নিজস্ব প্রতিবেদক, চট্টগ্রাম: নারায়ণগঞ্জের সাগর জুট ডাইভারসিফাইড ইন্ডাস্ট্রি নামের রপ্তানিকারক প্রতিষ্ঠান সংযুক্ত আরব আমিরাতে পণ্য রপ্তানির নামে কালোটাকা সাদা করার পাঁয়তারা করেছে। এ সঙ্গে প্রতিষ্ঠানটি সরকারের দেয়া ২০ শতাংশ রপ্তানি প্রণোদনা হাতিয়ে নেয়ারও অপচেষ্টা করেছে। তবে চট্টগ্রাম কাস্টম হাউসের তৎপরতায় মিথ্যা ঘোষণায় পণ্য রপ্তানির চালানটি আটক হওয়ার শেষ রক্ষা হয়নি।
সূত্রে জানা যায়, প্রতিষ্ঠানটি সংযুক্ত আরব আমিরাতে ১২ হাজার ২১৫ কেজি অর্থাৎ ৮২ হাজার পিস পণ্য রপ্তানির ঘোষণা দেয়। যার রপ্তানিমূল্য দেখানো হয়েছে চার কোটি ৭৬ লাখ ৬১ হাজার ৮৫৫ টাকা। কিন্তু কায়িক পরীক্ষায় পাওয়া যায় মাত্র ২৯ হাজার ৯৯৩ পিস পণ্য, যার আনুমানিক বাজারমূল্য ২৫ লাখ ৭৭ হাজার ২৬ টাকা। অর্থাৎ মিথ্যা ঘোষণায় পণ্য রপ্তানির নামে অতিরিক্ত তিন কোটি ৮১ লাখ টাকা অবৈধভাবে দেশে আনা অথবা দেশে অবৈধভাবে আয় করা কালোটাকা সাদা করার চেষ্টা করেছে। একই সঙ্গে জালিয়াতির মাধ্যমে প্রতিষ্ঠানটি ২০ শতাংশ হারে প্রণোদনা হিসেবে ৭৬ লাখ ৩৬ হাজার ৯৭২ টাকা অবৈধভাবে আত্মসাতের অপচেষ্টা করেন। রপ্তানিকারক প্রতিষ্ঠানটির মনোনীত সিঅ্যান্ডএফ এজেন্ট চট্টগ্রাম দেওয়ানহাট এলাকার আজিজুল হক অ্যান্ড কোম্পানি প্রাইভেট লিমিটেড নামের একটি প্রতিষ্ঠান। রপ্তানিকারক আল আরাফাহ্ ইসলামি ব্যাংকের মাধ্যমে এলসি করেন।
চট্টগ্রাম কাস্টমস হাউসের উপকমিশনার কমিশনার আহসান উল্ল্যাহ শেয়ার বিজকে বলেন, গোপন সংবাদের মাধ্যমে জানা যায়, মিথ্যা ঘোষণার মাধ্যমে নারায়ণগঞ্জের প্রতিষ্ঠানটি অবৈধভাবে উপার্জিত কালোটাকা সাদা করতে চেয়েছে, যা কায়িক পরীক্ষায় জালিয়াতির প্রমাণও পাওয়া গেছে। শুধু তাই নয়, রপ্তানি খাতকে উৎসাহিত করতে সরকারের দেয়া ২০ শতাংশ প্রণোদনার টাকাও আত্মসাতের চেষ্টা করেছে। তাই কাস্টমস আইন ও প্রচলিত অন্যান্য আইন মোতাবেক প্রতিষ্ঠানটির বিরুদ্ধে দৃষ্টান্তমূলক শাস্তির ব্যবস্থা করা হচ্ছে।
