নিজস্ব প্রতিবেদক: প্রধান পুঁজিবাজার ঢাকা স্টক এক্সচেঞ্জের (ডিএসই) ট্রেকহোল্ডার বা শেয়ারধারী পরিচালক নির্বাচন আগামীকাল মঙ্গলবার। ঢাকা স্টক এক্সচেঞ্জে সকাল সাড়ে ১০টা থেকে বিকাল ৪টা পর্যন্ত বিরতিহীন ভোটগ্রহণ অনুষ্ঠিত হবে। ওইদিনই নির্বাচনের ফল প্রকাশ করা হবে। তবে ডিএসইর ৫৫তম এজিএমে নির্বাচনের চূড়ান্ত ফল ঘোষণা করা হবে।
এ বছর দুটি পদে নির্বাচনে অংশ নিচ্ছেন চারজন প্রার্থী। তারা হলেন; সিকিউরিটিজের ব্যবস্থাপনা পরিচালক হানিফ ভূঁইয়া, ধানমন্ডি সিকিউরিটিজের ব্যবস্থাপনা পরিচালক মিজানুর রহমান খান, কান্ট্রি স্টক বাংলাদেশ হাউজের ব্যবস্থাপনা পরিচালক খাজা আসিফ আহমেদ ও সার সিকিউরিটিজের ব্যবস্থাপনা পরিচালক শরীফ আতাউর রহমান।
ডিএসই সূত্রে জানা গেছে, ডিমিউচুয়ালাইজেশনের নিয়ম অনুযায়ী, পরিচালক পদে থাকার মেয়াদ শেষ হচ্ছে দুজনের। বর্তমান শেয়ারহোল্ডার পরিচালক শাকিল রিজভী ও খাজা গোলাম রসুলের স্থলাভিষিক্ত হবেন ২১ মার্চ নির্বাচিত দুই পরিচালক।
ডিমিউচুয়ালাইজেশনের (স্টক এক্সচেঞ্জের মালিকানা থেকে ব্যবস্থাপনাকে আলাদা করা) শর্ত অনুসারে, প্রথম বছর চারজন শেয়ারহোল্ডার পরিচালক নির্বাচিত হবেন। এক বছর পর তাদের মধ্য থেকে একজনের পদ ছেড়ে দিতে হবে। তার বিপরীতে নতুন একজন পরিচালক নির্বাচিত হয়ে পর্ষদে যুক্ত হবেন। পরের বছর অপর তিনজন থেকে একজন পরিচালক অবসরে যাবেন। তার বিপরীতে নির্বাচনের মাধ্যমে আরও একজন নতুন পরিচালক যুক্ত হবেন। একই নিয়মে তৃতীয় বছরেও অপর একজন পরিচালক অবসরে যাবেন এবং নতুন একজনকে নির্বাচিত করা হবে। এভাবে প্রতি বছর একজন পরিচালক অবসরে যাবেন এবং তার বিপরীতে নতুন একজনকে যুক্ত করা হবে।
ডিমিউচুয়ালাইজেশনের আইন অনুসারে, স্টক এক্সচেঞ্জের পরিচালনা পর্ষদে মোট ১৩ জন সদস্য থাকেন। এর মধ্যে সাতজন স্বতন্ত্র পরিচালক, চারজন শেয়ারহোল্ডার পরিচালক, একজন কৌশলগত বিনিয়োগকারী পরিচালক ও স্টক এক্সচেঞ্জের ব্যবস্থাপনা পরিচালক পদাধিকারবলে পর্ষদ সদস্য হিসেবে থাকেন। শেয়ারহোল্ডার পরিচালকরা স্টক এক্সচেঞ্জের সদস্যদের প্রত্যক্ষ ভোটে তিন বছরের জন্য নির্বাচিত হন। কারও মেয়াদ শেষ হওয়ার পর শূন্যপদ পূরণের জন্য নির্বাচন অনুষ্ঠান করে ডিএসই। সর্বশেষ ২০১৬ সালে শেয়ারহোল্ডার পরিচালক নির্বাচনের মাধ্যমে ডিএসইর পর্ষদে আসেন স্টক এক্সচেঞ্জটির সাবেক সভাপতি রকিবুর রহমান।
Add Comment