কালো পতাকা মিছিলেও ক্র্যাকডাউনের হুমকি: মঈন খান

নিজস্ব প্রতিবেদক: বিএনপির ২৬ ও ২৭ জানুয়ারি কালো পতাকা মিছিল করলে সরকার ২৮ অক্টোবরের মতো আবারও ক্র্যাকডাউন চালাবে বলে অভিযোগ করেছেন বিএনপির জাতীয় স্থায়ী কমিটির সদস্য ড. আবদুল মঈন খান।

গতকাল সোমবার ঢাকা রিপোটার্স ইউনিটির নসরুল হামিদ মিলনায়তনে ‘মহান স্বাধীনতার ঘোষক, বহুদলীয় গণতন্ত্রের প্রবক্তা ও আধুনিক রাষ্ট্রের রূপকার এবং বিএনপির প্রতিষ্ঠাতা ও সাবেক রাষ্ট্রপতি শহিদ জিয়াউর রহমান বীর উত্তমের ৮৮তম জš§বার্ষিকী উপলক্ষে নব্য বাকশালের মূলোৎপাটনে শহিদ জিয়ার রাষ্ট্রদর্শন’ আয়োজিত এক আলোচনা সভায় তিনি এসব কথা বলেন।

আলোচনা সভাটির আয়োজন করে ইউনিভার্সিটি টিচার্স অ্যাসোসিয়েশন অব বাংলাদেশ (ইউট্যাব)।

মঈন খান বলেন, সরকার বিএনপির শান্তিপূর্ণ কর্মসূচিতে সব সময় বাধা দেয়ার চেষ্টা করে। আমরা যখন শান্তিপূর্ণভাবে লিফলেট বিতরণ ও গণসংযোগ করেছি সেখানেও এসে সরকার বিভিন্নভাবে বাধা দেয়ার চেষ্টা করেছে। এমনকি আমরা গতকাল একটি শান্তিপূর্ণ কর্মসূচি ঘোষণা করেছি, যেখানে আমরা শান্তিপূর্ণ প্রতিবাদের ভাষা হিসেবে কালো পতাকা প্রদর্শন করব, এর বাইরে তো কিছু নয়। তবে দেখুন আজকেই আমাদের ওপর হুমকি এসেছে। তারা এমনটা বলছে যে, আমরা যদি রাজপথে কালো পতাকা মিছিল করি, তাহলে আবারও ২৮ অক্টোবরের মতো আমাদের ওপর হামলা করা হবে। আমরা কোন দেশে অবস্থান করছি?

তিনি বলেন, আমি খোলা মনে সরকারের কাছে আবেদন জানাচ্ছি, আপনারা সঠিক পথে ফিরে আসুন, যদি আপনারা নিজেদের জনগণের দল হিসেবে মনে করেন।

আন্তর্জাতিক বিশ্ব সরকারের অপপ্রচারের কারণে বিএনপিকে একসময় সন্ত্রাসী সংগঠন ভাবত এমন মন্তব্য করে মঈন খান বলেন, সরকার সব সময় বলে আসছে, বিএনপি নাকি একটি সন্ত্রাসী সংগঠন, বিএনপি নাকি তালেবান হয়ে গেছে, বিএনপি নাকি ফান্ডামেন্টালিস্ট দল হয়ে গেছে। এমন সব কথা সরকার বহুবার বলেছে। আমার বলতে দ্বিধা নেই, একটা সময় আন্তর্জাতিক বিশ্ব বিএনপিকে সন্ত্রাসী সংগঠন ভাবত, কারণ সরকারের এমন সব কথা তাদের কাছে বিক্রি করা হতো। কিন্তু আজকের প্রেক্ষাপটে আন্তর্জাতিক বিশ্ব সরকারের এমন কথা আর কিনছে না।

বিএনপির স্থায়ী কমিটির এ সদস্য বলেন, আন্তর্জাতিক বিশ্ব যদি এসব কথা কিনেই নিত, তাহলে কিন্তু আন্তর্জাতিক মিডিয়াগুলো ২৮ অক্টোবরের পর থেকে ৭ জানুয়ারির পর পর্যন্ত সরকারের বিপক্ষে কোনো রিপোর্ট করত না। ইউরোপীয় ইউনিয়ন থেকে শুরু করে জাতিসংঘসহ প্রতিটা দেশ ২৮ অক্টোবরের ক্র্যাকডাউনের পর থেকে নির্বাচনের পর পর্যন্ত তারা যে বিবৃতিগুলো দিয়েছে, সেখানে কোথাও বিরোধী দলকে দায়ী করে কোনো কিছু বলেনি। উল্টো তারা বলছে, বাংলাদেশ একদলীয় শাসন ব্যবস্থার মাধ্যমে উত্তর কোরিয়াতে পরিণত হচ্ছে।

বিএনপি বিভেদের রাজনীতিতে বিশ্বাস করে না বলে উল্লেখ করে মঈন খান বলেন, আগামী প্রজš§ যদি আপনাদের কাছে প্রশ্ন করে, ‘লক্ষ প্রাণের বিনিমিয়ে বাংলাদেশ স্বাধীনতা অর্জন করেছিল যেজন্য, সে বাংলাদেশ এখন কেন নেই’Ñএর জবাব আপনারা কী দেবেন? জনগণের এখন সরকারকে প্রশ্ন করতে হবে, কেন এ সরকার দেশ থেকে গণতন্ত্রকে হত্যা করে বিদায় করে একদলীয় শাসন ব্যবস্থা কায়েম করেছে? বাংলাদেশের ১৮ কোটি মানুষ কি এ বাংলাদেশ চেয়েছিলÑএ প্রশ্ন এখন জনগণের করতে হবে। আমরা বিভেদের রাজনীতিতে বিশ্বাস করি না। আমরা চাই সবাই মিলে বাংলাদেশকে সামনে এগিয়ে নিয়ে যাব।

আলোচনা সভার সভাপতিত্ব করেন ইউট্যাবের প্রেসিডেন্ট অধ্যাপক ড. এবিএম ওবায়দুল ইসলাম।

এ সময় আরও উপস্থিত ছিলেন পেশাজীবী পরিষদের সাধারণ সম্পাদক কাদের গণি চৌধুরীসহ ইউনিভার্সিটি টিচার্স অ্যাসোসিয়েশন অব বাংলাদেশের অন্য সদস্যরা।

বিষয় ➧

 

আর্কাইভ

রবি সোম মঙ্গল বুধ বৃহ শুক্র শনি
১০১১১২১৩১৪
১৫১৬১৭১৮১৯২০২১
২২২৩২৪২৫২৬২৭২৮
২৯৩০