Print Date & Time : 19 June 2025 Thursday 7:24 pm

কাশিয়ায় পরিবর্তন চরাঞ্চলে

ধরলা নদীর তীরবর্তী চরাঞ্চলগুলোর প্রায় ৪০০ একর জমিতে প্রাকৃতিক উপায়ে জেগে উঠেছে কাশিয়া গাছ। গাছগুলোর চাষ কিংবা পরিচর্যা করতে কোনো খরচ হয়নি চরাঞ্চলের মানুষের। কোনো ব্যয় না করেই তারা কাশিয়া বিক্রি করে অর্থনৈতিক ভাবে স্বাবলম্বী হচ্ছেন

লালমনিরহাট ও কুড়িগ্রামের ধরলা নদীর তীরবর্তী চরগুলোয় জেগে উঠেছে কাশিয়ার (কাশফুল) গাছ। একসময় মানুষ ঘরের ছাউনি, টাটি ও বাড়ির বেড়ার কাজে ব্যবহার করত কাশিয়া। সময়ের বিবর্তনে ঢেউটিন, ইট, বালু ও সিমেন্টের ব্যবহারে হারিয়ে যায় এর ব্যবহার। ফলে চরাঞ্চলের মানুষ কাশিয়া বিক্রি করে যা উপার্জন করত, তা থেকে বঞ্চিত হয়েছে দীর্ঘদিন। তবে তিন বছর ধরে সেই কাশিয়া বিক্রি করে ভাগ্যের পরিবর্তন ঘটিয়েছে চরাঞ্চলের মানুষ।

জানা যায়, ধরলা নদীর তীরবর্তী চরাঞ্চলের প্রায় ৪০০ একর জমিতে প্রাকৃতিক উপায়ে জেগে উঠেছে কাশিয়া গাছ। গাছগুলোর চাষ কিংবা পরিচর্যা করতে কোনো খরচ হয়নি চরাঞ্চলের মানুষের। কোনো ব্যয় না করেই তারা কাশিয়া বিক্রি করে অর্থনৈতিক ভাবে স্বাবলম্বী হচ্ছেন। ঘটছে ভাগ্যের পরিবর্তন।

ফলি মারির চরের রহিম শেখ জানান, এবার তার প্রায় ১০ বিঘা জমিতে কাশিয়া হয়েছে। পাইকাররা চরে এসে ৬০ হাজার টাকা দিয়ে কিনে নিয়ে গেছে। এতে তার কোনো খরচ হয়নি। তিন বছর ধরে এভাবে কাশিয়া বিক্রি করছেন তিনি। পরিবার-পরিজন নিয়ে তিনি এখন সুখে আছেন। ধনিরাম চরের গোপাল রায় জানান, এ বছর কাশিয়ার চাহিদা বেশি থাকায় দামও ভালো পাওয়া যাচ্ছে। এখন পর্যন্ত তিনি দুই লাখ ৩৫ হাজার টাকা আয় করেছেন। তবে গাছ কেটে মুঠা তৈরি করতে শ্রমিকদের দিতে হয়েছে প্রায় ৪০ হাজার টাকা।

চরাঞ্চলে কাশিয়া কিনতে আসা কুমিল্লার আমজাদ হোসেন জানান, প্রতি বছরের মতো এ বছরেও তিনি কাশিয়া কিনতে ধরলার চরাঞ্চলে এসেছেন। কৃষকদের কাছ থেকে কাশিয়া কিনে তা ট্রাকে রাজশাহীসহ দেশের বিভিন্ন স্থানে পাঠাচ্ছেন। এতে তার ট্রাকপ্রতি প্রায় তিন হাজার টাকা লাভ হচ্ছে।

 

জাহেদুল ইসলাম সমাপ্ত