কালোবাজারি চক্রের কাছে ট্রেনের ১২৪৪ টিকেট, আটক ১৪

নিজস্ব প্রতিবেদক: ঢাকায় কমলাপুর ও বিমানবন্দর রেলস্টেশন এলাকা থেকে টিকিট কালোবাজারি চক্রের ১৪ জন সক্রিয় সদস্যকে আটক করার কথা জানিয়েছে র‍্যাব। এদের মধ্যে চক্রটির মূল হোতা উত্তম ও সেলিমও আছেন। কারওয়ান বাজারে মিডিয়া সেন্টারে সংবাদ সম্মেলনে র‍্যাব কর্মকর্তারা জানান, গ্রেপ্তার হওয়া সবাই টিকিট কালোবাজারি চক্রের সক্রিয় সদস্য। তাদের কাছ থেকে প্রায় ১ হাজার ২০০ টিকিট পাওয়া গেছে। এদের কেউ কেউ ১৫ প্রায় বছর ধরে টিকেট কালোবাজারিতে জড়িত।

র‍্যাবের আইন ও গণমাধ্যম শাখার পরিচালক খন্দকার আল মঈন বলেন, অনলাইনে বা রেল স্টেশনের কাউন্টারে টিকেট পাওয়া না গেলেও কালোবাজারে বেশি দামে টিকেট বিক্রি হতে দেখা যায়। চাহিদা বেশি থাকায় ঢাকা ও কক্সবাজারের মধ্যে চলাচলকারী দুটি ট্রেনকে ঘিরে কালোবাজারিদের দৌরাত্ম্যও বেড়ে যায়। টিকেট বিক্রি শুরু হওয়ার সঙ্গে সঙ্গে এই রুটের ট্রেনের টিকেট শেষ হয়ে যায়। কালোবাজারিরা এসব টিকেট দুই-তিন গুণ বেশি দামে বিক্রি করে। বিষয়টি নিয়ে গণমাধ্যম ও সামাজিক মাধ্যমে আলোচনা হওয়ায় গোয়েন্দা নজরদারী বাড়ায় র‌্যাব।

এর ধারাবাহিকতায় গত রাতে র‌্যাব-৩ রাজধানীর কমলাপুর এলাকায় অভিযান চালিয়ে টিকেট কালোবাজারির সেলিম সিন্ডিকেটের হোতা মো. সেলিম (৫০) ও তার প্রধান সহযোগী মো. আনোয়ার হোসেন ওরফে কাশেমকে (৬২) গ্রেপ্তার করে। গ্রেপ্তার হওয়া অন্যরা হলেন অবনী সরকার সুমন (৩৫), মো. হারুন মিয়া (৬০), মো. মান্নান (৫০), মো. আনোয়ার হোসেন ওরফে ডাবলু (৫০), মো. ফারুক (৬২), মো. শহীদুল ইসলাম বাবু (২২), মো. জুয়েল (২৩), মো. আব্দুর রহিম (৩২)।

এদের কাছ থেকে পাওয়া তথ্যের ভিত্তিতে বিমানবন্দর রেলস্টেশন এলাকা থেকে উত্তম সিন্ডিকেটের হোতা উত্তম চন্দ্র দাস (৩০) এবং তার প্রধান সহযোগী মো. মোর্শিদ মিয়া ওরফে জাকিরকে (৪৫) গ্রেপ্তার করা হয়। ওই এলাকা থেকে আরও গ্রেপ্তার হয়েছেন আব্দুল আলী (২২), ও মো. জোবায়ের (২৫)। তাদের কাছ থেকে ১ হাজার ২৪৪টি আসনের টিকেট, ১৪টি মোবাইল ফোন এবং নগদ ২০ হাজার টাকা জব্দ করা হয়।

 

আর্কাইভ

রবি সোম মঙ্গল বুধ বৃহ শুক্র শনি
১০১১১২১৩১৪
১৫১৬১৭১৮১৯২০২১
২২২৩২৪২৫২৬২৭২৮
২৯৩০