দেশনাটি দেওয়া হয়। তবে অন্যদের মতো আমরাও পুঁজিবাজারে অবাধ ও উম্মুক্ত লেনদেন চাই। তাই আশা করি অচিরেই বিনিয়োগকারীরা সে সুযোগ পাবে।

অনলাইন সংবাদ সম্মেলনে অংশগ্রহণ করেন সিএসইর পরিচালক মো. ছায়েদুর রহমান, সোহেল মাহমুদ শাকুর, মো. লিয়াকত হোসাইন চৌধুরী, ব্যারিস্টার আনিতা গাজী ইসলাম, মেজর (অব.) এমদাদুল ইসলাম ও ব্যবস্থাপনা পরিচালক মামুন-উর-রশীদ।

 

আর্কাইভ

রবি সোম মঙ্গল বুধ বৃহ শুক্র শনি
১০১১১২১৩১৪
১৫১৬১৭১৮১৯২০২১
২২২৩২৪২৫২৬২৭২৮
২৯৩০