Print Date & Time : 19 June 2025 Thursday 2:12 am

কাশ্মীরি বরই চাষে সফল ঠাকুরগাঁওয়ের আমানুল্লাহ

মো. শামসুল আলম, ঠাকুরগাঁও: শীতকালীন ফল বরই। ঠাকুরগাঁওয়ে বর্তমানে টক-মিষ্টি, দেশি ও বিদেশি বিভিন্ন জাতের বরই চাষ হচ্ছে। জেলায় বরই চাষ করে ভাগ্য বদলেছে অনেক কৃষকের। তাদেরই একজন রাণীশংকৈল উপজেলার নেকমরদ করনাইট গ্রামের কৃষক আমানুল্লাহ আমান।

দুই বছর আগে টেলিভিশনে কৃষিবিষয়ক অনুষ্ঠান দেখে বরই চাষে আগ্রহী হন আমানুল্লাহ। এরপর তিনি পাঁচ বিঘা জমিতে কাশ্মীরি আপেল কুল ও বল সুন্দরী কুলের ৪৫০টি চারা সংগ্রহ করে রোপণ করেন। চারা রোপণের ৬ মাস পর ফুল আসতে শুরু করে। বর্তমানে সেসব গাছে দুলছে থোকা থোকা বরই।

আমানুল্লাহর বাগানে কাজ করে আট থেকে দশটি পরিবার জীবিকা নির্বাহ করছে। তার বাগানে গত বছরের তুলনায় ফলন বেশি হয়েছে। এর আগে ঠাকুরগাঁওয়ে বাণিজ্যিক ভিত্তিতে বরই চাষ করা হতো না।

আমানুল্লাহ বলেন, টেলিভিশনে প্রতিবেদন দেখে আমারও ইচ্ছে জাগে বরই চাষ করার। আমি অন্য ফসলেরও চাষাবাদ করি। গত বছর আমের বাগান থেকে ৫ লাখ টাকার মতো মুনাফা করেছি। এবার যে ফলন হয়েছে আবহাওয়া যদি অনুকূলে থাকে তাহলে গত বছরের চেয়ে বেশি বরই বিক্রি করতে পারব।

কৃষকদের উদ্দেশে তিনি বলেন, জমি ফেলে না রেখে বরই, মালটা, কমলা ও ড্রাগনসহ আধুনিক চাষাবাদের মাধ্যমে উদ্যোক্তা হওয়া যায়। এতে দেশে ফলের ঘাটতি কমবে। ভিটামিনের অভাব পূরণ হবে এবং নিজেরা স্বাবলম্বী হতে পারবেন।

ঠাকুরগাঁও জেলা কৃষি সম্প্রসারণ অধিদপ্তরের উপপরিচালক মো. আব্দুল আজিজ জানান, দিন দিন জেলায় কুল চাষ বাড়ছে। বর্তমানে রাণীশংকৈলে ৮ হেক্টর জমিতে চাষাবাদ হচ্ছে। আগ্রহীদের নানা পরামর্শ দেয়া হচ্ছে। চারা সংগ্রহের বিষয়ে সহযোগিতা করা হচ্ছে। মাঠ পর্যায়ে উপসহকারী কৃষি কর্মকর্তারা নিয়মিত কৃষকদের পরামর্শ দেয়ায় চাষাবাদ বাড়ছে।