নিজস্ব প্রতিবেদক: ঈদ উপলক্ষে নগদ লেনদেনের সুবিধার্থে শনিবার সারাদেশে সব ব্যাংকের শাখা খোলা রাখার নির্দেশ দিয়েছে কেন্দ্রীয় ব্যাংক। গতকাল বাংলাদেশ ব্যাংকের অফ সাইট সুপারভিশন বিভাগ এ-সংক্রান্ত নির্দেশনা জারি করেছে। এর আগে ২৯ ও ৩০ এপ্রিল শুধু পোশাকশিল্প এলাকায় ব্যাংক খোলা রাখার সিদ্ধান্ত জানিয়েছিল বাংলাদেশ ব্যাংক।
নতুন নির্দেশনায় বলা হয়, ঈদ উপলক্ষে ব্যবসা-বাণিজ্যে অধিক লেনদেন হয়েছে। ব্যাংকে নগদ টাকার জমা ও উত্তোলন বেড়েছে। সবার সুবিধার্থে অল্প লোকবল নিয়ে সারাদেশে সীমিত পরিসরে ব্যাংক খোলা থাকবে।
এতে আরও বলা হয়, আজ শুক্রবার পোশাকশিল্প এলাকায় ব্যাংকের লেনদেন চলবে সাড়ে ৯টা থেকে সাড়ে ১২টা পর্যন্ত। আর ব্যাংক খোলা ৩টা পর্যন্ত।
পরের দিন শনিবার ব্যাংক লেনদেন হবে সাড়ে ৯টা থেকে ১টা পর্যন্ত। ব্যাংক খোলা বেলা আড়াইটা পর্যন্ত। এই দুদিন নগদ লেনদেনের সুবিধার্থে বাংলাদেশ ব্যাংকের সংশ্লিষ্ট বিভাগ সীমিত পরিসরে খোলা থাকবে বলে জানানো হয়।
বাংলাদেশ ব্যাংকের নির্দেশনা অনুযায়ী আসন্ন ঈদুল ফিতরের আগে তৈরি পোশাকশিল্প সংশ্লিষ্ট বিভিন্ন প্রতিষ্ঠান কর্তৃক রপ্তানি বিল বিক্রয়ের এবং ওই শিল্পে কর্মরত শ্রমিক, কর্মচারী, কর্মকর্তাদের বেতন, বোনাস ও অন্যান্য ভাতা পরিশোধের সুবিধার্থে ঢাকা মহানগরী, আশুলিয়া, টঙ্গী, গাজীপুর, সাভার, ভালুকা, নারায়ণগঞ্জ ও চট্টগ্রামে অবস্থিত তফসিলি ব্যাংকের পোশাকশিল্প সংশ্লিষ্ট শাখাগুলো ও প্রধান কার্যালয়ের সংশ্লিষ্ট বিভাগ পর্যাপ্ত নিরাপত্তা নিশ্চিতকরণপূর্বক খোলা রাখতে হবে।
এদিকে অপর এক প্রজ্ঞাপনের মাধ্যমে ঈদুল ফিতরের ছুটির মধ্যে গ্রাহকদের নিরবচ্ছিন্ন এটিএম সেবা দেয়ার নির্দেশ দিয়েছে বাংলাদেশ ব্যাংক। একইসঙ্গে পয়েন্ট অব সেলস বা পস, মোবাইল ব্যাংকিং, অনলাইন ই-পেমেন্ট গেটওয়েতেও সার্বক্ষণিক সেবা চালু রাখতে বলা হয়েছে।
প্রজ্ঞাপনে বলা হয়েছে, সার্বক্ষণিক এটিএম সেবা নিশ্চিত করতে হবে। এটিএম বুথে কোনো ত্রæটি দেখা দিলে দ্রæততম সময়ে তা সমাধানের ব্যবস্থা করতে হবে। প্রতিটা বুথে পর্যাপ্ত টাকা সরবরাহ নিশ্চিত করা, এটিএম বুথে সার্বক্ষণিক পাহারাদারের সতর্ক অবস্থানসহ অন্যান্য নিরাপত্তা নিশ্চিত করতে হবে। এটিএম বুথের মতো পয়েন্ট অব সেলস বা পসেও সার্বক্ষণিক সেবা দিতে হবে। একইসঙ্গে জাল-জালিয়াতি রোধে মার্চেন্ট এবং গ্রাহককে সচেতন করতে হবে।
প্রজ্ঞাপনে আরও বলা হয়েছে, অনলাইন ই-পেমেন্ট গেটওয়ের ক্ষেত্রে কার্ডভিত্তিক ‘কার্ড নট প্রেজেন্ট’ এবং অ্যাকাউন্টের মাধ্যমে লেনদেনের ক্ষেত্রে দুই স্তরবিশিষ্ট নিরাপত্তা (টু এফএ) ব্যবস্থা নিশ্চিত করতে হবে। ব্যাংক ও সাবসিডিয়ারি কোম্পানির মাধ্যমে পরিচালিত মোবাইল ব্যাংকিংয়ে নিরবচ্ছিন্ন সেবা নিশ্চিত করতে হবে।
প্রজ্ঞাপনে আরও বলা হয়, লেনদেনের ক্ষেত্রে কোনো অবস্থায় গ্রাহক যেন হয়রানির শিকার না হন, সে ব্যবস্থা নিতে এবং সার্বক্ষণিক ব্যাংকের হেল্পলাইন সহায়তা চালু রাখতে হবে। ছুটির মধ্যে এসব ব্যবস্থাপনার সার্বিক নিরাপত্তা নিশ্চিত করাসহ ঝুঁকি মোকাবিলার জন্য যথাযথ ব্যবস্থা নিতে হবে।
সার্কুলারে উল্লেখ করা হয়েছে, যেকোনো অঙ্কের লেনদেনের তথ্য এসএমএস অ্যালার্ট সার্ভিসের মাধ্যমে গ্রাহককে জানাতে হবে। ইলেকট্রনিক পদ্ধতিতে সব ধরনের সেবার ক্ষেত্রে বলা হয়েছেÑগ্রাহকদের সতর্কতা অবলম্বনে গণমাধ্যমে প্রচার চালাতে হবে, গ্রাহককে প্রতারিত করা যাবে না এবং সার্বক্ষণিক হেল্পলাইন সহায়তা দিতে হবে।